1. mesharulislammonir1122@gmail.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন
  2. info@www.sangjogprotidin.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন

দশমিনায় সমন্বিত চাষ ব্যবস্থাপনায় কৃষি উদ্যোক্তার সাফল্য

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের শিক্ষিত যুব কৃষি উদ্যোক্তা কাজী আনিছুর রহমানের সমন্বিত কাজী কৃষি পার্কটি এখন মডেল খামার হিসাবে গড়ে উঠেছে। উপজেলার একমাত্র এই কৃষি খামারে সমন্বিত চাষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষিকে এগিয়ে নিতে দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করছে কৃষিতে ১১তম জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কাজী আনিছ। তার এই খামারে ফল,সবজি,কেঁচো সার এবং খামারে ছোট বড় পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ করা হয়। তার কৃষি খামারে সমন্বিত চাষ ব্যবস্থাপনা ও সফলতায় যুব উদ্যোক্তা কাজী আনিছ’ নতুন দিগন্তের আশার আলো দেখছে।
উপকূলীয় উপজেলা দশমিনার গ্রামীন জনপদ বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের কাজী আনিছ বুবকদের আইডল হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। কৃষি ভিত্তিক বিভিন্ন সভা,সেমিনারে তার বক্তব্য শুনে সকলেই অভিভূত হয়ে যায়। কৃষিতে সফলতা অর্জন করায় জাতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি অনেক পুরস্কার ও সম্মান অর্জন করেছেন যা অন্যান্য যুবকদেরকে উৎসাহিত করছে। কাজী কৃষি পার্কটি একটি মডেল খামার হিসাবে বিবেচিত হওয়ায় দেশ-বিদেশে এর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত তার খামারে গবেষক,শিক্ষার্থী ও দশনার্থীদের আনাগোনা বেড়েই চলছে। বর্তমানে তার বাগানে দৃষ্টিনন্দন সারি সারি ছোট বড় চায়না পাকা কমলা শোভা পাচ্ছে। এছাড়া খামারে মিশ্র ফলের মধ্যে দেশী বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির আম,কাঠাল,লিচু পেপে,কূল,পেয়ারা,মাল্টা,কলা চাষ করা হয়। খামারে ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার করায় বিষ মুক্ত ফল উৎপন্ন হচ্ছে। বিষমুক্ত ফলের চাহিদা থাকায় বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়। খামারের এক জমিতে ভাল ফসল পাওয়ায় দ্বিগুন লাভে বিক্রি করতে পারছে।
উপজেলার গছানী গ্রামের একমাত্র কৃষি উদ্যোক্তা ও জাতীয় পর্যায়ে ১১তম স্বর্ন পদকপ্রাপ্ত কৃষক কাজী আনিছুর রহমান কেঁচো সার উৎপাদন ও বিক্রিতেও সফলতা দেখিয়েছে। উপজেলায় প্রথম কমলা চাষে সফলতার পর কেঁচো সার উৎপাদন ও বাজারজাত করে চমক দেখিয়েছে। কাজী আনিছের সফলতা ও চমক দেখে উপজেলায় ভার্মি কম্পোষ্ট বা কেঁেচা সার উৎপাদন করে বিক্রি করছে। জমিতে এই সার ব্যবহারে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া এই সার বেশ উপকারী ও পরিবেশ বান্ধব। কৃষি উদ্যোক্তা আনিছের সফলতা দেখে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নসহ প্রত্যন্ত এলাকার ক্ষদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা খরচ কমানোর জন্য কেঁচো সার উৎপাদন করছে। রাসায়নিক সার ব্যবহার কমানো এবং ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করেই কৃষকরা স্বল্প ব্যয়ে এই সার তৈরি করেছে। বানিজ্যিক ভাবে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন ও বাজারে বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবানের পাশাপাশি সফলতা অর্জন করেছে। কৃষকরা তার খামার থেকে জৈব সার ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। আনিছ জানায়,ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারে মাটির গুনাগুন অক্ষুন্ন থাকার পাশাপাশি কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মাটির জীব বৈচিত্র্যসহ জু-প্লান্ট নষ্ট হয় না।
এছাড়া কাজী আনিছ বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ করে বাজিমাত করেছে। উপজেলার প্রান্তিক এই চাষী পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। চলতি বছর কাজী আনিছ তার কৃষি খামারে চায়না কমলা – ৩ চাষ করেছে। তার খামারে কমলা গাছে থোকায় থোকায় পাকা কমলা ঝুলে আছে যা সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। তিনি জানান, আমি অনেক বছর যাবৎ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নার্সারী ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন ফলমূল উৎপাদন করছি। তাই আমি এই বছর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে বাণিজ্যিকভাবে কমলার চাষ করছি। প্রায় অর্ধ একর পতিত জমিতে কমলার চাষ করেছি। অনেক ভালো ফলন হয়েছে। কমলা উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজার মূল্য বেশি থাকায় তিনি কমলা চাষ করেন। মৌসুম ভেদে সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যাচ্ছে। সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থাপনায় চাষাবাদ করে কাজী আনিছ কৃষি বিপ্লবে আশা আলো দেখছে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট