ডেস্ক রিপোর্ট : জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের পরদিনও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় কড়া নিরাপত্তা বজায় ছিল।
আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল ও আশপাশের সড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় উপস্থিতি দেখা যায়।
হাইকোর্টের প্রধান ফটক পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চোখে পড়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যদের অবস্থান। এরপর ট্রাইব্যুনালের মূল ফটকের দিকে এগোলে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান মোতায়েন রয়েছে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছেন। ট্রাইব্যুনালের ভেতরে ও বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে রেখেছেন।
গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঘোষিত রায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পেয়েছেন। একই মামলায় অ্যাপ্রুভার হিসেবে পরিচিত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার পর থেকে রাজধানীর এ অংশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন বাহিনীর যৌথ উপস্থিতি আরও জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য, এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বজায় থাকবে।