ডেস্ক রিপোর্ট : ঝিনাইদহের শৈলকূপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক অজ্ঞান ডাক্তার (এনেসথেসিয়া) না থাকার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে সিজারিয়ান অপারেশন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে শৈলকূপ উপজেলা হাসপাতাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গর্ভবতী প্রসূতি মহিলাদের ডেলিভারির জন্য দীর্ঘদিন এখানে অজ্ঞান ডাক্তার না থাকায় বাধ্য হয়ে ছুটতে হচ্ছে দূরের বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে। এতে একদিকে বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়, অন্যদিকে মা ও নবজাতক পড়ছেন চরম ঝুঁকিতে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গাইনী বিশেষজ্ঞ সার্জন থাকলেও নেই এনেসথেসিয়ার ডাক্তার যে কারণে গর্ভবতী মহিলাদের ডেলিভারি করা বন্ধ রয়েছে।
অথচ হাসপাতালটিতে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার, স্যালাইন স্ট্যান্ডসহ সব সরঞ্জাম ব্যবহার উপযোগী অবস্থায় পড়ে আছে। দহখোলা গ্রামের
প্রসূতি শিরিন আক্তার বলেন, “সরকারি হাসপাতালে গেলে খরচ কম হতো। কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে দূরের ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। তাতেও চিকিৎসক সবসময় থাকেন না।
হরিয়ারা গ্রামের রহমত আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকারি হাসপাতালেই যদি চিকিৎসা না পাই, তাহলে আমরা যাব কোথায় ডাক্তার না দিলে গরিব মানুষ আরও বিপদে পড়বে। পাইকপাড়া গ্রামের গর্ভবতী মহিলা ফারজানা খাতুন জানান বেসরকারি ক্লিনিকে ডেলিভারি করাতে গেলে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয় এতে গর্ভবতী মহিলারা অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মাহাবুব রহমান পারভেজ জানান আগে নিয়মিত সিজার হত কিন্তু স্থায়ীভাবে অজ্ঞান ডাক্তার না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে গর্ভবতী মহিলাদের সিজার করা বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত অফিসার ডাক্তার রাশেদার মামুন জানান দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে ডাক্তার না থাকার কারণে গর্ভবতী মহিলাদের সিজার করা বন্ধ রয়েছে। সরকারি হাসপাতালে সিজার বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গর্ভবতী মহিলাদের পরিবারগুলো। আমি অজ্ঞান ডাক্তার দেওয়ার জন্য উদ্ধাতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি ।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, আসলে শৈলকুপা নয় সব উপজেলাতেই অপারেশনের যন্ত্রপাতি রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক সংকট বড় সমস্যা। দ্রুত পদায়ন হলে আবারও সিজারিয়ান চালু করা সম্ভব হবে।