সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় যেদিকে তাকাও শুধু কদবেলের গাছ কদবেল গাছ । গাছে গাছে দুলছে গদবেন ফল ।লবণাক্ত এলাকায় কদবেলের ফলন ভালো হচ্ছে সে কারণে চাষিরা উপকূলীয় এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কদবেলের চাষ করছে ।এখন দুর্গাপূজা উপলক্ষে কদবেলের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে সাতক্ষীরা থেকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ ট্রাক কদবেল ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। কৃষি গবেষণার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ুর প্রভাবে লবণাক্ততা বাড়ায় অন্যান্য ফলনশীল গাছ মারা যাচ্ছে, কিন্তু কদবেল গাছ মরছেনা ,উপকূলীয়অঞ্চলে কদবেলের ব্যাপক ফলন হচ্ছে। এই কদবেল কেনার জন্য পাইকার পাটিরা বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাসে গাছে ফুল আসার সাথে সাথে পাড়ায় হেঁটে হেঁটে আগাম কদবেল গাছ কিনে ফেলে এখন সময় হয়েছে যেখানে যেখানে পাইকাররা গাছ কিনেছিল সেখানে সেখানে পায়ে হেঁটে কিংবা যানবাহনে যে য়েকদবেল নামিনি আনছে। বাংলাদেশের পরিচিত ফলের মধ্যে অন্যতম কদবেল। সময়ের ব্যবধানে বাস্তবতার নিরিখে সম্প্রতিক বছর গুলোতে সাতক্ষীরায় বানিজ্যিক ভাবে কদবেল চাষ হচ্ছে। ইতিপূর্বে কদবেল গাছ কালেভাদ্রে দুএকটি দেখা যেতো, অযত্নে অবহেলায় বেড়েওঠা কদবেল গাছে কদবেল ফল ধরলে তা পরিবারের সদস্যরাই স্বাদ গ্রহন করতেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে সাতক্ষীরার উৎপাদিত কদবেল রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন বাজারে যাচ্ছে এবং সুনাম, সুখ্যাতি কুড়াচ্ছে। দিনে দিনে কদবেলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারনত ফেব্র“য়ারী হতে মার্চ মাসের মধ্যে কদবেল গাছে ফুল ফোটে তারপর ফল আসে সেপ্টেম্বর অক্টোবর হতে ডিসেম্বর মধ্যে এই ফল পরিপূর্ণতা আসে সেপ্টেম্বর অক্টোবর হতে ডিসেম্বর মধ্যে এই ফল পরিপূর্ণতা অর্জন করে। আধুনিক যুগ জামানায় কদবেলের সেকেলি বীজ পদ্ধতির পরিবর্তে নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন ঘটে। পূর্বে একটি কদবেল গাছ রোপন করলে সেই গাছে ফুল ও ফল আসতে অন্তত দশ বছর হতে এক যুগ সময় অতিক্রম করতো কিন্তু বর্তমান সময় গুলোতে উন্নত জাতের আবিস্কারের কল্যানে চার/পাঁচ বছরে ফুল ও ফল ধরছে কদবেল গাছে, গোলাকার ফল এই কদবেল, দেখতে অনেকটা বেলের মতো তবে বেলের অপেক্ষা ছোট, অনেকটা ক্রিকেট বলের মত। কদবেল কাচা এবং পাকা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়, তবে কাঁচা কদবেল বিশেষ ভাবে বিমোহিত করে গাছ পাকা কদবেলের স্বাদ অনন্য, অসাধারন এর শাঁস নরম, টক ও সুগন্ধিযুক্ত, কদলেব গাছে যখন কদবেল ঝুলতে থাকে তখন তার রুপ আর সৌন্দর্য সর্বত্র পাকাশ পায়। প্রতিটি বোটায় দুই তিনটি করে ফল ধরে। সব বয়সের মানুষের প্রিয় বল কদবেল। সব বয়সের মানুষের প্রিয় ফল কদবেল। কদবেলের আচার এবং তেল, লবন সহ অন্যান্য মসলা দিয়ে কদবেল ঝালাই পরবর্তি অসাধারন স্বাদ আসে। সাতক্ষীরার হাটবাজার গুলোতে ইতিমধ্যে কদবেল উঠতে শুরু করেছে। এবার আগাম কদবেল নামিয়ে পাইকাররা ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাচ্ছেন। অবশ্য কদবেলের মৌসুম এখনও শুরু হইনি। এক শ্রেনির ব্যবসায়ীরা কাঁচা কদবেল গাছ থেকে পেড়ে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রন ঘটিয়ে বিক্রি করছে যা মানবদেহের জন্য বিশেষ ক্ষতিকর। লবনাক্ত সহনীয় কদবেল চাষে সাফল্য এসেছে সাতক্ষীরায় চিংড়ী ঘেরের ভেড়িবাধে, নদীর ধার সড়ক সংলগ্ন প্রতিত জমিতে কদবেল গাছের উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। কদবেল চাষী ও ব্যবসায়ীদের সাথে কতা বলে জানাগেছে গাছ প্রতি (মাঝারী গাছে) অন্তত দুই থেকে আড়াই শত কদবেল হয়। গাছ মালিকদের থেকে ব্যবসায়ীরা দুই ভাবে কদবেল ক্রয় করে প্রথমত গাছে ফুল আসলে দ্বিতীয়ত ফল আসলে। অনেকে বাড়ীর ছাদে কদবেল চাষ করছে। সাতক্ষীরা উল্লেখযোগ্য অংশ চাষী বানিজ্যিক ভাবে কদবেল চাষ করছে এবং বহু পরিবার কদবেল ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট, জেলায় কদবেলের ব্যাপক ফলন পরিলক্ষিত হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ এর সাথে কথা হয় উপকূলীয় অঞ্চলের কদবেল ফল নিয়ে তিনি এই প্রতিবেদক কে বলেন আমরা বিভিন্ন কৃষি গবেষকদের মাধ্যমে জানতে পারলাম সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ুর প্রভাবে লবণাক্ততার কারণে নানা ফলের গাছ মারা যাচ্ছে কিন্তু একমাত্র টিকে আছে কদবেল গাছ এই সমস্ত কদবেল গাছে ফলন অন্য জেলার চেয়ে বেশি সে কারণে আমরা আগামীতে এবং বর্তমান বছরে বেশি বেশি করে কদবেল গাছের চারা উপকূলীয় চাষীদের লাগানোর জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। তিনি আরো বলেন আমরা আরো জানতে পারলাম সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে কদবেল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এবং তা সাতক্ষীরা থেকে ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন আমরা সরকারিভাবে উপকূলী অঞ্চলে যারা বাণিজ্যিকভাবে কদবেল চাষ করতে চায় তাদেরকে কৃষি অফিসের মাধ্যমে সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।