1. mesharulislammonir1122@gmail.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন
  2. info@www.sangjogprotidin.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

দাকোপে অফসিজন তরমুজের বাম্পার ফলন

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

দাকোপ (খুলনা) : খুলনার দাকোপে অফসিজন অর্থাৎ বর্ষাকালের তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এ তরমুজ চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাচায় কৃষকরা তরমুজের এ আবাদ করেছেন। অসময়ে তরমুজের ভালো ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বর্ষা মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাছের ঘেরের পাড়ে মাচায় ২১ হেক্টর জমিতে সুস্বাদু ও রসাল তরমুজের আবাদ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল ১৬ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় কৃষি অধিদপ্তর থেকে ১৮ জন কৃষককে সার, বীজ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও অফসিজন তরমুজ চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন এ.সি.বি-৫, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। তরমুজ শরীর ঠান্ড রাখে, হজমে সহায়তা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। তবে সাধারণত এই ফল গ্রীষ্ম মৌসুমেই বাজারে পাওয়া যায়। এখন বৃষ্টির মৌসুমেও চাষ হওয়ায় কৃষকেরা বাড়তি আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন বলে একাধিক কৃষকরা জানিয়েছেন। তারা বলছেন মৌসুমি তরমুজের চেয়ে এ সময়ে দাম বেশি পাওয়া যায়। ফলে কৃষকরা অনেক লাভবান হচ্ছেন। এতে ভোক্তারাও সারা বছর তরমুজ খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। সঠিক পরিকল্পনা ও সরকারি সহায়তা অব্যাহত থাকলে এই উপজেলায় অফসিজন তরমুজ এক সময় এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে কৃষকরা মনে করেন।
উপজেলার বাজুয়া ইউনিয়নের কচা এলাকার কৃষক কান্তিষ মন্ডল জানান, আগে শুধু গ্রীষ্ম মৌসুমেই তরমুজ চাষ করতাম। এখন বৃষ্টির মৌসুমেও তরমুজ চাষ শুরু করেছি। এবছর ৪ বিঘা জমিতে মাছের ঘেরের পাড়ে মাচায় তুমুজের আবাদ করেছি। মাচায় ২ হাজার ৫০০ তরমুজ গাছ আছে। পাশা পাশি মরিচ চাষও করেছি। এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তরমুজের ফলনও হয়েছে খুব ভালো। পাইকারি ফড়েরা ক্ষেত থেকেই ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এতে তার খরচ বাদ দিয়েও এক থেকে দেড় লাখ টাকা লাভ হবে। এ ছাড়া তিনি আবারও একই স্থানে তরমুজের বীজ রোপন করেছেন। গাছের চারাও হয়েছে ভালো। তবে শিক্ষকতার পাশা পাশি তিনি কৃষি কাজ করেন। ফলে সব সময়ে লোক দিয়ে কাজ করাতে হয় বিধায় তার খরচ একটু বেশি হয় বলে জানান।
খলিসা এলাকার কৃষক পিয়াস রায় জানান, কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মাছের ঘেরের পাড়ে মাচায় তরমুজ চাষ করেছেন। তার মাচায় প্রায় ৪০০ তরমুজ গাছ আছে। এতে তার ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলনও হয়েছে খুব ভালো। ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, এবার অফসিজন তরমুজের ফলন খুব ভালো হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ৩৩ টন। অফসিজন তরমুজ চাষে ভালো ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। ফলে প্রতি বছর অসময়ের এ তরমুজ চাষ বাড়ছে। এ ছাড়া কিভাবে তরমুজ চাষ করলে ফলন ভালো হবে সেই বিষয়ে নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। কৃষকরা সঠিক প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ পেলে এ খাত ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে তিনি মনে করেন।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট