সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সুন্দরবন সংলগ্ন চুনকুড়ি নদীর লোকালয় অংশে বেড়িবাঁধে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের হরিনগরের স্লুইস গেট সংলগ্ন ঋষিপাড়া এলাকার চুনকুড়ি নদীর ভাঙনে একটি পরিবারের বসতঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীভাঙনের কারণে আতঙ্কে রয়েছে নদী পাড়ের মানুষ। নদীভাঙন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে হরিনগর বাজার ও বিস্তীর্ণ জনপদসহ অনেক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী। স্থানীয়রা জানান, মালঞ্চ ও চুনকুড়ি নদীর মিলনস্থল হরিনগর বাজারের স্লুইস গেট সংলগ্ন এলাকায় তীব্র স্রোতের কারণে নদী তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে নদীভাঙনের কারণে একটি পরিবারের বসতঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন যেকোনো সময় আশপাশের অন্যান্য পরিবারের বসতঘর বিলীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। এ ছাড়াও ঝুঁকিতে রয়েছে হরিনগর বাজারের শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার হরিনগরের ঋষিপাড়া এলাকায় নদী তীরের মানুষ ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। কেউ কেউ নদী তীরে বাঁশ ও গাছ দিয়ে বাঁধ তৈরি করে বসতবাড়ি রক্ষার চেষ্টা করছেন। ভাঙনের ঝুঁকি থাকায় আশপাশের লোকজন তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ সেখানকার বাসিন্দারা বসতভিটা ভেঙে নিয়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন। এ ছাড়াও ভাঙনকবলিত ওই এলাকার মানুষ সহায় সম্বল হারিয়ে চরম সংকটের মধ্যে পড়েছেন। নদীর এমন ভয়াল রূপ ধারণ করায় নদীর তীরের মানুষগুলো আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। পরিবারগুলো নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গত দুই সপ্তাহে এই চুনকুড়ি নদীর দু’টি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এখনো স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। হরিনগরের ঋষিপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা হামিদা খাতুন ঘরের কিছু জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানান, গত ৪০ বছর ধরে তার পরিবার এই চুনকুড়ি নদীর তীরে বসবাস করে আসছেন। প্রায়ই নদীভাঙনের শিকার হন তারা। গত দুই সপ্তাহ আগে তাদের ঘর সংলগ্ন এলাকায় ফাটল দেখা দেয়। আস্তে আস্তে সেটি বড় আকার ধারণ করেছে। একটি ঘরও নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। রাতে বাড়িতে থাকতে পারেন না তারা। জোয়ারের পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন শুরু হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন কর্মকর্তা প্রিন্স রেজা বলেন, হরিনগরের স্লুইস গেট সংলগ্ন ঋষিপাড়া এলাকায় নদীভাঙনের ওই স্থান পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রনী খাতুন বলেন, খবর পেয়ে পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নিয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। হরিনগর স্লুইস গেট সংলগ্ন ঋষিপাড়া এলাকায় নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে একটি পরিবারের বসতঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে ওই স্থানের চারটি পরিবারকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেছি। এ ছাড়া দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই ভাঙন রোধে কাজ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদের সাথে কথা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান হরিণগরের যে নদী ভাঙ্গনের সমস্যা এটি আমাদের অনিয়ন বোর্ডের আওতাধীন নয়, তারপরেও আমরা ওখানে কাজ করব ইতিমধ্যে আমরা প্রকল্পের অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি প্রধান প্রকৌশলী বরাবর এছাড়া আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙবেন রথ করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভাঙ্গনটি হরিনগর বাজার সংলগ্ন ভেড়িবাদের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আইনগত একটু বাধ্যবাধকতা রয়েছে আপনারা সকলেই জানেন মান উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়ি বাড়তি হরিনগরের বাজারের ভেতর দিয়ে চলে গেছে বাইরে যে বাড়তি রয়েছেন সেটি হচ্ছেন সেটি হচ্ছেন হরিনগর বাজার রক্ষা ভেড়িবাজ এটি প্রায় সময় কাজ করে আসছেন স্থানীয় সরকার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দপ্তরের বরাদ্দ থেকে তারপরেও আমরা কাজ করব কারণ বাজার রক্ষা বেরিবাদ যদি না থাকে তাহলে ঝুঁকি পড়বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাস্তায় সে কারণে আমরা জরুরি ভিত্তিতে এই ভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু করব। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম সেখানে দেখেছি চারটি পরিবার একেবারেই ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নদীতে নিয়ে গেছে তারা এখন রাস্তার উপর মাথা জীবন যাপন করছেন।