ডেস্ক রিপোর্ট : হায় নৃশংসতা! রোববার রাতে নগরীর লবনচরা থানার মুক্তা কমিশনার কালভার্ট দরবেশ গলি সংলগ্ন একটি মুরগির খামার হতে মহিতুন্নেছা (৫৫), মোস্তাকিম (৮) এবং ফাতিহা (৭) নামে তিন নারী ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘাতকেরা তাদের প্রত্যেকের মাথা ইট দিয়ে থেতলে খুন করেছে। সোনাডাঙ্গা থানার করিমনগর এলাকার একটি বাড়ীতে ঢুকে সন্ত্রাসীরা একরাম আলাউদ্দীন মৃধা (৩০) নামে আরেক দিনমজুরকে গুলি করে ও জবাই করে হত্যা করেছে। সোমবার রাত ৯ টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এসব ঘটনায় মামলা দায়ের হয়নি। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে কেউ আটক কিংবা গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ জানায়, বৃদ্ধা এবং দুই শিশু হত্যাকাণ্ডের কারণ জানার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে, একরামকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্রমতে, লবনচরা থানাধীন দরবেশ গলি সংলগ্ন একটি মুরগির খামারের মধ্যে থেকে ওই রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নানি মহিতুন্নেছা, নাতি মোস্তাকিম এবং নাতনি ফাতিহার মরদেহ উদ্ধার হয়। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পড়ে থাকা শিশু দুইটিকে উদ্ধার করে তার পিতা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। মহিতুন্নেছার লাশ ঘটনাস্থল হতে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে একটি রক্তমাখা ইট আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়। গতকাল দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে লাশ নিহতদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
থানার (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে হত্যাকাণ্ডের মোটিভ জানার চেষ্টা চলছে। তিন খুনের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
একই রাতে সোনাডাঙ্গা থানার করিমনগর এলাকায় একটি বাড়ীতে ঢুকে সন্ত্রাসীরা একরাম আলাউদ্দীনকে পর-পর তিনটি গুলি করে। এরপর ধাঁরালো অ¯ত্রাঘাতে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পুলিশ সেখান থেকে তিনটি গুলির খোসা আলামত হিসেবে জব্দ করে।
সোনাডাঙ্গা থানার (ওসি) কবীর হোসেন বলেন, ময়না তদন্ত শেষে লাশ নিহতের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খুনের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতার এবং তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মামলা দায়ের হয়নি।