কচুয়া প্রতিনিধি : কচুয়া উপজেলার ছিটবাড়ি গ্রামের গৃহবধূ পারভিন বেগম(৪৫) ও তার ৯ বছরের শিশু কন্যাকে নিজ বসতবাড়ি থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত করার প্রতিবাদে ও বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী নারী। গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় কচুয়া উপজেলা প্রেসক্লাব হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী জানান তার স্বামী হাফিজুর রহমান এর প্রথম স্ত্রী দীর্ঘকাল ধরে অসুস্থ থাকায় ১৫ বছর পূর্বে হাফিজুর রহমান ভুক্তভোগী নারীকে বিবাহ করে। এবং ভুক্তভোগী নারীকে স্বামী হাফিজুর রহমান বসতবাড়ির বিশ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। ভুক্তভোগী নারী বাপের বাড়ি থেকে টাকা সংগ্রহ করে সেই জমিতে একটি ঘর তৈরি করে। কয়েক বছর পরে প্রথম স্ত্রী ও তাদের সন্তানদের ষড়যন্ত্রে ভুক্তভোগী নারীকে স্বামী, দেবর, ও প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা ব্যাপক নির্যাতন করতে থাকে। রক্তাক্ত ওইসব নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী নারী মামলা করে। মামলায় স্বামী জেল হাজতে আছে। অন্যান্য আসামীরা জামিনে বেরিয়ে ভুক্তভোগীর বসতবাড়ি জোরপূর্বক ঘরের তালা ভেঙে দখলে নেয় এবং ঘরে রক্ষিত স্বর্ণালংকার সহ মূল্যবান জিনিসপত্র আত্মসাৎ করে। ভুক্তভোগী পারভীন ঘরে বসবাস করতে চাইলে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগী ও তার কন্যা সন্তানকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেয় অভিযুক্তরা। ভুক্তভোগী পারভিন জানান, এ বিষয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে জানানো হলে পুলিশ সুপার মহোদয় কচুয়া থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মৌখিক নির্দেশ দেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে কচুয়া থানা পুলিশ অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে ভুক্তভোগীকে বারবার অসহযোগিতা করে আসছে। ভুক্তভোগী নারী পারভীন ও তার কন্যা সন্তান এ ঘটনার সঠিক বিচার চেয়ে সবার কাছে আকুতি জানিয়েছেন।