
ডেস্ক রিপোর্ট : বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ও লন্ডন ইউনিভার্সিটি কলেজের অর্থায়নে, বেসরকারী সংস্হা লোকজ’র ব্যবস্হাপনায় এবং বিডি ক্লিন’র বাস্তবায়নে ও এলিভেট’র সহযোগিতায় গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে দিনব্যাপি বটিয়াঘাটা সদর খাল সংস্কার কর্মসূচি স্বেচ্ছাব্রতের মাধ্যমে পালিত হয়। এ সময় উপজেলা সদর দিয়ে প্রবাহিত এ খালটির স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে পশ্চিম দিকে হেতালবুনিয়া শশ্মানঘাঠ পর্যন্ত প্রায় ১.৫০ কিলোমিটার জলাশয়ে কচুরিপানামুক্ত করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আহম্মেদ জিয়াউর রহমান । কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রহিম,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুর রহমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু বকর মোল্লা,লোকজ’র নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রসাদ সরকার, বিডি ক্লিনের উপ- প্রধান সমন্বয়ক মাসুদুর রহমান, আঞ্চলিক সমন্বয়ক সুদেব বিশ্বাস,বিভাগীয় সমন্বয়ক তিমির মজুমদার, জেলা সমন্বয়ক সাইফুল ইসলাম, দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার মফস্বল সম্পাদক রিংটন মন্ডল, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রতাপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, সহ-সভাপতি পরিতোষ কুমার রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাওন হাওলাদার,সাংবাদিক সুদীপ্ত বিশ্বাস, প্যানেল চেয়ারম্যান বিবেক বিশ্বাস,ইউপি সদস্য মোঃ ওবায়দুল্লাহ,ইউপি সদস্যা রমা রানী লোকজ’র সমন্বয়ক পলাশ দাশ ও মিলন কবিরাজ,নদী রক্ষা কমিটির বিভাষ মন্ডল সহ প্রায় ছয় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ।শপথ বাক্য পাঠ শেষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ শেষে বাসষ্ট্যান্ড মোড়ে এসে শেষ হয়। কর্মসূচির মূল সমন্বয়ের দায়িত্বে আহমেদ জিয়াউর রহমান পিএইচডি অধ্যয়নের সময় তাঁর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে খাল সংস্কারের মাধ্যমে জলাধার পুনর্জীবন, বর্ষার বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং শুষ্ক মৌসুমে সেচের কাজে ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবেদন করে আর্থিক অনুদান লাভ করেন। উক্ত খালটি দীর্ঘদিন যাবৎ দুষণের শিকার এবং কচুরিপানায় ভরাট হয়ে ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে ছিলো। কৃষি বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে এই খাল সংস্কারের ফলে আনুমানিক পাঁচ শতাধিক কৃষক শুষ্ক মৌসুমে বর্ধিত সেচের সুবিধা পাবেন। একইসাথে, এলাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে এই কর্মসূচি ভূমিকা রাখবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে উপজেলাবাসী জলাধার সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অধিকতর সচেতন ও প্রস্তুত হবে।