বিশেষ প্রতিনিধি : ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের উপকূল সহ সকল এলাকা মিলে ৯৬ ৩০০হাজার মেট্রিক টন বাগদা ও গলদা চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে, বছর যত যাচ্ছে চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানির হার বেড়েই চলেছে ।সাতক্ষীরাতে চিংড়ি মাছ চাষ সাধারণত গ্রীষ্ম এবং বর্ষা মৌসুমে বেশি সফল হয়, অর্থাৎ মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এই সময় আবহাওয়া ও পানির তাপমাত্রা চিংড়ি চাষের জন্য অনুকূল থাকে। তবে চিংড়ি চাষের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে সারা বছরই ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব।
১. মৌসুম
ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল: পোনা সংগ্রহ ও পুকুর প্রস্তুতি।
মে-সেপ্টেম্বর: পূর্ণাঙ্গ চাষের মৌসুম। এসময় পরিবেশ ও পানির তাপমাত্রা প্রায় ২৫-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, যা চিংড়ি বৃদ্ধির জন্য উপযোগী।— thinking about চিংড়ি চাষ মাছ চাষ.
অক্টোবর-ডিসেম্বর: শীতকালে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চিংড়ির বৃদ্ধি কমে যায়। তবে এই সময়েও কিছু উপায়ে চাষ অব্যাহত রাখা যায়।
২. পুকুর প্রস্তুতি
পুকুর নির্বাচন: ১-২ মিটার গভীরতার পুকুর উপযুক্ত। পুকুরের পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে পানি সহজে পরিষ্কার থাকে।
পুকুর প্রস্তুতি: চাষ শুরুর আগে পুকুর পরিষ্কার করা এবং চুন ও সার প্রয়োগ করা হয়। এতে পানির গুণমান ভালো হয় এবং প্রাকৃতিক খাবার জন্মাতে সাহায্য করে।
৩. পোনা সংগ্রহ ও অবমুক্তকরণ
পোনা নির্বাচন: ভালো মানের পোনা বাছাই গুরুত্বপূর্ণ। বাগদা চিংড়ি বা গলদা চিংড়ির পোনা সাধারণত খাল, নদী বা সরকারি কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করা হয়।
পোনা অবমুক্তকরণ: পুকুরে পোনা ছাড়ার সময় পানির তাপমাত্রা ও লবণাক্ততা মিলিয়ে নিতে হবে। পোনা ছাড়ার আগে তাদের পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
৪. চিংড়ির খাবার
প্রাকৃতিক খাদ্য: পুকুরে প্রাকৃতিক খাবার যেমন শৈবাল এবং প্ল্যাঙ্কটন উৎপাদনের জন্য সার প্রয়োগ করা হয়।
বাণিজ্যিক খাদ্য: পোনার দ্রুত বৃদ্ধির জন্য বাণিজ্যিক খাবার সরবরাহ করা হয়। এই খাদ্য প্রোটিনসমৃদ্ধ হওয়া উচিত।
৫. পানি ব্যবস্থাপনা
পানির তাপমাত্রা এবং লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। সাতক্ষীরার জলবায়ু এবং লবণাক্ততা চিংড়ির জন্য উপযোগী হলেও নিয়মিতভাবে পানির মান পরীক্ষা করা উচিত।
৬. রোগ নিয়ন্ত্রণ
চিংড়ি চাষে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসজনিত রোগ দেখা দিতে পারে। তাই, পুকুরে যথাযথ পরিচর্যা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বায়োফ্লক পদ্ধতি অনুসরণ করলে রোগের প্রকোপ কমানো যায়।
বায়োফ্লক পদ্ধতি
সাতক্ষীরাতে বায়োফ্লক প্রযুক্তি বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে পুকুরে জৈব পদার্থ তৈরি করে চিংড়ির খাদ্য যোগান দেওয়া হয়, যা উৎপাদন খরচ কমায় এবং রোগের ঝুঁকি কমায়।
সঠিক চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করলে সাতক্ষীরাতে চিংড়ির চাষে অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশে ভেনামি চিংড়ির পরীক্ষামূলক চাষ সফল হওয়ার পর বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উচ্চ উৎপাদনের সম্ভাবনাময় এই চিংড়ি চাষের অনুমতি দিয়েছিল সরকার। ফলে যে কেউ আবেদন করে চাষ করতে পারছেন। তবে লাভজনক হলেও এই জাতের চিংড়ি চাষ তেমন একটা বাড়েনি।
দেশে ভেনামির পরীক্ষামূলক চাষ শুরু হয় ২০১৯ সালে। চার বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ রফতানি আয় বাড়াতে খুলনা অঞ্চলে এই চিংড়ির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। চাষেও মিলেছে সফলতাও। কিন্তু বিদেশ থেকে খাদ্য, ওষুধ ও পোনা আমদানি এবং চাষের স্থানে জৈবনিরাপত্তা (বায়োসিকিউরিটি) নিশ্চিতের কড়াকড়ি থাকায় চাষ বাড়েনি। গত বছর খুলনায় আট জন চাষের অনুমোদন পেয়েছিলেন। এর মধ্যে চাষ করেছেন তিন জন। বাকি পাঁচ জন পোনা না পাওয়ায় চাষ করতে পারেননি।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটে চিংড়ি রফতানি কমে গিয়েছিল। সেইসঙ্গে বাগদার উৎপাদন কমে যায়। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। এমন পরিস্থিতিতে ভেনামিতে আশার আলো দেখেন চিংড়ি ব্যবসায়ীরা। কারণ এই চিংড়ির উৎপাদন যেমন বেশি, এর পেছনে খরচও তেমনি কম। তাই সরকার পরীক্ষামূলকভাবে উচ্চ উৎপাদনশীল ভেনামি জাতের বিদেশি চিংড়ি চাষের সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, যেটি এত দিন ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কায় নিষিদ্ধ ছিল। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ মৎস্য অধিদফতর ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) অধীনে ২০২১ সালে পরীক্ষামূলকভাবে পাইকগাছায় চাষ শুরু হয়। সে বছর দুটি প্রতিষ্ঠান চাষ করে সফলতা পায়। তার ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে আট প্রতিষ্ঠান অনুমতি পেয়ে চাষ করে সফলতা পায়।
রফতানিকারকরা বলছেন, বাগদা চিংড়ির (ব্ল্যাক টাইগার) চেয়ে ভেনামির উৎপাদন খরচ প্রায় অর্ধেক। এ কারণে বিদেশে প্রতিযোগিতার বাজারেও টিকে থাকা যাবে। অন্যান্য দেশ ভেনামি উৎপাদন ও রফতানি করে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। ১০ বছর আগে ভারত ভেনামি চিংড়ি উৎপাদন শুরু করেছিল। এখন তারা ওই খাতে অনেক সফল। বাংলাদেশে চাষ বাড়লে এবং রফতানি ঠিকমতো হলে লাভ হবে।
খাদ্য, ওষুধ ও পোনা আমদানি এবং চাষের স্থানে জৈবনিরাপত্তা নিশ্চিতের কড়াকড়ি থাকায় চাষাবাদ বাড়েনি
বিদেশ থেকে ভেনামি পোনা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এম ইউ সি ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শ্যামল দাস জানিয়েছেন, দেশে বাগদা চিংড়ির উৎপাদন কমে যাচ্ছে। যে কারণে প্রতি বছর চিংড়ি রফতানি কমছে। চিংড়ির অভাবে অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে উচ্চ উৎপাদনশীল জাতের ভেনামি চিংড়ি চাষ করা ছাড়া আমাদের সামনে কোনও বিকল্প নেই। এটি অনেক লাভজনক।
ভেনামি চিংড়ি উচ্চ উৎপাদনশীল মাছ। এটি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের একটি প্রজাতি। উচ্চ উৎপাদনের পাশাপাশি এর রোগ প্রতিরোধক্ষমতার জন্যও এটি এখন সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে। বর্তমানে পৃথিবীজুড়ে উৎপাদিত চিংড়ির ৮০ শতাংশই ভেনামি। ইংরেজি নাম ‘হোয়াইটলেগ শ্রিম্প’ বা সাদা পায়ের চিংড়ি। শুধু পা দেখতে সাদা এমন নয়, পুরো চিংড়িই দেখতে সাদাটে। অনেকটা স্থানীয় জাতের হরিণা চিংড়ির মতো। ফলে প্রথম দেখায় হরিণা ভেবে ভুল করেন অনেকে। বর্তমানে চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, একুয়েডর, মেক্সিকো ইত্যাদি দেশে চাষ হচ্ছে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ভালো থাকলেও খাদ্যাভ্যাস ও আবহাওয়া বিবেচনায় চাষের ঝুঁকি বেশি। ফলে চাষ ব্যবস্থাপনায় জৈবনিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিতে হয়। চাষের ক্ষেত্রে পানি ও বর্জ্য শোধন, ভৌত অবকাঠামোর বিচ্ছিন্নতা, বায়ু সঞ্চালন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, রোগের তথ্য সংরক্ষণ, খাদ্য প্রয়োগ—এসব বিষয়ে নজরদারি রাখতে হয়।
মৎস্য অধিদফতর বলছে, দেশের উপকূলবর্তী এলাকায় ২ লাখ ৬ হাজার ৭৬৩ হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ হয়। এই জমিতে ২০২১-২২ অর্থবছরে বাগদা উৎপাদন হয়েছিল মাত্র ৭২ হাজার ৮০৯ টন। বর্তমান বিশ্বে উৎপাদিত চিংড়ির ৮০ শতাংশ ভেনামি প্রজাতির হলেও বাংলাদেশে এর উৎপাদন করা যাচ্ছিল না। সরকারি সিদ্ধান্তের ফলে এখন দেশে চিংড়ি উৎপাদন ও রফতানি দুটিই বাড়বে।
চাষিরা বলছেন, দেশে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ব্ল্যাক টাইগার চিংড়ি, যেটি বাগদা নামে পরিচিত। সনাতন উপায়ে খামারে চাষ করলে হেক্টরপ্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ কেজির মতো বাগদা উৎপাদন সম্ভব। তবে এই চিংড়ি যদি নিবিড় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হয়, তাহলে হেক্টরপ্রতি দেড় টন থেকে দুই টন মাছ পাওয়া সম্ভব।
অন্যদিকে, নিবিড় পদ্ধতিতে ভেনামি চিংড়ি চাষ করা হলে হেক্টরপ্রতি ৮ থেকে ১০ টন পর্যন্ত চিংড়ি পাওয়া সম্ভব। তাতে খরচ বাদে বিনিয়োগের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সঠিকভাবে ভেনামি চাষ করা গেলে আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এই খাতে বাংলাদেশের রফতানি আয় দ্বিগুণ হয়ে যাবে
২০২৩ সালে চাষের আবেদন করেন ৯ জন। অনুমোদন পান আট জন। এর মধ্যে চাষ করেন তিন জন। তারা সফলতা পেয়েছেন। বাকিরা পোনার অভাবে চাষ করতে পারেননি। ২০২৪ সালে অনুমতি পেয়েছেন ছয় জন। শেষ পর্যন্ত পোনা পাবেন কিনা, তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। কারণ পোনা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। সেইসঙ্গে খাদ্য ও ওষুধ আমদানি করতে হবে। এসব কারণে আগ্রহী হচ্ছেন না চাষিরা।
চাষিরা বলছেন, ভেনামি চিংড়ি রোগ সহনীয় এবং উৎপাদন সন্তোষজনক। চাষে খরচ কম। কিন্তু এর খাদ্য, ওষুধ ও পোনা আমদানি করতে বেশি টাকা খরচ হয়। পাশাপাশি চাষের ক্ষেত্রে জৈবনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়। ফলে চাষে আগ্রহী হচ্ছি না আমরা। এজন্য চাষ বাড়ছে না।
লোকসানের ভয়ে চাষ বাড়ছে না বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এম এ হাসান পান্না। তিনি বলেন, ‘দেশে ভেনামির পোনা উৎপাদনে একটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিলেও লোকসানের ভয়ে উৎপাদনে আসেনি। ফলে পোনা ও খাবার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যা ব্যয়বহুল। সেইসঙ্গে চাষে মৎস্য বিভাগের বিধিনিষেধ আছে। এসব কারণে উৎপাদন বাড়ছে না। পোনা ও খাবার এখানে উৎপাদন হলে এবং উন্মুক্ত জলাশয়ে চাষের অনুমতি দিলে চাষ বাড়বে।’
২০২৩ সালের ২৯ মার্চ রফতানি আয় বাড়াতে খুলনা অঞ্চলে এই চিংড়ির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়
মৎস্য অধিদফতর বলছে, জৈবনিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে সনাতন পদ্ধতির বদলে আধা নিবিড় বা নিবিড় পদ্ধতিতে ভেনামি চিংড়ি চাষ করতে হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ যথাযথভাবে মানসম্মত খাদ্য দিতে হবে। কোনোভাবেই অননুমোদিত অ্যান্টিবায়োটিক, রাসায়নিক বা কীটনাশক প্রয়োগ করা যাবে না। আর বাজারজাত করার ৮ থেকে ১০ দিন আগে চিংড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিতে হবে।
খুলনা বিভাগীয় পোনা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পাইকগাছা উপজেলার পুরস্কারপ্রাপ্ত ঘের ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া রিপন বলেন, ‘আমদানি নির্ভরতার কারণে ভেনামি চিংড়ি চাষ বাড়ছে না। ইচ্ছে থাকলেও এই চিংড়ি চাষ বাড়াতে পারছেন না চাষিরা। কারণ নানা ধরনের বিধিনিষেধ আছে।’
মৎস্য অধিদফতর বলছে, ভেনামি বিদেশি প্রজাতির মাছ। তাই উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছটি ছড়িয়ে পড়লে দেশি মাছের ক্ষতি হবে। নির্দিষ্ট স্থানে চাষাবাদ করতে হবে। না হয় কোনও ধরনের ভাইরাস ছড়াতে পারে। কারণ খাদ্যাভ্যাস ও আবহাওয়া বিবেচনায় এই চিংড়ি চাষের ঝুঁকি একটু বেশি।
এসব কারণে ভেনামি চিংড়ি চাষ ব্যবস্থাপনায় জৈবনিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিতে হয় বলে জানালেন খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল। তিনি বলেন, ‘ভেনামি চাষে সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। কারণ পরিবেশগত দিকসহ আধুনিক চাষ পদ্ধতির প্রস্তুতির বিষয় আছে। প্রস্তুতি ঠিক থাকলে অনুমোদন পাওয়া সহজ। পোনা ও খাদ্য আমদানি করতে হয়। এ বছর আরও ছয় জন অনুমোদন পেয়েছেন। গত বছর অনুমোদন পেয়েও পাঁচ জন পোনা না পাওয়ায় চাষ করতে পারেননি। গতবার যে তিন জন চাষ করেছেন তারা হেক্টরপ্রতি ১২ টন উৎপাদন করতে পেরেছেন। তাদের লাভ হয়েছে ভালোই।’
ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়বে জানিয়ে এই মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘২০০৬-০৭ অর্থবছরে বাগদা-গলদা- হরিণা চিংড়ি উৎপাদন হয়েছিল ১৮ হাজার ২৫৫ মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে ২৫ হাজার ৩৭৫ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। ভেনামি উৎপাদন ২০২২-২৩ অর্থবছরে শুরু হয়। তখন উৎপাদন হয়েছিল ১৩৫ মেট্রিক টন। এ বছর আরও বাড়বে।’
চলতি বছর সারাদেশে ২ লাখ ৬৩ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ হচ্ছে জানিয়ে মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, ‘এখান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার টন চিংড়ি উৎপাদন হবে। খুলনায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৫৮৫ টন গলদা, ১২ হাজার ৫৯১ টন বাগদা, এক হাজার ৪০৩ টন ভেনামি (পরীক্ষামূলক), ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৩ হাজার ৩২৫ টন গলদা, ১২ হাজার ৫৪৯ টন বাগদা, এক হাজার ৭৩৩ টন ভেনামি (পরীক্ষামূলক), ২০২০-২১ অর্থবছরে ১১ হাজার ৪৪৬ টন গলদা, ১১ হাজার ৩১৭ টন বাগদা, এক হাজার ৯৩৫ টন ভেনামি (পরীক্ষামূলক), ২০২১-২২ অর্থবছরে ১১ হাজার ৯৩৮ টন গলদা, ১১ হাজার ২২৪ টন বাগদা, এক হাজার ৯৬০ টন ভেনামি (পরীক্ষামূলক), ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২ হাজার ১৫৭ টন গলদা, ১১ হাজার ২৬৪ টন বাগদা এবং এক হাজার ৯৫৩ টন ভেনামির বাণিজ্যিক উৎপাদন হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯১৫ ০০হাজার মেট্রিক টন বাগদা ও গলদা চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে ২০২৪ ২৫ অর্থবছরে ৯৬৩০০ মেট্রিক টন বাগদা ও গলদা চিংড়ি উৎপাদন হয়েছেএই হিসাবে ভেনামি চিংড়ি তেমন একটা বাড়েনি।’