ডেস্ক রিপোর্ট : চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলীতে গরু কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আব্দুর রাজ্জাক নামের আরও এক ভাইকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। জখম হওয়া ব্যক্তি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উথলী গ্রামের বিলের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুই ভাই হলেন, উথলী গ্রামের মাঝেরপাড়ার মৃত. খোদা বক্স মণ্ডলের দুই ছেলে আনোয়ার মান্টা (৫৫) ও হামজা (৪৫)।
উথলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, গত চার মাস আগে আনোয়ার ও হামজাদের একটি গরু বিক্রির জন্য প্রতিবেশী নিজাম আলী ওরফে খোকার সঙ্গে দামদর ঠিক করেন। পরদিন গরুটি খোকার দেয়া মূল্যের থেকে পাঁচ হাজার টাকা বেশি বলায় অন্যজনের কাছে গরুটি বিক্রি করে দেন। এই নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ওই সময় আনোয়ার মান্টা, হামজাসহ তার লোকজনরা খোকাসহ অনেকেরই মারধর করে এবং কান কেটে দেয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে তা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে এ ঘটনার জের ধরে আজ শনিবার সকালে খোকা, বিপুল, জুয়েল, বাবলু, নয়নসহ ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তিন ভাইয়ের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, তিন ভাইয়ের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক সামান্য আহত হয়েছেন। তবে অপর দুই ভাই গুরুতর আহত হলে সদর হাসপাতালে নেয়ার আগেই একজন মারা যায় এবং আরেকজন চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়।
এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি ও লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনাস্থল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা অভিযুক্তদের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির পারিবার জানায়, গরু কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে প্রতিবেশী খোকা, বিপুল, জুয়েল, বাবলু, নয়ন, স্বপন, জসিম, সাইফুল, শরিফুল, পলক, বদর, স্বজল, সামসুল, হিমেলসহ আরও কয়েকজন তিন ভাই আনোয়ার মান্টা, আব্দুর রাজ্জাক ও হামজার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হাসপাতালে আসার আগেই একজন মারা গেছেন, আর একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে গরু কেনাবেচা নিয়ে তাদের মধ্যে পূর্বে থেকে বিরোধ চলে আসছিল। আজ মাঠের মধ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে শুনেছি। মরদেহ হাসপাতালে আছে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।