যশোর প্রতিনিধি: যশোর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মো. আলমগীর কবির সুমন ওরফে হাজী সুমনের পিতা-মাতা আব্দুল খালেক ও সালেহা খাতুনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা যায়, যশোর কালেক্টর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ৮১ নং বেজপাড়া মৌজার ৯২ দাগের ২৩.৫০ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক সূত্রে ভোগদখলে ছিলেন শেখ আবুল আছাদ। তিনি ৬ ছেলে ও ৬ মেয়েসহ পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস করছিলেন। পরবর্তীতে বাণিজ্যিকভাবে বহুতল ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারিতে নয়তলা বিল্ডিং নির্মাণের লক্ষ্য আবুল আছাদ জমিটির কাজে হাজী আব্দুল খালেকের সাথে চুক্তি করেন।
চুক্তি অনুযায়ী আব্দুল খালেক নির্মাণ ব্যয়ভার বহন করবেন বলে উল্লেখ থাকলেও অভিযোগকারীর দাবি, নির্মাণকাজ শুরুর পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর হঠাৎ হাজী আব্দুল খালেক, তার স্ত্রী সালেহা খাতুন ও ছেলে হাজী সুমন সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে আবুল আছাদকে পরিবারসহ জোরপূর্বক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। এ সময় প্রাণনাশের হুমকির মুখে ১১.৭৫ শতক জমি জোরপূর্বক সালেহা খাতুনের নামে লিখিয়ে নেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
আবুল আছাদ বলেন, “আমাকে জোর করে জমি লিখিয়ে নেয়া হয়েছে। এখনো বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে হাজী সুমন ও তার সহযোগীরা। আমরা ভয়-ভীতির মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করছি।”
আবুল আছাদের মেয়ে শিউলি বেগম বলেন, “আমাদের বৃদ্ধ বাবা অসুস্থ ও চলাফেরায় অক্ষম। আমরা ছয় ভাই ও ছয় বোন সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
উক্ত ঘটনা যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে আমি জেনেছি তাদেরকে জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার যশোর আমলি আদালতে আবুল আছাদ বাদী হয়ে সালেহা খাতুন ও তার স্বামী আলহাজ্ব আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নম্বর
সি,এস -২১০/২৫,তাং২৫/৯/২৫।