1. mesharulislammonir1122@gmail.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন
  2. info@www.sangjogprotidin.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৪ অপরাহ্ন

দশমিনায় মাচায় করলা চাষ করে লাভবান কৃষকরা

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় কৃষকরা আর্থিক স্বনির্ভরতার জন্য বর্ষাকালীন সময়ে মাচায় করলা চাষ করে কম খরচে দ্বিগুন লাভবান হচ্ছে। উপজেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক অমল ব্যাপারী মাচায় করলা চাষ করেই তাক লাগিয়ে দিয়েছে। করলার বাম্পার ফলন ও দাম বেশী পাওয়ায় কৃষক অমল বেপারী বেশ খুশি। বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রতি কেজি করলা ৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছে। এছাড়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে কৃষকরা পারিবারিক পুষ্টির বাগান করে চাহিদা পূরন এবং স্বনির্ভর হওয়ায় আর্থিক লাভবান হচ্ছে। কৃষকরা তাদের অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনার আশেপাশে মাচায় করলা আবাদের পাশাপাশি শীতকালিন সবজি চাষ করছে।
দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের আবাদি-অনাবাদি ও চরাঞ্চল এবং বসতঘরের আশেপাশে মাচা পদ্ধতিতে করলার চাষের আবাদ করে কৃষকরা সফলতা অর্জন করেছে। এই পদ্ধতিতে করলা চাষ করে কৃষকরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। উপজেলায় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবার চেষ্টা করছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের এসএসিপি-রেইনস প্রকল্পের আওতায় মালচিং পদ্ধতিতে করলার চাষাবাদ করা হয়। মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হলে আগাছা কম হয় এবং ফলন ভাল হয়। উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুর গ্রামের কৃষক মো. রেজাউল মাতব্বর ৫০ শতক জমিতে এসএসিপি-রেইনস প্রকল্পের আওতায় প্রনোদনা সহায়তা পেয়ে করলা চাষাবাদ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। তার এই সাফল্য দেখে আশেপাশের অনেক কৃষক করলা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কৃষক রেজাউল ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আবাদি-অনাবাদি জমিতে কৃষি প্রদর্শনীতে করলার মহা সমারোহ বিরাজ করছে। কৃষি জমিতে পানি থাকায় চাষাবাদ করতে পারতো না। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সবজি নিয়ে আসা হতো। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা নিজেরাই সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছে। স্থানীয়রা আগাম চাহিদা মেটাতে করলার চাষ করে বাজারে চাহিদা মিটানেরা চেষ্টা করছে। স্থানীয়দের চাহিদা মিটাতে কৃষকরা পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ সবজি বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে। উপজেলায় দফায় দফায় বন্যা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে কৃষকরা বার বার লোকসানে পড়লেও চলতি মৌসুমে করলার চাষাবাদ করে কৃষকরা সফলতা পেয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় কৃষি প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধকরন করা হয়। কৃষকরা সারা দিয়ে আবাদি ও অনাবাদি জমিতে করলার প্রদর্শনী খামার করেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ বলেন,কৃষকদেরকে চাষাবাদে উৎসাহিত করা হয়। এর ফলে করলা চাষ বেড়েই চলছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী ও উদ্বুদ্বকরনের মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষি উপকরন পেয়ে পতিত জমির পাশে মাচায় সবজি চাষাবাদ করে উপজেলার কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। কৃষকরা পতিত জমি ও বসতবাড়ীর আঙ্গিনায় মাচায় সবজির চাষ করে নতুন স্বপ্ন বুনছে। কৃষকরা পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিন লক্ষèীপুর গ্রামের কৃষক অমল ব্যাপারী মাচায় করলা আবাদ করে তাক লাগিয়ে দিয়ে ব্যাপক ফলন পেয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ জানান,অত্র উপজেলা একটি কৃষি বান্ধব জনপদ। এই জনপদের ৮০ ভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর এবং অত্র উপজেলার যে কোন স্থানেই ভাল ফসল উৎপাদন হয়। এই উপজেলায় কৃষকদের সহযোগিতায় কৃষি বিপ্লব ঘটানো সময়ের ব্যাপার মাত্র। খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের মাধ্যমে প্রদর্শনী করে কৃষক ও কিষানীদের মধ্যে আর্থিক স্বনির্ভরতা বাড়ছে।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আবাদি-অনাবাদি জমিতে কৃষি প্রদর্শনী এবং শীতকালিন সবজির চাহিদা কথা চিন্তা করে কৃষকরা মাচা পদ্ধতিতে করলার আবাদ করে সফলতা অর্জন করেছে। কৃষি জমিতে পানি থাকায় চাষাবাদ করতে পারতো না। ফলে স্থানীয়রা চাহিদা মিটাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সবজি নিয়ে আসতো। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা নিজেরাই সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছে। স্থানীয়রা আগাম চাহিদা মেটাতে করলা,লাউ,পুঁইশাক চাষাবাদ করে পুষ্টির চাহিদা মিটানেরা চেষ্টা করছে। স্থানীয়দের চাহিদা মিটাতে কৃষকরা পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ শাক-সবজি বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন, কৃষকদেরকে চাষাবাদে উৎসাহিত করার পাশাপাশি উন্নতমানের সবজিসহ পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে অন্যান্য সবজি আবাদ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের আর্থিক স্বনির্ভরতা বাড়াতে উপজেলা কৃষি বিভাগ সর্বাত্নক সহযোগিতা করছে। উপজেলায় মালচিং বা মাচা পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি ফসলের চাষাবাদ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট