প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ৮, ২০২৫, ৩:১৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ৮, ২০২৫, ৩:৫১ অপরাহ্ণ
নড়াইলে প্রতিবেশির বেধড়ক মারপিটে গৃহবধু’র জীবন সংকাটাপন্ন
নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইল পৌরসভার হাটবাড়িয়া এলাকায় গৃহবধু সবিতা বেগম (২০) কে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করেছেন তার প্রতিবেশি দম্পতি হৃদয় মোল্যা (৩০) ও সোনিয়া বেগম (২২)। গুরুতর আহত সোনিয়া বেগম সংকটাপন্ন অবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
শনিবার ( ৮ নভেম্বর) দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালে গেলে রোগি সবিতা বেগম (২০) এর স্বজনরা জানান, সবিতা’র অবস্থা খুবই সংকাটাপন্ন। চিকিৎসক জানিয়েছেন সবিতা এখনও ঝুকিমুক্ত নন। মাত্র ২০ দিন আগে সবিতা সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেছে। তার সিজারিয়ান অপারেশনের স্থান ভালোভাবে শুকায়নি। তাছাড়া সন্তান প্রসবে তার শরীরে বড় ধরনের ধাক্কা গিয়েছে। এমন পরিস্থিতে তার শরীরে যেভাবে আঘাত করা হয়েছে,তাতে তার মারাত্নক ক্ষতি হয়েছে। তাকে সুস্থ করতে ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে দীর্ঘ সময় লাগবে।
সবিতা’র শ্বশুর জহুর গোলদার জানান, গত ৩ নভেম্বর সকালে তার পুত্রবধু সবিতা একটা কথা বলার জন্য ২০ দিনের শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে প্রতিবেশি হৃদয় এর বাড়িতে যান। সেখানে দু’এক কথায় একেবারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র প্রতিবেশি হৃদয় মোল্যা ও তার স্ত্রী সোনিয়াকে মারপিট করে। সবিতা শিশু সন্তানকে নিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও বেধড়ক মারপিট করে সবিতাকে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেই থেকে সবিতা নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। শিশু সন্তান নিয়ে প্রচন্ড আঘাতের বেদনায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছে সবিতা। সেই সাথে তার সদ্য জন্ম নেয়া শিশুটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তার ও শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। এ ঘটনায় সবিতা’র শ্বশুর জহুর গোলদার গত ৪ নভেম্বর প্রতিবেশি হৃদয় মোল্যা ও সোনিয়া বেগম এর নামে নড়াইল সদর থানায় এজহার দায়ের করেছেন। জহুর গোলদার আরোও জানান,হৃদয় মোল্যা নড়াইল সদর এসি ল্যান্ড অফিসের গাড়ী চালক হওয়ায় ওসই গরমে চলেন। কাউকে তোয়াক্কা করেন না। কথায় কথায় মানুষের সাথে দূর্বব্যহার করেন। হৃদয় দম্ভেও সাথে বলেন তার বিরূদ্ধে কোথাও কোন অভিযোগ দিলে কিছু হবে না। কারণ তিনি সরকারি গাড়ী চালান। এ বিষয়ে হৃদয়’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চলছে। নড়াইল সদর থানা’র ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন,একজন পুলিশ অফিসারকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত