ডেস্ক রিপোর্ট : রূপসা খেঁয়াঘাটে ট্রলার দুর্ঘটনায় দু’-তিন জন নিখোঁজ রয়েছেন। রোববার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বেপরোয়া গতিতে চলা ট্রলারটি ঘাটের পূব পাশের পন্টুনে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তখন কয়েকজন যাত্রী নদীতে পড়ে যান। তাদের মধ্যকার একজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেলেও অন্যদের সম্পর্কে জানা যায় নি।
স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নদীতে ভাটা ছিল। তখন শহর থেকে আবাসস্থলগামী ২৫/৩০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার নদীর পশ্চিম পাড়ের ঘাট থেকে পূর্ব পাড়ের ঘাটে যায় এবং সজোরে পন্টুনের সাথে ধাক্কা খায়। সে সময় দু’ থেকে তিন জন পানিতে পড়ে যায়। এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে ভিন্ন-ভিন্ন তথ্য দিয়েছে। কেউ বলেছেন-একজন নারী তার কোলের সন্তানকে নিয়ে নিখোঁজ আছেন, আরেকজন পুরুষ। আবার কেউ বলছেন- পানিতে তিন জন পুরুষ পড়ে যান। তাদের মধ্যকার একজন সাতরে কিনারায় উঠতে পারলেও দু’জন ভাটার টানে ভেসে যান।
নিখোঁজ তিন জনের একজন শেখ মহিদুল হক মিঠুন (৪০)। তিনি নগরীর একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকারি করেন। রাতে ডিউটি শেষে তিনি রূপসার তিন বটতলা এলাকার ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন। ভিকটিম রূপসার তালিমপুর গ্রামের জনৈক মাহাবুবুর রহমানের ছেলে। অন্যদের নাম-পরিচয় উদঘাটনের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
রূপসা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবুল খায়ের দৈনিক সংযোগ প্রতিদিনকে বলেন, ঘটনার পর নৌ পুলিশ এবং কোস্টগার্ডের টিম সোমবার ভোর রাত দুইটা পর্যন্ত রূপসা নদীসহ তৎসংলগ্ন নদীতে নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চালান। এরপর সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এবং নৌ পুলিশের উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অভিযান চলছিল। অভিযুক্ত ট্রলার চালক পালিয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।