ডেস্ক রিপোর্ট : সেপ্টেম্বরে ৫০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৫০২ এবং আহত হয়েছেন ৯৬৪ জন। এ সময় ১৯১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯৯ জন নিহত এবং ১৮৮ জন আহত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সড়ক দুর্ঘটনার এই প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ঢাকায় ১২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২২ জন নিহত ও ২১৬ জন আহত হয়েছে। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। ২২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৪৭ জন আহত হয়েছে।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৭৭২টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৯ দশমিক ০১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২ দশমিক ০২ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ বাস, ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
মোট দুর্ঘটনার ৪৮ দশমিক ৮০ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ বিবিধ কারণে, চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং শূন্য দশমিক ৫৯ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষ ঘটে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৫ দশমিক ০৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, শুন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।
সংগঠনটি বলছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার নিবন্ধন দেওয়ার উদ্যোগের পরিকল্পনায় গলদ থাকায় এই অটো নিবন্ধন দেওয়া হলে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা দ্বিগুণ হবে।