ফকিরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মৌভোগ গ্রামের মেয়ে ফাতেমা বেগমের হত্যা মামলায় জা রহিমা বেগম (৩০) কে আটক করেছে পুলিশ। মামলার অন্য আসামী নিহতের স্বামী ইছা মোল্লা ও ভাসুর মুছা মোল্লা পলাতক রয়েছে। মেয়ে ফাতেমার মৃত্যুতে পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতম।
নিহতের পরিবার জানান, উপজেলার মৌভোগ গ্রামের দিনমুজুর মারুফ শেখের মেয়ের সাথে প্রায় ছয় বছর আগে বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়ার কাটাখালী এলাকার মৃত মোস্তফা মোল্লার ছেলে ইছা মোল্লার বিবাহ হয়। ওই দম্পতির বর্তমানে সাড়ে চার বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান আছে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় স্বামী ইছা মোল্লার বাড়ি থেকে ফাতেমা বেগমের পরিবারকে জানান তাদের মেয়ে হঠাত অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। এমন খবর পেয়ে ফাতেমা বেগমের পরিবারের লোকজন কাটাখালী ওই বাড়িতে এসে দেখেন তার মেয়ে খাটের উপর মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক সুরোতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠনো হয়। পরে আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিহতের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে। শনিবার সন্ধ্যায় মৌভোগ নিহতের বাপের বাড়িতে জানাযার নামাজ শেষে পারিবারকি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় ১৩ সেপ্টেম্বর (শনিবার) নিহতের বাবা মারুফ শেখ নিজ বাদী হয়ে নিহতের স্বামী, ভাসুর ও জা নাম উল্লেখ করে বাগেরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহতের বাবা মারুফ শেখসহ তার পরিবার জানান, মেয়ের বিয়ের পর কিছুদিন সুখেই ছিল তারা। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে তার স্বামী ও তার পরিবার। এতে কারনে অকারনে মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে মানুষিক ও শারিরিক নির্যাতন করে আসছিল। দিনমুজুর বাবার পক্ষে যৌতুকের টাকা দেয়া সম্ভব ছিলনা। যে কারনে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তারা জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন বিশ্বাস বলেন, ফাতেমা বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা থানায় একটি হত্যা মালা করেছেন। মামলার আসামী নিহতের রহিমা বেগমকে আটক করা হয়েছে। পলাতক তার স্বামী ও ভাসুরকে আটকের অভিযান চলমান আছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তধিন আছে।