বিশেষ প্রতিনিধি : জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র অভিঘাতে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এক গবেষণায় উঠে এসেছে, এই অঞ্চলের মানুষ জীবিকা, নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের অভাবে বিপর্যস্ত জীবনযাপন করছেন। সংকট এতটাই তীব্র যে, মানুষজন তাদের মূল ভিটেমাটি ছেড়ে শহরের বস্তি এলাকায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন, যা একটি নতুন মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এডুকো ও উত্তরণের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে পরিচালিত গবেষণাটিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী। গবেষণার জন্য সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ তিনটি ইউনিয়ন বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা ও পদ্মপুকুর এবং জলবায়ুতাড়িত বাস্তুচ্যুত মানুষে পূর্ণ সাতক্ষীরা পৌরসভার পাঁচটি বস্তি এলাকাকে বেছে নেওয়া হয়।
প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ তাদের দৈনন্দিন খাবার কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকে ভাত ও ডালের বাইরে অন্য কোনো খাবার জোগাড় করতে পারছেন না। কর্মসংস্থানের অভাবে এই অঞ্চলের পুরুষদের একটি বড় অংশ বছরে ৬ থেকে ৮ মাসের জন্য পরিবার ছেড়ে ইটভাটা বা অন্য শহরে কাজে পাড়ি জমান। এর ফলে এলাকায় নারী-প্রধান পরিবারের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপকূলের চিত্র: জীবিকার খোঁজে মরিয়া মানুষ
গবেষণায় দেখা গেছে, উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কর্মসংস্থানের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। সিডর ও আইলার মতো ঘূর্ণিঝড় এই অঞ্চলের চিংড়ি ও ধানের খামার সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। জীবিকার সন্ধানে মানুষ নেতিবাচক অভিযোজন কৌশল বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ তাদের দৈনন্দিন খাবার কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকে ভাত ও ডালের বাইরে অন্য কোনো খাবার জোগাড় করতে পারছেন না। কর্মসংস্থানের অভাবে এই অঞ্চলের পুরুষদের একটি বড় অংশ বছরে ৬ থেকে ৮ মাসের জন্য পরিবার ছেড়ে ইটভাটা বা অন্য শহরে কাজে পাড়ি জমান। এর ফলে এলাকায় নারী-প্রধান পরিবারের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গবেষণায় সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনায়। তিনটি ইউনিয়নেই নিরাপদ পানীয় জল এবং গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার্য জলের তীব্র সংকট রয়েছে। স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের অভাবে নারী ও মেয়েরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, এই এলাকার নারীদের মধ্যে জরায়ু সংক্রান্ত সমস্যা (৬০-৭৪%) এবং প্রজননগত সমস্যা (৪৫-৬৬%) উদ্বেগজনক হারে দেখা গেছে। এর পাশাপাশি, নদীর দুর্বল বা অনুপযুক্ত বাঁধগুলো এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
উপকূল থেকে বাস্তুচ্যুত এই মানুষেরা আশ্রয় নিচ্ছেন সাতক্ষীরা পৌরসভার বস্তিগুলোতে। কিন্তু সেখানেও মিলছে না স্বস্তি। গবেষণায় উঠে এসেছে, এই বস্তি এলাকাগুলো সংকটের এক নতুন রূপ ধারণ করেছে। স্বল্প আয়ের (যেমন রিকশা চালানো বা দিনমজুরি) কারণে বস্তিবাসীরা তীব্র দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, যা তাদের জীবনযাত্রাকে আরও দুর্বিষহ করে তোলে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে অপর্যাপ্ত টয়লেট, অস্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন সুবিধা এবং নিরাপদ পানীয় জলের তীব্র সংকট। এই সম্মিলিত দারিদ্র্য শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে; তারা স্কুল থেকে ঝরে পড়ে শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হচ্ছে, যা দারিদ্র্যের এই চক্রকে স্থায়ী রূপ দিচ্ছে। তদুপরি, অনেক বস্তিবাসী সরকারি খাস জমিতে বাস করায় ক্রমাগত উচ্ছেদের আতঙ্কেও থাকেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলের মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে শহরের বস্তিতে আশ্রয় নিচ্ছেন, কিন্তু উভয় স্থানেই তারা বিপর্যস্ত। উপকূলে লবণাক্ততা ও কর্মসংস্থানের অভাব, আর বস্তিতে দারিদ্র্য ও জলাবদ্ধতার সংকট। - অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী, পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
গবেষক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী এই দ্বিমুখী সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা প্রদান করেছেন। এর একাংশ উপকূলীয় ইউনিয়ন এবং অপরাংশ শহরের বস্তিগুলোর জন্য। উপকূলীয় ইউনিয়নের জন্য সুপারিশগুলো হল- ১. কৃষি ও জীবিকা: লবণাক্ততা-সহনশীল কৃষি প্রযুক্তি ও বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি জলবায়ু-সহনশীল স্থানীয় জাতের গবাদি পশু পালনে উৎসাহিত করা। ২. স্বাস্থ্য ও পানি: জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের জন্য, এবং নিরাপদ পানির সুবিধা নিশ্চিত করা। ৩. প্রকল্প: সুপারিশের ভিত্তিতে পরীক্ষামূলক প্রকল্প গ্রহণ করা।
শহরের বস্তিগুলোর জন্য সুপারিশগুলো হল- ১. দারিদ্র্য নিরসন: বস্তিবাসীর দারিদ্র্য কমাতে সরাসরি নগদ অর্থ সহায়তার পরিবর্তে, তাদের বিদ্যমান জীবিকা টেকসই করতে ‘শুধুমাত্র উপকরণ সহায়তা’ প্রদান করা। ২. শিশুশ্রম রোধ: শিশুশ্রম বন্ধ করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে শিশুদের জন্য ‘শিক্ষা সহায়তা’ (যেমন টিউশন ফি, পোশাক, টিফিন ইত্যাদি) নিশ্চিত করা। ৩. অবকাঠামো: জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং নিরাপদ পানি ও টয়লেট সুবিধা বৃদ্ধি করা।
গবেষক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরীর বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলের মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে শহরের বস্তিতে আশ্রয় নিচ্ছেন, কিন্তু উভয় স্থানেই তারা বিপর্যস্ত। উপকূলে লবণাক্ততা ও কর্মসংস্থানের অভাব, আর বস্তিতে দারিদ্র্য ও জলাবদ্ধতার সংকট। আমাদের সুপারিশ হলো উপকূলে লবণাক্ততা সহনশীল কৃষি চালু করা এবং বস্তিতে দারিদ্র্য কমাতে নগদ টাকার বদলে ‘উপকরণ সহায়তা’ ও শিশুশ্রম বন্ধে ‘শিক্ষা সহায়তা’ নিশ্চিত করা। উভয় ক্ষেত্রেই, স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ ও সচেতনতা ছাড়া টেকসই সমাধান সম্ভব নয়।
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল, যেখানে প্রতিদিন মানুষ লড়ে যাচ্ছে প্রকৃতির সঙ্গে। লবণাক্ততা, জলোচ্ছ্বাস, সাইক্লোন, একের পর এক আঘাতে ক্ষয়ে যাচ্ছে জমি, ফসল, ঘরবাড়ি, আর মানুষের জীবন। সমুদ্রের পানি যত এগিয়ে আসছে, পিছিয়ে যাচ্ছে জীবন, পিছিয়ে যাচ্ছে সভ্যতা। গবেষণা বলছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মিঠা পানির অঞ্চল ভবিষ্যতে ৯০% পর্যন্ত সংকুচিত হতে পারে।
কৃষি, মৎস্য, লবণচাষ, সব ক্ষেত্রেই অনিশ্চয়তা। এদিকে উপকূলের স্বাস্থ্যব্যবস্থাও দুর্বল। রক্তচাপ, কিডনি, এমনকি গর্ভবতী নারীদের জটিলতা পর্যন্ত বাড়ছে।
লবণাক্ততা, ভূমিক্ষয়, নদীভাঙন, সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, পানি সংকট, স্বাস্থ্য সমস্যা, পরিবেশগত হুমকি, জীববৈচিত্র্য ধংস। এতসব প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করা উপকূলীয় মানুষগুলো যাবে কোথায়? বিশ্ব কি শুনবে তাদের আর্তনাদ?
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা বাড়ছে। সমুদ্রের পানি যত এগিয়ে আসছে, উপকূলের মানুষ ততো বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এবং বাধ্য হয়ে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। বে অব বেঙ্গল অর্থাৎ বঙ্গোপসাগরের সাথে যুক্ত বাংলাদেশের ১৯ টি উপকূলীয় জেলার মানুষ সরাসরি প্রতিকূলতায় ভূগছে। লবণাক্ততা, পানি সংকট, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াল থাবায় তারা নিরুপায় হয়ে তাদের বসতভিটা ছাড়ছে এবং থাকা শুরু করছে বিভিন্ন শহরে, বিশেষ করে ঢাকার বস্তি গুলোতে এবং বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যেখানে তাদের থাকার কথা নয়।
উপকূলীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বড় হুমকি এখন লবণাক্ততা। জরিপ বলছে উপকূলজুড়ে প্রায় দুই কোটি মানুষ সরাসরি লবণাক্ততার প্রভাবে ভুছে।
সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহটের পানি এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিরাপদ সীমার চেয়ে প্রায় ৩০ গুণ বেশি লবণাক্ত। এই লবণাক্ত পানি শুধু ফসল নষ্ট করছে না,
বরং মানুষের শরীরেও মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, বুলবুল, মোখা, প্রতিবারই উপকূলের মানুষ হারিয়েছে তাদের ঘর, ফসল, পরিবার। নদীভাঙনে বছরে হাজারো পরিবার বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, এসব অঞ্চলে ভাঙন যেন এক অবিরাম দুঃস্বপ্ন। জলোচ্ছ্বাসে এক রাতে হারিয়ে যায় বসতি, বেঁচে থাকা মানুষগুলো চলে যায় বাঁধের ওপর, অথবা রাজধানী ও বড় শহরে, যেখানে তাদের জন্য নেই কোনো স্থায়ী আশ্রয়।
যে মাটি একসময় ধান, পাট, বা সবজি ফলাত আজ সেখানে হয় না কিছুই। মাছের ঘেরগুলোও লবণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। কৃষি, মৎস্য, লবণচাষ, সব ক্ষেত্রেই অনিশ্চয়তা। এদিকে উপকূলের স্বাস্থ্যব্যবস্থাও দুর্বল। রক্তচাপ, কিডনি, এমনকি গর্ভবতী নারীদের জটিলতা পর্যন্ত বাড়ছে। লবণাক্ত পানির জন্য শরীরে চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, চেহারা কালচে হয়ে যাচ্ছে যা মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রে বাধা ও সংকট তৈরি করছে
লবণাক্ততা ও দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সুন্দরবনের গাছপালা ও বন্যপ্রাণী। জোয়ার-ভাটার ধারা বদলে যাচ্ছে, নোনা পানির অনুপ্রবেশে বিপন্ন হচ্ছে মিঠা পানির মাছ ও কৃষি জীববৈচিত্র্য। প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনেও লবণ ও তাপমাত্রা পরিবর্তনের প্রভাবে প্রবাল রিফ দ্রুত মারা যাচ্ছে। এভাবে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য।
বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু-সংবেদনশীল দেশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা, যেখানে বসবাস করে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ। এখানকার মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিটি অভিঘাত নিজের জীবনে প্রতিদিন অনুভব করছে। পরিসংখ্যান বলছে প্রতি বছর প্রায় ৭-১০ লাখ মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত। যদি বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২°C পর্যন্ত বেড়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশের ১ কোটিরও বেশি উপকূলবাসী স্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত হতে পারে।
সমুদ্রপৃষ্ঠ গড়ে ৩-৭ মিলিমিটার করে বাড়ছে। এই হার অব্যাহত থাকলে, ২০৫০ সালের মধ্যে উপকূলীয় নিম্নভূমির ১৭% পর্যন্ত ডুবে যেতে পারে, যার ফলে অনেক জায়গা স্থায়ীভাবে বসবাস অযোগ্য হয়ে যা
লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে কৃষিজমিতে ফলন কমছে, অনেক জায়গায় ফসল উৎপাদন বন্ধ। পানযোগ্য জলের তীব্র সংকট। নারীদের গর্ভকালীন সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, চর্মরোগ বাড়ছে। মিঠা পানির মাছ ও গাছপালা বিলুপ্ত হচ্ছে
ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভূমিক্ষয় ও নদীভাঙনের ফলে ক্রমবর্ধমান বাস্তুচ্যুতি হচ্ছে (climate migration)। উপকূলের অনেক গ্রাম মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। চরম পানির সংকট ও স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। পানি বিষের ন্যায় আচরণ করছে, যেটা মনে হতে পারে প্রকৃতির অভিশা।
সুন্দরবনের গাছপালা অতিরিক্ত লবণাক্ততায় মারা যাচ্ছে, প্রাণীর আবাস কমছে। সেন্ট মার্টিনের প্রবাল রিফ মারা যাচ্ছে পানির উষ্ণতা বৃদ্ধিতে।
কৃষি, মৎস্য ও লবণচাষে অনিশ্চয়তা, মানুষ বাধ্য হয়ে শহরমুখী হচ্ছে, নগর এলাকায় বস্তিবাসী বৃদ্ধি পাচ্ছে, শিক্ষাব্যবস্থা ব্যাহত, শিশু শ্রম বাড়ছে
বাংলাদেশের উপকূল আজ শুধু প্রকৃতির নয়, মানুষেরও পরীক্ষার মঞ্চ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিটি ঢেউ এখানে আঘাত করে মানুষের জীবনে।
কেউ হারায় ঘর, কেউ ফসল, কেউ আশা।
কিন্তু একটাই সত্য রয়ে যায়, উপকূল এখন শুধু সীমান্ত নয়, মানবতার টিকে থাকার লড়াইয়ের শেষ প্রান্ত।