সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের মৃৎশিল্পী প্রিন্স শীল পিন্টু তার শিল্পকর্ম দিয়ে জেলার গণ্ডি পেরিয়ে সারা দেশে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি উপজেলার কুশুলিয়া গ্ৰামের পূর্ণচরণ শীলে
অনুসন্ধানে, প্রিন্স শীল পিন্টু দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চল থেকে শুরু করে উত্তরাঞ্চলের নানা জেলায় প্রতিমা ও ভাস্কর্য নির্মাণ করে মানুষের হৃদয় জয় করে আসছেন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয়, পারিবারিক ও সহশিল্পীরা জানান, প্রিন্স শীল পিন্টু বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন পূজার প্রতিমা তৈরি করে মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তবে, তিনি কেবল প্রতিমা নির্মাণেই সীমাবদ্ধ নন। পার্ক, উদ্যান, পর্যটনএলাকা ও বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও তৈরি করছেন নানান ভাস্কর্য। তার হাতে ফুটে ওঠে হাতি, ঘোড়া, বানর, হনুমান, জিরাফ, জেব্রা, লক্ষ্মীপেঁচাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূর্তি ও অসংখ্য সৃজনশীল শিল্পকর্ম।
প্রতি বছরের মতো এবছরেও শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে তিনি ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর তিনি পাঁচটি দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন। তিনি কালিগঞ্জ উপজেলা ছাড়াও সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ আড়পাঙ্গাসিয়া মিস্ত্রি বাড়ি, খুলনার চুকনগর নিমতলা মহাশ্মশান, ফরিদপুরের বোয়ালমারী কেন্দ্র মন্দির, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলা সদরে দূর্গা প্রতিমা তৈরী করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
শিল্পি পিন্টু আরো বলেন, এছাড়াও আরো দুটি দুর্গা প্রতিমা তৈরি হচ্ছে। বরিশাল সদর পাষাণ মাহী কালী মন্দির ও সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ কুলতলী মন্দিরে আকর্ষণীয় ইলেকট্রিক্যাল প্রতিমার কাজ চলমান রয়েছে। তার এই কাজে সহায়তা করছেন আরো ছয়জন সহযোগী মৃৎশিল্পী।
প্রিন্স শীল পিন্টুর শিল্পকর্ম শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা অর্চনাতেই নয়, বরং দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তবে সরকারি পৃষ্টপেষকতা পেলে এ শিল্পটি ধরে রাখতে পারবেন বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল জানান, মৃৎশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারিভাবে তাকে (পিন্টুশীল) কিভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।