1. mesharulislammonir1122@gmail.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন
  2. info@www.sangjogprotidin.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পাইকগাছায় চিংড়ী চাষ ও চিংড়ীর রোগ নির্ণয় বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর সাথে সাংবাদিক ইউনিয়নের সৌজন্য সাক্ষাৎ পাইকগাছায় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে তালায় সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের কর্মবিরতি জামায়াত যাদের নিয়ে আন্দোলন করছে, ২৪-এর নির্বাচনে তাদের ভূমিকা কী ছিল ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ ইরানে ৬ ইসরায়েলপন্থি সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর রোহিতকে সরিয়ে যাকে ওয়ানডে অধিনায়ক করল ভারত মুসলিম ন্যাটো জোট গঠন করতে চায় পাকিস্তান!

ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট চরম ভোগান্তি

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট, অনিয়ম, দালালচক্র আর জনবল ঘাটতির কারণে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে। এই হাসপাতাল শুধু ভেড়ামারা নয়, দৌলতপুর, মিরপুর ও ঈশ্বরদী অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল। অথচ চিকিৎসকের অপ্রতুলতা আর দুর্নীতির কারণে রোগীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ডা. পলাশচন্দ্র দেবনাথের অবৈধ বিদেশযাত্রা, হাসপাতালের ফটকের সামনে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের টানাটানি, অনিয়ম ও দালালচক্র সব মিলিয়ে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা চরম বিপর্যস্ত। জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ না নিলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও তীব্র হবে।
চিকিৎসক সংকট চরমে :
ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুমোদিত ২৫জন চিকিৎসকের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন), একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো-সার্জারি) ও ৩জন মেডিকেল অফিসার। ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদশুন্য রয়েছে জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী), জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনসথিসিয়া), জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্ম ও যৌন) পদ খালি রয়েছে। এছাড়াও আইএমও, এনসথেটষ্ট, এম.ও (এ.এমসি) এর পদ খালি রয়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে একজন করে মেডিকেল অফিসার থাকার কথা থাকলেও সবগুলোই পদশুন্য । শুধুমাত্র সাতবাড়ীয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিয়োগকৃত মেডিকেল অফিসারকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্তি দেওয়া হয়েছে। ফলে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রায় অচল। হাসটাতালে ১জন মিডওয়াইফ, ১জন জুনিয়র নার্স, ১জন একাউন্টেন্ট, ১জন ক্যাশিয়ার, ৩জন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, ১জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিন, ১জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) , ২জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ১২জন স্বাস্থ্য সহকারী, একজন কম্পাউন্ডার, অফিস সহায়ক, তিনজন ওয়ার্ড বয়, দুইজন আয়া, দুইজন কুক, একজন মালি, একজন নিরাপত্তার প্রহরী, তিনজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দুইজন অফিস সহায়ক এর পথ শূন্য রয়েছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে বরাদ্দকৃত সিটের বাইরে রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তাই তাদের ফ্লোরে অথবা বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। গাইনী ও এনসথিসিয়া ডাক্তার না থাকায় অপরেশন বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন আউটডোরে প্রায় ৪ শত রোগী সেবা নিয়ে থাকে। জরুরি বিভাগ ও প্রসূতি সেবাও ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের অদক্ষ অপারেটার ও এক্স-রে মেশিন বিকল, প্রয়োজনীয় ল্যাব টেস্টও করা সম্ভব হচ্ছে না।এতে রোগীরা বাধ্য হচ্ছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল বা বেসরকারি ক্লিনিকে ছুটে যেতে। ডাক্তার না থাকায় হাসপাতালে সনো করা বন্ধ রয়েছে।
ডা. পলাশচন্দ্র দেবনাথের অবৈধ বিদেশযাত্রা :
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. পলাশ চন্দ্র দেবনাথ (কোড নং-১৩১৯০০) ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি নেন। কিন্তু ছুটি শেষে আর অফিসে যোগ দেননি। জনশ্রুতি রয়েছে, তিনি কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে অবৈধভাবে বিদেশে চলে গেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। রোগীরা বলছেন“সরকারি বেতন খেয়ে ডাক্তার যদি অবৈধভাবে বিদেশে চলে যান, তাহলে আমাদের চিকিৎসা সেবা কে দেবে?” ডা. দেবনাথের দীর্ঘ অনুপস্থিতি ইতোমধ্যে হাসপাতালের চিকিৎসা সংকটকে মারাত্মকভাবে বাড়িয়ে তুলেছে।
অনিয়ম ও দালালচক্র :
হাসপাতালের ভেতরে দালালচক্র সক্রিয় থেকে রোগীদের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। সরকারি বরাদ্দের খাবারও রোগীরা প্রায়ই ঠিকভাবে পান না। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি এখানে প্রতিদিনের চিত্রে পরিণত হয়েছে।
হাসপাতালের ফটকের সামনে ডায়াগনস্টিক টানাটানি :
হাসপাতালের ফটকের সামনে রয়েছে তিনটি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অভিযোগ রয়েছে, যেকোনো টেস্টের সময় এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা রোগীদের হাত ধরে টানাটানি করে নিজেদের সেন্টারে নিতে চেষ্টা করে। এতে রোগীরা বিব্রত ও চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
জনবল বদলিতে নতুন সমস্যা :
সম্প্রতি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নির্দেশে হাসপাতালের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মচারী বদলি হয়েছেন। এতে স্বাস্থ্য সহকারী, দফতরি, ওয়ার্ড বয়, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ে সংকট আরও তীব্র হয়েছে।
আশপাশের মানুষেরও নাভিশ্বাস :
এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন দৌলতপুর, মিরপুর ও ঈশ্বরদী অঞ্চলের মানুষও। কিন্তু চিকিৎসকের অভাব, পরীক্ষার সীমাবদ্ধতা আর অনিয়মের কারণে তাদের অবস্থাও নাভিশ্বাস। শেষ পর্যন্ত অনেককে বাধ্য হয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাসপাতালে যেতে হয়, যা সময়, অর্থ ও কষ্ট তিনটিই বাড়িয়ে দেয়।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মিজানুর রহমান বলেন,“হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ডা. পলাশ চন্দ্র দেবনাথ (কোড নং- ১৩১৯০০) অনুপস্থিত থাকায় ঊর্ধ্বতন কার্যালয়ে একাধিককার আবেদন বরা হয়েছে।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন,“হাসপাতালের অনিয়ম ও চিকিৎসক সংকট বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে চিকিৎসক সংকট একটি জাতীয় সমস্যা।” হাসপাতালের অনিয়মের বিষয়েও যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা: শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন. ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। স্টাফদের অনিয়ম ও দুর্ব্যবহারের বিষয়টি খতিয়ে দেখব। কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট