দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় বেশ কয়েকদিন ধরেই বৃৃষ্টি হওয়ায় শুকিয়ে থাকা খাল, বিল ও জলাশয়ে পানিতে ডুবে গেছে। বৃষ্টির পানিতে শুকিয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষেতেও ফিরে এসেছে আর্র্দ্রতা। নিচু জমিতে জমেছে বৃষ্টির পানি। আর এই সময়টায় রোপা আমন চাষে ব্যস্ত হয়ে উঠছেন উপজেলার কৃষকেরা। জমি প্রস্তুত, চাষাবাদ ও ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটছে চাষিদের। বিশেষ করে উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষকরা নদীর পাড়ের জমিসহ ফসলি জমিতে ধান রোপণ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিষ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতের সাড়ে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩শ’ হেক্টর বেশি। মূলত জুন-জুলাই মাস আমন ধান রোপণের সময়। এবছর বৃষ্টিপাতও পিছিয়েছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে কৃষকরা আমনের চারা রোপণ শুরু করেছেন। উপজেলার দশমিনা, বাঁশবাড়িয়া, চরবোরহান, আলীপুরা, রনগোপালদী, বেতাগী সানকিপুর ও বহরমপুর এলাকায় আমনের ফলন ভালো হয়। এসব এলাকার কৃষকরা রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করছেন বিস্তীর্ণ জমিতে। বৃষ্টি থাকায় কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। ফসলি জমিতে বৃষ্টির ফলে ধান রোপণ সহজ হয়েছে বলেও জানান কৃষকরা।
দশমিনা সদর ইউনিয়নে ১নম্বর ওয়ার্ড এলাকার কৃষক মো. জাফর জানান, জমিতে আমন ধানের চাষ করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে টানা খড়া থাকায় সেচ দিয়ে জমিতে ধান লাগানো শুরু করেছিলাম। পরে বৃষ্টি শুরু হলে কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে। তিনি আরো বলেন গত বছর ৮একর জমিতে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন চাষ করেছি। আমার ব্যয় হয়েছে দেড় লাখ টাকা। ২শ’ ৫০মন ধান পেয়ে বিক্রি করেছি প্রায় ৩লাখ টাকা। চলতি বছর প্রায় ৯ একর জমিতে রোপা আমন চাষ করছি। এতে আমার ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা। চলতি বছর আমার প্রায় ২লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি। উপজেলা কৃষি বিভাগের নির্দেশনায় আমরা আমন চারা রোপণ করে আসছি। আরেক কৃষক জানান, চলতি মৌসুমে প্রায় ২একর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন তিনি। পর্যাপ্ত বৃষ্টির পানি পাওয়ায় চাষাবাদে কোনো অসুবিধা হয়নি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলনও বেশ ভালো হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে তীব্র গরম শেষে বেশ কয়েকদিন ধরেই বৃৃষ্টি হচ্ছে। শুকিয়ে থাকা খাল, বিল ও জলাশয়ে পানিতে ভরে গেছে। তীব্র রোদে শুকিয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষেতেও ফিরে এসেছে আর্র্দ্রতা। নিচু জমিতে জমেছে বৃষ্টির পানি। আর এই সময়টায় রোপা আমন চাষে ব্যস্ত হয়ে উঠছেন উপজেলার কৃষকেরা। জমি প্রস্তুত, চাষাবাদ ও ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটছে চাষিদের। বিশেষ করে উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষকরা আবাদি জমিসহ ফসলি জমিতে ধান রোপণ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিষ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতের সাড়ে ২৫হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়। যা গত বছরের তুলনায় ৫শ’হেক্টর বেশি। মূলত জুন-জুলাই মাস আমন ধান রোপণের সময়। এই বছর বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে কৃষকরা আমনের চারা রোপণ শুরু করেছেন। উপজেলার দশমিনা, বাঁশবাড়িয়া, চরবোরহান, আলীপুরা, রনগোপালদী, বেতাগী সানকিপুর ও বহরমপুর এলাকায় আমনের ফলন ভালো হয়। এই সব এলাকার কৃষকরা রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করছেন বিস্তীর্ণ জমিতে। বৃষ্টি থাকায় কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। কৃষকরা জানায়,বৃষ্টির ফলে ফসলি জমিতে ধান রোপণ সহজ হয়।
দশমিনা সদর ইউনিয়নে ২নম্বর ওয়ার্ড এলাকার কৃষক আব্দুর রহমান জানান, জমিতে আমন ধানের চাষ করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে টানা রোদ থাকায় সেচ দিয়ে জমিতে ধান লাগানো শুরু করেছিলাম। পরে বৃষ্টি শুরু হলে কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে। তিনি আরো বলেন গত বছর ৮একর জমিতে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন চাষ করেছি। আমার ব্যয় হয়েছে দেড় লাখ টাকা। ২শ’ ৫০মন ধান পেয়ে বিক্রি করেছি প্রায় ৩ লাখ টাকা। চলতি বছর প্রায় ১১ একর জমিতে রোপা আমন চাষ করছি। এতে আমার ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা। চলতি বছর আমার প্রায় ৪ লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি। উপজেলা কৃষি বিভাগের নির্দেশনায় আমরা আমন চারা রোপণ করে আসছি। চলতি মৌসুমে প্রায় ৩ একর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। পর্যাপ্ত বৃষ্টির পানি পাওয়ায় চাষাবাদে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলনও বেশ ভালো হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এই বিষয়ে দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা বর্তমান পুরোদমে আমন ধানের চারা লাগানোর ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া বর্তমান অনুকূলে রয়েছে। আর আমরা চাষিদের চারাগুলো লাইন করে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি আউশের মতোই আমনেরও বাম্পার ফলন হবে।