দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ফসলি জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ শুরু হয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের জমিতে বিভিন্ন ধরনের আগাম সবজি চাষাবাদ করে কৃষকরা ভাল ফলন ও ন্যায্য মূল্য পাবে বলে আশা করছে। কৃষকরা শীতকালিন সবজির চাষ করে নতুন স্বপ্ন বুনছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কার্যালয় থেকে জানা যায়,শীত মৌসুমে হাট-বাজারে শীতকালিন সবজির বেশ চাহিদা থাকে। কৃষকরা ভাল ফলন ও ন্যায্য মূল্য পাবার আশায় শীত শুরুর আগেই মূলা, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, শিম, বরবটি, লালশাক, মূলাশাক, টমেটো,ধনিয়াপাতা,করলা,গাজরসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করেছে। কৃষকরা জমিতে চারা রোপন করেই পরিচর্যা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীত মৌসুম শুরু আগে উৎপাদিত শীতকালিন সবজির মূল্য ভাল পাওয়া যায়। উপজেলার বেশীর ভাগ কৃষক শীত শুরুর আগেই সবজির আবাদ করছে। অনেক কৃষক বর্ষার শেষ সময়ে জমির পাশে শীতকালিন সবজি চাষ করেই বিষ মুক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছে।
উপজেলায় প্রতি বছর বর্ষা ও বন্যার পানিতে ফসলি জমি ডুবে যাওয়ার পর পানি নেমে গেলে জমিতে প্রচুর পরিমানে পলি জমে থাকে। ফলে ফসলি জমিতে পলি থাকায় উর্বরা শক্তি বেড়ে যায়। উপজেলার সচেতন কৃষক মৌসুম বুঝে জমিতে শীতকালিন সবজির চাষ শুরু করেছে। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা নিজেরাই সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছে। বাজারে ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে লাউ,কচু,কুমড়া, সিম, বরবটি,লালশাক,পুঁইশাক চাষ করে পুষ্টির চাহিদা মিটানেরা চেষ্টা করছে। স্থানীয় চাহিদা মিটাতে কৃষকরা পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ বিষ মুক্ত শাক-সবজি উৎপন্ন করতে জৈব সার ব্যবহার করছে। উপজেলায় দফায় দফায় বন্যা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে কৃষকরা বার বার লোকসানে পড়লেও চলতি মৌসুমে আগাম শীতকালিন সবজি চাষাবাদ করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। ধান চাষের পাশাপাশি কৃষকরা সবজির চাষ শুরু করেছে। কৃষকরা জমিতে সবজির চারা রোপন ও পরিচর্যা করছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের পরামর্শ ও তদারকিতে জমিতে শাক-সবজির চাষ করছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন,কৃষকদেরকে চাষাবাদে উৎসাহিত করার পাশাপাশি বিষমুক্ত সবজিসহ অন্যান্য ফসল চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়ার কারনে উপজেলায় শীতকালিন সবজির চাষ শুরু করছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সবজির ভাল ফলন হবে।