1. mesharulislammonir1122@gmail.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন
  2. info@www.sangjogprotidin.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৪ অপরাহ্ন

সাতক্ষীরায় লবণ এলাকায় সবজি চাষে সোনার ফসল ‌

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি : নব্বই দশকে যেখানে আবাদ হতো ধানসহ বিভিন্ন শাক-সবজি, সেখানে ২০০৭ সালের পর থেকে জলবায়ু পরিবর্তন ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে অধিকাংশ কৃষক শুরু করেন লবণ পানির মাছ চাষ। আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে এ লবণাক্ততাকে জয় করে পুনরায় সেই হারিয়ে যাওয়া কৃষি সম্পদকে ফিরিয়ে এনেছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চুনা নদীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বনবিবিতলার কিষান-কৃষানিরা, যা এখন ‘কৃষিগ্রাম’ নামেই পরিচিত।
বনবিবিতলার উৎপাদিত সবজি, মাছ-মাংস, ধান-গম স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়ে থাকে। এক সময় এ গ্রামে হাতেগোনা কয়েক জন কৃষির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে ৭০% পরিবারই কৃষির সঙ্গে যুক্ত। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ গ্রামের ২১৫ হেক্টর জমির মধ্যে নব্বই দশকে কৃষিতে ব্যবহার হতো ১৯০ হেক্টর, যা আইলার পর ৫০ হেক্টরে নেমে আসে। লবণাক্তের কারণে বাকি জমিতে লবণ পানির মাছ চাষ হতো। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও জলবায়ু সহনশীল চাষাবাদের ফলে ২০১৭ সালের পরে থেকে এ গ্রামের কৃষি চাষে জমির পরিমাণ বেড়ে ১৫০ হেক্টর হয়েছে। পাশাপাশি ৪০ হেক্টরে চাষ হয় মিঠা পানির মাছ।
কৃষক মনোরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, আইলার পর লবণের কারণে অনেকেই কৃষি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। আমি কোনোভাবে টিকিয়ে রেখেছিলাম। ৫ বছর আগে যে জমিতে ১ মণ সবজি হতো, প্রশিক্ষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই জমিতে ২ মণের অধিক সবজি উৎপাদন হচ্ছে। এ ছাড়া বেসরকারি সংস্থা সিসিডিবি আমাদের প্রতি মাসে প্রশিক্ষণ ও উন্নতমানের সার-বীজ দিয়ে সহযোগিতা করে থাকে। অধিক ফলন উৎপাদনের কারণে এখন সবাই কৃষিতে ঝুঁকছেন।
সৌমিত্রা মণ্ডল জানান, ৫/৬ বছর আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করে খুব ভাল ফসল হচ্ছে। এখানে মিঠা পানির খুবই সংকট। পানির ব্যবস্থা করা গেলে আরও ভালো ফসল উৎপাদন হতো। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মহাতাব সরদার বলেন, বনবিবিতলার অধিকাংশ পরিবারই কৃষির সঙ্গে জড়িত। এটি এখন কৃষিগ্রাম নামে পরিচিত হয়ে গেছে।
সিসিডিবির সুজন বিশ্বাস বলেন, বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীল ধান ও সবজি বীজ প্রদানসহ টাওয়ার, বস্তা, মালচিং পদ্ধতিতে লবণাক্ত এলাকায় সবজি আবাদে সহায়তা করা হচ্ছে। এ ছাড়া সুপেয় পানি সংরক্ষণের জন্য ট্যাংকি, সেচের জন্য মিঠা পানি সংরক্ষণে ছোট ছোট পুকুর খনন করে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে কৃষিতে ঝুঁকছেন এখানকার মানুষ।
শ্যামনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, বনবিবিতলার কৃষকরা লবণাক্ততা মোকাবিলা করে কৃষি কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সব ধরনের সহায়তা দিয়ে থাকি। বনবিবিতলা এখন কৃষিগ্রাম নামে পরিচিত।
সাতক্ষীরার আশাশুনির খাজরায় কয়েকটি গ্রাম লবনাক্ত পানির মৎস্যঘর ছাড়া ভাবার উপায় নেই। কিন্তু বর্তমানে এসব এলাকায় তীব্র লবনাক্ততার মধ্যেও ছোট বড় আকারে সবজির চাষ শুরু হয়েছে। কেউ নিজর জমি, কেউ আবার অন্যের জমি বরগা নিয়ে স্বল্প পুঁজিতে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি চাষ করে আসছেন। যা এক দিক নিজেদের পরিবারের চাহিদা মিটছে, অন্য দিকে অতিরিক্ত সবজি বিক্রি করে বাড়তি উপার্জন হচ্ছে। তবে এখানে সবজির চাষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধির প্রধান অন্তরায় উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও মিঠা পানির উৎস্য। এই দুই খাত পরিবর্তন আসলে আরও সুফল পাবে স্থানীয়রা।
খাজরার সুকুমার মন্ডলের বাড়িতে দেখা যায়, চার পাশ লবন পানির মধ্য তার ভিটবাড়িতে বিভিন্ন শীতকালীন সবজির চাষ করা হয়েছে। আলুর ফলন তোলার প্রস্তুতি চলছে। টমেটোর মাচানে কাঁচা পাকা টমটো ঝুলে আছে। পিঁয়াজ আর রসুনের গোড়ায় তাঁর স্ত্রী নিড়ানী দিছেন। পাশেই শালগম আর কপি গাছের পাতায় শিশিরের ছোয়া। লবনাক্ত এলাকায় বিকল্প মিঠা পানির ব্যবস্থা করে সবজি চাষে সফলতা মিলেছে সুকুমার মন্ডলের।
এমন চিত্র এখন ইউনিয়নর প্রায় বাড়িতে লক্ষ্য করা যায়। স্থানীয় বাজার এবং মৎস্য সেটে প্রতিদিন সকালে এসব সবজি বিক্রি করতে দেখা যায় তাদের। এবছর উৎপাদিত সবজির ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকরা আরো নতুন নতুন চাষাবাদে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
এ বিষয় সুকুমার মন্ডল জানান, আমার বাড়ির চারপাশ লবন পানি। আমার প্রায় ১ বিঘা ভিটাবাড়িতে বিভিন্ন সবজির চাষ করেছি। ১ কেজির মত আলুর বীজ বপন করেছিলাম। এখন প্রায় পাঁচ মনের মত আলু হবে বলে আশা করছি। বাড়ির এক পাশে একটি টিউবওয়েল বসিয়ে সেই পানি দিয়ে চাষ করেছি। তিনি আরও জানান, আমাদের এই গ্রামে বিকল্প পদ্ধতিতে মিঠা পানি সংরক্ষন করা গেলে আরও অনেক সবজির চাষ করা যাবে। আমি সবজি চাষ করে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে পারছি।
বর্তমান তার জমিতে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, ঢেঁড়স, ঝিঙ্গা, বরবটি ও ধুন্দুল ছাড়াও অসময়ের বাঙ্গি ও তরমুজ রয়েছে।
এলাকাবাসী মনে করেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে লবনপানির এসব এলাকায় প্রান্তিক কৃষকদের জন্য বিভিন্ন প্রনোদনা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করলে চাষিরা ঘুরে দাড়াঁবে। আগামীতে খাজরা ইউনিয়নকে কৃষিবান্ধব করতে মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদর এগিয়ে আসার আহবান জানান।
আলুর বীজের দাম আকাশছোঁয়া হলেও সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলা চিংড়ি চাষে বিখ্যাত হলেও তার পাশাপাশি সবজি চাষে ও পিছিয়ে নেই এই উপজেলার কৃষকরা। আমন ধান উঠতে না উঠতেই পাল্লা দিয়ে সবজি চাষে মেতে উঠেছে চাষিরা। সরেজমিনে ঘুরে ও শ্যামনগর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এবার শীত মৌসুমে শ্যামনগর উপজেলায় ১২ টি ইউনিয়নে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ৭০০শ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে।এর মধ্যে কাঠি লাল আলু ৫৫০ হেক্টর ডায়মোন্ড আলু ১০০শ হেক্টর গ্রাম্য আলু যেটাকে বলা হয় গোল আলু এটা চাষ হচ্ছে ৫০ হেক্টর জমিতে এছাড়া বাঁধাকপি সহ অন্যান্য সবজি চাষ হচ্ছে ১৭০০শ হেক্টর জমিতে।
শ্যামনগর উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল হুদা এ প্রতিবেদক কে জানান অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে এবার শ্যামনগরে আলু সহ অন্যান্য সবজি চাষে কৃষকরা মেতেছে। গত মৌসুমে শ্যামনগরে ৪৬৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এবার আলুর বীজের দাম আগুন ছোয়া হলেও ৮৭৪শ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। তিনি আরো জানান গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে শ্যামনগর আলু চাষ হয়েছিল ৩০০শ হেক্টর জমিতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৩৫০ হেক্টর জমিতে ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩৬৫ হেক্টর জমিতে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৩৮০ হেক্টর জমিতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৩৯০ হেক্টর জমিতে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৪৬৫ হেক্টর জমিতে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে আগুন ছোঁয়া আলুর বিজ কিনে ৭০০শ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল ২৫-২৬ অর্থবছরে সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করে ৮৭৪ একটা জমি আলু‌‌চাষ হচ্ছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে
। তাছাড়া ও অন্যান্য সবজির মধ্যে বাঁধাকপি ২৫০ হেক্টর ওলকপি ২০০ হেক্টর বেগুন ২০০ হেক্টর ফুলকপি ২৫০ হেক্টর লালশাক ২৭০ হেক্টর পালংশাক ১৬০ হেক্টর কাঁচা মরিচ ১৫০ হেক্টর বিট কপি ৫০ হেক্টর টমেটো ১০০ হেক্টর ও শশা ৯০ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে।
শ্যামনগর কৃষি অফিস সূত্রে আরও জানা যায় এই মৌসুমে শ্যামনগর উপজেলার ৮৭৪হেক্টর জমির মধ্যে ভুরুলিয়া ইউনিয়নে ১৩০ হেক্টর কাশিমাড়ি ইউনিয়নে ৮০ হেক্টর শ্যামনগর সদর ইউনিয়নে ৮০ হেক্টর নুর নগর ইউনিয়নে ১০০ হেক্টর কৈ খালি ইউনিয়নে ৭০ হেক্টর ঈশ্বরী পুর ইউনিয়নে ১০০ হেক্টর মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে ৬০ হেক্টর বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে ৫০ হেক্টর আটুলিয়া ইউনিয়নে ৬০ হেক্টর পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ২৫ হেক্টর গাবুরা ইউনিয়নে ২৪ হেক্টর ও রমজান নগর ইউনিয়নে ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। কৃষকরা কেহ আলু রোপন করা শেষ করেছে আবার কেহ কেহ আলু রোপনের জন্য খেত পরিচর্যা করছে। এছাড়া অনেকেই আলুর বীজ সংগ্রহ ও বিজ প্রছেসিং কাজে ব্যস্ত আছে।
ভুরুলিয়া ইউনিয়নের হাটছলা গ্রামের সালাউদ্দিন জানান তিনি গত বছর ২০ কেজি আলু রোপন করে ১২ মন আলু পেয়েছিলেন সব খরজ বাদে বাজারে আলুর দাম ভালো পাওয়ায় ১৫০০০ টাকা লাভ করেন এবার তিনি বিজের দাম আগুন ছোয়া হলেও ২০ কেজি আলু রোপন করছেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও ঠিকমত পরিচর্যা করতে পারলে আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ মোন আলু পাওয়ার আশা সালাউদ্দিনের। এবার সালাউদ্দিন ৬০ কেজি আলুর চাষ করছেন তাছাড়া তিনি ৫ কাঁটা জমিতে বাঁধাকপি ৪ কাঁটা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন এবং ফুলকপি বাজারে তুলে ১২০-১৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করা ধরেছেন আর সপ্তা খানেক পর থেকে বাঁধাকপি ও বিক্রি করতে পারবে সালাউদ্দিন।
কাশিমাড়ী ইউনিয়নের শংকরকাটি গ্রামের মিজানুর ঢালী জানান তিনি গতবছর ৫০ কেজি আলু রোপন করে ২৭ মন আলু পেয়েছি তার লাভ হয়েছিল ২২ হাজার টাকা। এবার মিজানুর ১০০ কেজি আলুর বিজ আগুন ছোঁয়া দাম দিয়ে কিনে খেতে চাষ করছেন এবং বীজ আলু পরিচর্যা করছেন তার আশা আলুর ফলন ভাল হলে বাজারে ভাল দাম পেলে ৫০ হাজার টাকা লাভ করবেন। মিজানুর আলু ছাড়া ও ৫ কাঁটা জমিতে বাঁধাকপি ৫ কাঁটা জমিতে ফুলকপি ৩ কাঁটা জমিতে কালো বেগুন ও ৩ কাঁটা জমিতে শসা চাষ করেছেন এসব সবজি বাজারে ভাল দাম আছে মিজানুরের আশা এখান থেকে ভালো একটা লাভ পাবেন।
শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের বাদোঘাটা গ্রামের আজিজুর জানান তিনি গতবছর ৩৫ কেজি আলু রোপন করে ছিল তা থেকে তিনি আলুর উৎপাদন পেয়েছিল ২০ মোন বাজার ভালো থাকায় ২৫ হাজার টাকা লাভ করেন।এবার তিনি ৫০ কেজি কাঠিলা আলু ও ১০ কেজি ডায়মোন্ড আলু চাষে মাঠে নেমেছে তিনি আরো বলেন বাজার ভালো ফলন ভালো হলে মোটা অংকের লাভ করতে পারবেন। এছাড়া তিনি ৩ কাঁটা জমিতে টমেটো ও ৩ কাঁটা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। ফুলকপি ইতিমধ্যে খেত থেকে উত্তোলন করে বাজারে১ ৪০-১৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রিয় করা শুরু করেছেন তিনি বলেন ১৫ দিনের ভিতরে আপেল টমেটো বাজারে তুলতে পারবেন।
নূরনগর ইউনিয়নের কুলতলি গ্রামের মোশাররফ হোসেন বলেন তিনি গতবছর ৪০ কেজি কাঠি লাল আলু চাষ করে ১৮ মোন আলু উত্তোলন করে ছিল তাতে তার ১২ হাজার টাকা লাভ হয়। এবার মোশাররফ ৫০ কেজি কাঠি লাল ও ১০ কেজি গ্রামো (গোল আলু) চাষ করছেন। এছাড়া ৩ কাঁটা জমিতে বেগুন ৫ কাঁটা জমিতে বাঁধাকপি ৫ কাঁটা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন বর্তমান ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারে তোলা ধরেছেন দামে ও ভালো পাচ্ছে। আবহাওয়া ও পোকামাকড়ের ক্ষতি অনুকূলে থাকলে আলু সহ সব ধরনের সবজিতে মোশাররফ ভালো লাভবান হবেন বলে তার আশা।
ইশ্বরীপুর ইউনিয়নের হাশারচক নামক গ্রামে অরবিন্দু মন্ডল জানান তিনি গত মৌসুমে ৬০ কেজি কাঠি লাল আলু চাষ করেন এবং সেখান থেকে আলুর উৎপাদন হয় ২৯ মোন বাজার ভালো থাকায় সেখান থেকে সে লাভপায় ২২ হাজার টাকা। এবার অরবিন্দু জানান তিনি ১০০ কেজি আলু রোপন করছে ফলন ভালো হলে বাজার ভালো আছে সেখান থেকে সে মোট অঙ্কের টাকা লাভ পাবেন এছাড়াও অরবিন্দু ৫ কাঁটা জমিতে বেগুন ৫ কাঁটা জমিতে বাঁধাকপি ৩ কাঁটা জমিতে ওলকপি ৩ কাঁটা জমিতে ফুলকপি ৪ কাঁটা জমিতে আপেল টমেটো চাষ করেছেন তিনি জানান ইতিমধ্যে ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারে তোলা শুরু করেছে দাম ভালো পাচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের কুলতলি গ্রামের মধুজিৎ রপ্তান জানান তিনি গতবছর ২০ কেজি কাঠি লাল আলু রোপন করে সেখান থেকে তার ফলন হয় ৯ মোন বাজার ভালো এবং আলুর গুনগত মান ভালো থাকায় ১১ হাজার টাকা লাভ করেন খরচ বাদে। এবার তিনি আগুন ছোঁয়া দামে ৪০ কেজি বিজ আলু কিনে রোপন করছে বাজার ভালো থাকলে মোটা একটা টাকা এখান থেকে লাভ করবেন মধুজিৎ। তিনি আরো বলেন আলুর পাশাপাশি এবার ৩ কাঁটা জমিতে বেগুন ৩ কাঁটা জমিতে ফুলকপি ২ কাঁটা জমিতে সাদা ও লাল মুলা ৩ কাঁটা জমিতে টমেটো ও ৩ কাঁটা জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছেন। সপ্তা খানেক পরে ২ কাঁটা জমিতে বিট কপি চাষ করবে
শ্যামনগর উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল হুদা এই প্রতিবেদককে বলেন বাজারে সবজির দাম আগুন ছোঁয়া এই কারণে চাষিরা ঝড় বাদল ঝড় বর্ষা উপেক্ষা করে বিভিন্ন পন্থায় সবজি চাষ করছেন অনেকে বাজারে ফুলকপি তুলেছেন তা আগুন ছোঁয়া দামে বিক্রি করতে পারছেন চাষিরা সে কারণে আগাম ফুলকপি চাষে চাষীদের কপাল খুলেছে এবার এছাড়া অন্যান্য সবজি ও আগাম প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন শ্যামনগরের কৃষকরা। তিনি আরো বলেন নিয়মিত শ্যামনগর কৃষি অফিস থেকে সবজি চাষীদের বিভিন্ন পরামর্শ ও কীটনাশক সার বিতরণ করা হচ্ছে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট