মানছুর রহমান জাহিদ, পাইকগাছা : খুলনার পাইকগাছায় আদালতে রায় ডিগ্রী প্রাপ্ত সম্পত্তিতে ধানের বীচতলা তৈরিতে বাঁধা ও খুন জখমের হুমকি দেয়ায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। উপজেলার হরিদাসকাটী গ্রামের মোমিন ফকির বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ একই এলাকার জব্বার ফকিরসহ ৫ জনের নামে এ অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, মোমিন গাজীর পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত দীর্ঘদিনের দখলীয় সম্পত্তিতে মঙ্গলবার সকালে ধানের বীজতলা তৈরী করছিল। এ সময় উপজেলার হরিদাস কাটি গ্রামের জব্বার ফকির (৪৮), কামরুল গাজী (৩৬), খায়রুল সরদার (৩৫), হাফিজুর ফকির (৩৮), গহর গাজী (৪০) সহ ৪/৫ জন বীজতলা তৈরীতে বাঁধা দেয়। এবং তাদের তাড়িয়ে দিয়ে সেখানে তারা চাষ শুরু করে দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় উভয় পক্ষ বিবাদে জড়িয়ে পড়লে তারা মোমিনদের জান মালের ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দেয়। এ ঘটনায় মোমিন ফকির থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে জবর দখল কারীদের কাজ বন্ধ করে দেন। মোমিন ফকির আরো জানান, সরকারী সম্পত্তি আমার পিতাসহ চারজনে বিভিন্ন সময়ে ৪ টি দলিলে মৃত্যু আব্দুল ফকির এ জমি চিরস্থায়ী বন্দোবস্তো গ্রহণ করে। ঐ সময় তা জলাকর মুক্ত না হওয়ায় সরকারকে বিবাদী করে জলাকর মুক্ত করা ও বাটোয়ারা মামলা করে রায় ডিগ্রী প্রাপ্ত হন। ১৯৮৮ সাল থেকে ভোগদখলে আছেন। প্রতিপক্ষরা জলাকর জলমহল কিনেছে এ দাবী করে দখলের চেষ্টা করছে। তবে জলমহলের জায়গায় না যেয়ে তারা চাষ উপযোগী জমি দখল করতে চাইছে। না হলে তোর ৩ লাখ টাকা দিতে হবে। অথচ তারা আদালতের রায় না মেনে গায়ের জোরে জমি দখলের চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ কামরুল গাজী জানান, আমরা তাদের কোন জমিতে যাইনি। আমরা জলকর কিনেছি জলকরের মধ্য সিমাবদ্ধ আছি। আর টাকা চাওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে জলকর কেনার কোন কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি।