নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের গ্রাম্য সহজ সরল জাফর শেখ (৬০) প্রতিবেশির প্রতারনায় সর্বশান্ত হয়ে আদালতে মামলা দিয়েছেন। মামলা করে ওই প্রতারক চক্রের অব্যহত হুমকির মুখে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। জাফর শেখ’র বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী গ্রামে। তার ছেলে শিমুলকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে প্রতিবেশি প্রতারক খায়রুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর শিমুলকে সৌদী আরব পাঠানো হলেও যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা টাকা নিয়েছিল, সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। তাকে কোন ভালো চাকুরী ও আকামা করে না দেয়ায় তার ভবিষ্যত অন্ধকারে চলে গেছে।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ক্ষতিগ্রস্থ জাফর শেখ জানান বিদেশে ভালো আয়ের আশায় ঘেরের জমি বন্ধক রেখে, মোটরসাইকেল বিক্রি ও সুদে টাকা নিয়ে ৫ লাখ টাকা খরচ করে ছেলে শিমুল (৩০) কে সৌদি আরব পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চাকরি না পেয়ে শিমুল এখন পুলিশি ভয়ের কারণে মরুভূমিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। শিমুলের মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে নড়াইল মানবপাচার প্রতিরোধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। আদালত পিবিআই কে তদন্তের দায়িত্ব এবং আগামী ২২ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। জাফর শেখের পরিবার দ্রুত ন্যায়বিচার ও প্রতারকদের শাস্তি দাবি করেছেন। জাফর শেখ ও পারভীন বেগম দম্পতি ছেলে শিমুলকে সৌদী পাঠানোর জন্য প্রতিবেশী প্রবাস ফেরত খাইরুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলামের হাতে ৫ লাখ টাকা তুলে দেন। সরকারি স্ট্যাম্পে চুক্তি হয় নির্দিষ্ট কোম্পানিতে আকামা করে মাসিক ১ হাজার ৮শ রিয়াল বেতনে চাকরি দেয়া হবে। অন্যথায় টাকা ফেরত দেয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে শিমুলের কোনো চাকরি মেলেনি। এ সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিকবার গ্রাম্য শালিস হয়েছে। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। উল্টো আসামিরা আরও টাকা দাবি করছে বলে অভিযোগ পরিবারটির। অবশেষে শিমুলের মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে নড়াইল মানবপাচার প্রতিরোধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালত পিবিআই কে তদন্তের দায়িত্ব এবং আগামী ২২ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ।
শিমুলের পরিবার জানায়, মামলা করার পর থেকে আসামিরা নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। তবে অভিযুক্ত শরিফুল দাবি করেন, কাজ দেয়া হলেও শিমুল নিজেই পালিয়ে গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই মহিদুল ইসলাম জানান, তদন্ত চলছে, শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।