দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের রাস্তার পাশের আবাদি-অনাবাদি এবং বসতঘরের আশেপাশে আগাম শীতকালীন সবজি চাষের আবাদ বাড়ছে। কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনীর ও উদ্বুদ্বকরনের মাধ্যমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা জুড়ে পতিত জমিতে বিভিন্ন ধরনের আগাম সবজি চাষাবাদ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। কৃষকরা মাঠ ভরা শীতকালিন সবজির চাষে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। উপজেলায় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আবাদি-অনাবাদি জমিতে কৃষি প্রদর্শনী এবং শীতকালিন সবজির মহা সমারোহ বিরাজ করছে। এক সময়ে অত্র উপজেলায় সবজি দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে সরবরাহ করা হতো। কৃষি জমিতে পানি থাকায় চাষাবাদ করতে পারতো না। ফলে স্থানীয়রা চাহিদা মিটাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সবজি নিয়ে আসা হতো। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা নিজেরাই সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছে। স্থানীয়রা আগাম চাহিদা মেটাতে লাউ,কচু,কুমড়া, সিম, বরবটি,লালশাক,পুঁইশাক চাষ করে পুষ্টির চাহিদা মিটানেরা চেষ্টা করছে। স্থানীয়দের চাহিদা মিটাতে কৃষকরা পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ শাক-সবজি বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে। উপজেলায় দফায় দফায় বন্যা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে কৃষকরা বার বার লোকসানে পড়লেও চলতি মৌসুমে আগাম শীতকালিন সবজি চাষাবাদ করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় কৃষি প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধকরন করা হচ্ছে। কৃষকরা এত সারা দিয়ে আবাদি ও অনাবাদি জমিতে শাক-সবজির প্রদর্শনী করছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর আহমেদ বলেন,কৃষকদেরকে চাষাবাদে উৎসাহিত করার পাশাপাশি উন্নতমানের সবজিসহ অন্যান্য ফসলের ফলন বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়ার কারনে উপজেলায় সবজির উৎপাদন বাড়ছে।