ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষরের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেছেন। রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়কারীরাও উপস্থিত হচ্ছেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাসহ আমন্ত্রতি অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।
আয়োজকদের আশা, নির্দিষ্ট সময়ে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম এটি সরাসরি সম্প্রচার করবে। প্রধান উপদেষ্টা সবার অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং উৎসবমুখর পরিবেশে সবাই একসাথে থাকবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠান শুরু হতে কিছু সময় বিলম্ব হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এদিকে, শেরেবাংলা নগরের রাস্তায় সেনা সদস্যরা কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এর আগে, দক্ষিণ প্লাজার অনুষ্ঠানস্থল থেকে পুলিশ জুলাই শহীদের পরিবার ও আহতদের সরিয়ে দেয়।
ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কের সামনে জুলাইয়ের আহত যোদ্ধা ও ছাত্ররা রাস্তা অবরোধ করলে, শুক্রবার দুপুরে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের সরে যেতে বাধ্য করে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আগেই তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে জুলাই যোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করে ভাঙচুরের চেষ্টা চালান।
শুক্রবার সকাল থেকেই মানিক মিয়া এভিনিউতে ‘জুলাই যোদ্ধা’ ও ‘আহত জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে তরুণরা জড়ো হতে থাকে। তারা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় স্থাপিত অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের চেষ্টা করে।
অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে দলটি এ সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করে।
আলী রীয়াজ, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি, জানিয়েছেন যে আজকের আনুষ্ঠানিকতা শেষেও রাজনৈতিক দলগুলোকে সনদে স্বাক্ষরের সুযোগ দেওয়া হবে।