ডেস্ক রিপোর্ট : বেসরকারি সংস্থা আশা চলতি অর্থ বছরে খুলনা জেলায় ৫৬টি শাখার মাধ্যমে ১ লাখ ১৮ হাজার ২২৩জনের মধ্যে ৮৪০ টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। এছাড়া ১৩০জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে উচ্চ শিক্ষার জন্য ৪৭ লাখ টাকা বৃত্তি প্রদান করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এক মতবিনিময় সভায় আশার পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় বলা হয়, চলতি অর্থবছরে (২০২৫-২৬ ) ১ লাখ ২০ হাজার জনকে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করবে আশা। এ লক্ষ্য নিয়ে বর্তমানে কাজ করছে দেশের শীর্ষ ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাটি।
এদিকে, সমগ্র বাংলাদেশে ৭০ লাখ পরিবার আশার সুফল ভোগ করছে। সিএসআর কার্যক্রমের (কর্পোরেট সোস্যাল রেসপন্সিবিলিটি) মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সহায়তা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সহায়তা, উচ্চ শিক্ষা বৃত্তি, ফিজিওথেরাপি সেবা, দুর্যোগকালীন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণ ও স্যানিটেশন কার্যক্রম রয়েছে। আশা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশা-ম্যাটসে গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ বৃত্তির মাধ্যমে লেখাপড়ার সহায়তা করে। তাছাড়া বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে, জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। আশার ঋণগ্রহীতা মারা গেলে ঋণের অবশিষ্ট টাকা মওকুফ এবং দাফন-কাফনের জন্য নগদ ৫ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়। তাছাড়া সদস্যদের চিকিৎসা সহায়তা ও অবসরকালীন অফেরতযোগ্য সদস্য প্রতি ১৫ হাজার টাকা এককালীন অবসর ভাতা প্রদান করা হয়। অপরদিকে, দরিদ্র শীতার্থদের মাঝে প্রায় একটি টাকা মূল্যের ২৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় আরো জানানো হয়, প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণের আওতায় খুলনা জেলায় ২৪টি শাখার ৩৬০টি শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে ১১ হাজার ১৭৫ জন শিশুকে শিক্ষাদান চলমান রয়েছে। এছাড়া খুলনা জেলায় একটি ফিজিওথেরাপি সেন্টার ও একটি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক চালু রয়েছে। গত অর্থ-বছরে খুলনা জেলায় সিএসআর খাতে ৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে। এছাড়াও যে কোনো জাতীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আশার ডিভিশনাল ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল-হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আনোয়ার সাদাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক। সভা সঞ্চালনা করেন আশার এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার মো. সাহেদ আলী।