বিশেষ প্রতিনিধি : বাজার ব্যবস্থা সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে যেতে চলেছে। শীতের সবজি উঠতে শুরু করেছে তবে দাম সহনীয় নয়। সবজি বাজারের মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া ক্রমান্বয়ে ছুটে চলা থেমেছে। নিত্য পন্যের মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরার বিকল্প নেই আর এজন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও তদারকির বিষয়টি বিশেষ ভাবে আলেখ্য। সবজিবাজার, নিত্য পন্যের বাজারের পাশাপাশি মাছ, মাংস, বাজার ও উত্তপ্ত, সাতক্ষীরার বাস্তবতায় বাজার ব্যবস্থা বিশেষ করে সবজি বাজার কেবল মুল্য বৃদ্ধির ঝাজ ছড়াচ্ছে তা নয় এক শ্রেনির সবজি বিক্রেতারা ক্রেতা সাধারনকে ব্যাপক ভাবে ঠকাচ্ছে ফলশ্র“তিতে ক্রেতারা প্রতারনার শিকার হচ্ছে। সাতক্ষীরার কয়েকটি সবজি আড়তে সবজি আসে এবং উক্ত আড়তগুলো হতে সবজির মূল্য নির্ধারন করা হয়। সাতক্ষীরা শহর হতে মফস্বল বাজার কেন্দ্রীক উলেখযোগ্য সংখ্যক সবজির আড়তের মাধ্যমে খুচরা বাজারে সবজির সরবরাহ হয়। সাতক্ষীরা বরাবরই কৃষি প্রধান জেলা হিসেবে পরিচিত এবং এই জেলায় বিপুল পরিমান সবজির উৎপাদন হয় কিন্তু সবজির মুল্য কেন এমন অধিক? এই প্রশ্নের জবাব খুজতে যেয়ে বেরিয়ে আসছে কৃষকের তথা উৎপাদনকারীর দুঃখ ও কৃষকের বাস্তব পরিস্থিতি, বাজারে যে সবজি কেজি প্রতি ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে উক্ত সবজি কৃষক বিক্রি করছে ৪০ টাকার অনেক কম মূল্যে, মধ্যবর্তী স্থানে মধ্যস্বত্ত¡ভোগীরা ব্যাপক ভাবে লাভবান হচ্ছে, অন্যদিকে কৃষক নায্যমুল্য হতে বঞ্চিত হচ্ছে। সাতক্ষীরার হাটবাজার গুলোতে সবজি ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ সবজিতে প্রতিমুহুর্তে পানি ছিটিয়ে সবজি সতেজ ও ওজন বৃদ্ধির কাজ করে থাকে। সাতক্ষীরার বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রনে ও ক্রেতা সাধারনকে প্রতারনার কবল হতে রক্ষা করতে বাজার মনিটরিং করা জরুরী।
সাতক্ষীরার বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে। বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে সবজির দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যার প্রেক্ষিতে নিম্ন আয়ের মানুষ সহ সর্ব শ্রেণির মানুষের মাঝে বেড়েছে ভোগান্তি। উপজেলা শহর, বুধহাটা বাজার, বড়দলবাজার, কাদাকাটি বাজার, খাজরাবাজার, দরগাপুর বাজার, তেঁতুলিয়া বাজার, পাইথলী বাজার, গোয়ালডাংঙ্গা বাজার সহ বিভিন্ন হাট বাজারে সবজির দাম বাড়ার কারণে প্রতিনিয়তই বাজারে এসে হিমশিম খেতে হয় ক্রেতাদের। ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থি দেখা দিয়েছে।
বাজার সূত্রে জানা গেছে, সবজির বাজারে দীর্ঘ দিন ধরে চলছে এই অস্থিরতা। সবজির বাজার চড়া বলে দাবি বিক্রেতাদের। তবে এক এক বাজারে এক এক দাম লক্ষ্য করা যায়। বাজারে প্রায় সব ধরণের সবজি বিক্রি হচ্ছে উচ্চ মূল্যে। প্রতি কেজি আলু ৮০ টাকা, বেগুন ৭০থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৯০ টাকা, কাঁচা পেয়াজ ১০০ টাকা কেজি, ঢেরশ ৫০ টাকা , কাঁচা পেপে ৪০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, পোটল ৬০ টাকা, সীম ৯০ টাকা, ফুল কপি ৯০টাকা, গাজর ১৮০টাকা, বাঁধা কপি ৫০টাকা, মুলা ৪০ টাকা কেজি,ওল কপি ৮০ টাকা,টমেটো ১০০ টাকা কেজি, লেবু ৫টা পিছ,ফালং শাক ২০ টাকা এক আটি, লাল শাক এক আটি ১২টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি, লাউ প্রতি পিচ ৪০/৫০ টাকা বিক্রয় হচ্ছে। এ ছাড়া সরিষার তেল প্রতিটি কেজি ১৮০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২২০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৮০ থেকে বেড়ে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজির পাশাপাশি বিভিন্ন মাছ, মাংস, মুরগী সহ চাউলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
বুধহাটা বাজারের দোকানি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই সময়ে শাক সবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও সরবরাহ কম এবং আড়ৎ থেকে আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। যে কারণে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
পাইথলী কাঁচা বাজারে বাজার করতে আসা আব্দুল মজিদ ও ভ্যান চালক জালাল হোসেন বলেন, আমাদের আয় কম। এই কারণে প্রতিদিনই বাজার করতে হয়।এদিকে শাক- সবজি, চাউল, মাছ, মাংসের দাম নিত্যদিনই বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের দুর্বিসহ জীবন যাপন করতে হচ্ছে। আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে হয়। তাই বেশি দামে বিক্রি করা লাগে বলে জানান দোকানি আবুল হোসেন। তিনি আরও বলেন এ ছাড়া পরিবহন ব্যায় বেশি হওয়ায় দ্রব্য মূল্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।