দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষনে তেঁতুলিয়া এবং বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ৫ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি দেয়া হয়। এই ২টি নদীতে গতকাল ৪-২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মাছের অভয়াশ্রমে সকল ধরনের মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। মৎস্য সংরক্ষনে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর, থানা পুলিশ, নৌ পুলিশ ফাঁড়ি, কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সমন্বয়ে জাটকা এবং মা ইলিশ মাছ সংরক্ষনে উপকূলীয় এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর ৭-৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ইলিশ মাছের অভয়াশ্রম হিসাবে পরিচিতি রয়েছে। এই অভয়াশ্রমে সুযোগ পেলেই কিছু অসাধু জেলে মা ইলিশ মাছ নিধনে মরিয়া হয়ে যায়। জেল-জরিমানা উপেক্ষা করেই মা ইলিশ নিধনে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এই বছর মা ও জাটকা ইলিশ সংরক্ষনে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেন। উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর, থানা পুলিশ, নৌ পুলিশ ফাঁড়ি, কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা নদীতে সার্বক্ষনিক টহলে থাকবে। গতকাল শনিবার সকালে ২টি নদীতে নৌ পুলিশ ফাঁড়ি, কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখাা যায়। আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই টহল অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান জানান,ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ এবং বিশ্বের মধ্যে ইলিশ ঊৎপাদন ও সংরক্ষনে বাংলাদেশ প্রথম। এই বছর মা ও জাটকা ইলিশ সংরক্ষনে শতভাগ সফল হবো। থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল আলিম জানান,রাষ্ট্রীয় সম্পদ ইলিশ সংরক্ষনে পুলিশ সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করবে। এছাড়া উপজেলা মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান,মা ইলিশ সংরক্ষনে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। ২টি নদীতেই ২৪ ঘন্টা টহল থাকবে। এই বছর মৎস্য সংরক্ষন আইনে পরিবর্তন আনা হয়। আগের চেয়ে জেল-জরিমান সংশোধন করে বাড়ানো হয়েছে।