1. mesharulislammonir1122@gmail.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন
  2. info@www.sangjogprotidin.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
৪২ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ, আসামি সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রীসহ ৮ জন খাগড়াছড়ির সহিংসতায় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন রয়েছে : পার্বত্য উপদেষ্টা কামাল মজুমদারের ছেলে শাহেদ ৫ দিনের রিমান্ডে রাশিয়া আতঙ্কে পোল্যান্ডের আকাশসীমা বন্ধ, বাল্টিক সাগরে বাড়লো ন্যাটোর উপস্থিতি হাসিনার বিরুদ্ধে সর্বশেষ সাক্ষীর জবানবন্দি, দেখানো হলো ১৭ ভিডিও সাতক্ষীরায় ৫৯৩টি পূজামন্ডপে চলছে মহাষষ্ঠী মৃত ভোটারদের বাদ ও নারীদের অতিরিক্ত সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে: সিইসি বিসিবির নির্বাচনে বাধা নেই বিসিবি নির্বাচনে পরিচালক পদে মনোনয়ন জমা দিলেন বুলবুল-ফাহিম এবার নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দশমিনায় নদী তীরবর্তী মূল ভূ-খন্ডের বাঁধের ভগ্নদশা

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ নানা কারনে নদীর ভাঙনে তীরবর্তী মূল ভূ-খন্ডের বেরিবাঁধ ভগ্নদশায় পরিনত হয়েছে। এছাড়া উপকূলের তীরবর্তী গ্রামের ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ন এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হতে চলছে। উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় চরাঞ্চলে বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতি বছর প্রায় কোটি টাকার ফসল নষ্ট হচ্ছে। ঘূর্নিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কবলে পরে উপকূলীয় উপজেলা দশমিনার মানুষ একাধিক বার সর্বশান্ত হয়েছে। উপজেলা সদরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দূর্গম চরাঞ্চলে বেড়িবাধ না থাকায় চরবোরহান, চরশাহজালাল, চরহাদী, চরবাঁশবাড়ীয়া, চরঘূর্নি, চরআজমাইন, লালচর, চরতৈলক্ষ্য, চর ফাতেমা সহ চরাঞ্চলে প্রতি বছর ঘূনিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ও সাগরের নোনা পানি ঢুকে চরে বসবাসকারী কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বার বার ফসলহানির কারনে হাজার হাজার চরের কৃষক, মহাজন,ব্যাংক ও এনজিও থেকে একাধিকবার ঋন গ্রহন করে পরিশোধ করতে পারছে না। উপজেলায় বুড়াগৌরাঙ্গ ও তেঁতুলিয়া নদীর বুকচিরে জেগে উঠা ছোট বড় ২৫/৩০ টি চরে শত শত মানুষের জনবসতি রয়েছে। নির্বাচনের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা চরাঞ্চলে বেড়িবাধসহ উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ কথা রাখেনি। চরের কৃষকেরা সরকারের কাছে বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবী জানিয়ে বহুবার স্বারকলিপি ও মানববন্ধন করেছে। চরবোরহানের বাবুল সরদার (৪৮) মোকলেস মাতুব্বর (৬৫ )জানান, এই সব চরে জনবসতী গড়ে উঠার ৪০ বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত বেড়িবাঁধ নির্মান করা হয়নি। এসব চরের চারদিকেই নদী দ্বারা বেষ্টিত। চরশাহজালালের কৃষক রফিক হোসেন (৪০) হানিফ বয়াতী (৫৬) বাদশা হাওলাদার (৫৫) জানান, আমাগোরে আল্লায় বাচায়ে রাখছে,আমাগো চরে কোন বেড়িবাঁধ না থাকায় বন্যা জলোচ্ছ্বাসে নোনা পানি ঢুকে প্রতি বছর ফসল নষ্ট হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে বেড়িবাধ চাই,রিলিফ চাই না। চরহাদির কৃষক বারেক হাওলাদার(৫৫),মোঃ আমিন(৪০) মতি মাতুব্বর (৬০) কালু মৃধা (৬৫) জানান,ঝড় জলোচ্ছ্বাসের পর সরকারি ও বেসরকারীভাবে চরের মানুষকে ত্রান দিলেও বন্যার হাত থেকে আমরা কিভাবে বাচতে পারি সে ব্যবস্থা কেউ করে দেয় না। তারা জানান,ঘূর্নিঝড় জলোচ্ছ্বাসের ক্ষতি অবর্ননীয়। বেড়িবাঁধ ছাড়া আমাদের বাচাঁর কোন উপায় নেই। বারবার ত্রান না দিয়ে একবার বেড়িবাঁধ নির্মান করে দিন। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাশঁবাড়িয়া চরের কৃষক মনির হাওলাদার(৫০),আজাহার বেপারী(৬০),কবির হোসেন(৫৫),আলমাছ ফকির(৪৫) জানান,তাদের চরে বেড়িবাঁধ না থাকায় কয়েক দফা বন্যায় ক্ষেতের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চরাঞ্চলের কৃষকের একটাই দাবি ত্রান নয় এবার বেড়িবাঁধ চাই। বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে চরে নোনা পানি ঢুকে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করছে। চরাঞ্চলে বেড়িবাঁধ না থাকায় ঝড় জলোচ্ছ্বাসে নদী ও সাগরের নোনা পানি ঢুকে কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় তাই চরাঞ্চলসহ মূল ভূ-খন্ডে বেড়িবাঁধ নির্মান করা প্রয়োজন।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট