
দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার দাকোপে পানখালী ইউনিয়নের মৌখালী এলাকায় স্লুইচ গেটের পশ্চিম পাশে ভয়াবহ ভাঙনে খরস্রোতা মাঙ্গা নদী গর্ভে অসহায় ৫টি পরিবারের বসতবাড়ি সম্পূর্ণ বিলীন হয়েছে। এখন তারা পাশ্ববর্তী পানি উন্নয়ন বোর্ডেও ওয়াপদা বেড়িবাঁধের উপর খোলা আকাশের নীচে অত্যান্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অতি দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহন না করলে ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত এবং ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন ওই এলাকার কয়েক হাজার লোক। সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার ৩১ নম্বও পোল্ডারের মৌখালী এলাকায় স্লুইচ গেটের পশ্চিম পাশে কয়েকটি পরিবার ওয়াপদা বেড়িবাঁধের বাহিওে বসতবাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস কওে আসছিল। চলতি পূর্ণিমা গোনে গত বুধবার তাদেও বাড়ি সংলগ্ন মাঙ্গা নদীতে প্রবল জোয়ারের তোড়ে ভয়াবহ ফাটল ও ভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গরিব অসহায় লিয়াকত গাজী, মহিবুর গাজী, আমির আলী গাজী, অহিদুজ্জামান গাজী, হাবিবুর রহমান মোল্যা ৫টি পরিবারের বসতবাড়ি সম্পূর্ণ মাঙ্গা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে অন্যান্য পরিবারের ঘরবাড়ি রক্ষার্থে অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা যায়। ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় লিয়াকত গাজী, মহিবুর গাজী, আমির আলী গাজী জানান, একমাত্র সহায় সম্বল বসতঘর বাড়ি হারিয়ে এখন পাশ্ববর্তী ওয়াপদা বেড়িবাঁধের উপর খোলা আকাশের নীচে তাদেও পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহাওে অনাহাওে অত্যান্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পানখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাব্বির আহম্মেদ শেখ বলেন, পূর্ণিমা গোনের জোয়ারের পানির তোড়ে ৫টি পরিবারের বসতঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদেও তালিকা কওে উপজেলা পরিষদে পাঠিয়েছি। উপজেলা পরিষদেও পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদেও খাদ্য ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেছে। এ ছাড়া ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডেও লোকজন প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) উপ সহকারি প্রকৌশলী গোপাল কুমার দত্ত জানান, ভাঙন প্রতিরোধে নকসা তৈরী কওে জমা দেওয়া হয়েছে। অতি দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।