ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের হিমালয় অঞ্চলের লাদাখে রাজ্যের মর্যাদার দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠায় লেহ শহরে কারফিউ জারি করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবারের সহিংসতায় অন্তত চারজন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা বিজেপির স্থানীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পুলিশের একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর বিবিসির।
ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনার জন্য আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া পরিবেশ কর্মী সোনম ওয়াংচুককে দায়ী করেছে। মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, তিনি আরব বসন্তের আন্দোলন ও নেপালের জেন-জি বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে মানুষকে উসকে দিয়েছেন।
তবে ওয়াংচুক এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। সোনম ওয়াংচুক এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ, সম্প্রতি কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাই পাওয়ার্ড কমিটির সঙ্গে ৬ অক্টোবর দিল্লিতে বৈঠকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। তার মতে, ফলপ্রসূ আলোচনার কোনো উদ্যোগ না থাকলে তা অর্থহীন।
এই আন্দোলন ও বিক্ষোভ এমন এক সময় ঘটছে, যখন আগামী মাসে লাদাখ অটোনমাস হিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ২০২০ সালের নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়েছিল।
২০১৯ সালে বিজেপি সরকার লাদাখকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে আলাদা করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করে। তখন থেকেই বৌদ্ধ অধ্যুষিত লেহ ও মুসলিম অধ্যুষিত কারগিল-উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ রাজ্য মর্যাদা ও অধিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিশেষ মর্যাদা হারানোর ফলে তাদের জমি, সংস্কৃতি ও সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ কমে গেছে এবং বাইরে থেকে অর্থনৈতিক প্রভাব বেড়েছে।
লাদাখের কেন্দ্রে নিয়োজিত লেফটেন্যান্ট গভর্নর কবিন্দর গুপ্তা জানিয়েছেন, সহিংসতার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আরও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের একটি বিশেষ কমিটি আগামী ৬ অক্টোবর লাদাখের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবে।