
শরণখোলা আঞ্চলিক অফিসঃ দুবলার আলোরকোলে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেফতার ৩ আসামীকে বাগেরহাট জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে, দুবলারচরে বিপুল পরিমাণ হরিণধরা ফাঁদ ও একটি ট্রলারসহ ৩২ জনকে আটক করে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠিয়েছে বনরক্ষীরা।
গত সোমবার (৩ নভেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে দুবলার আলোরকোল এলাকার ডিমেরচর বনাঞ্চলে হেটে টহলের সময় বনের মধ্যে হরিণ শিকারীদের ধাওয়া দিয়ে একজনকে ধরে ফেলেন সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) রানা দেব। এ সময় অন্য শিকারীরা রেঞ্জ কর্মকর্তাকে বেধড়ক মারধর করে ধরে রাখা শিকারীকে ছিনিয়ে নিয়ে বনের মধ্যে পালিয়ে যায়। বনরক্ষীরা ঘটনাস্থল থেকে ১৮টি হাঁটা ফাঁদ জব্দ করেন। পরে বনরক্ষীরা বনের মধ্যে তল্লাশী করে তিনজন আটক করেন। আটককৃতরা হলো,রাফি হাসান (৩০), শাহিদ মল্লিক (২৫) ও আলামিন আকুঞ্জি (২৮)। আটককৃতরা মুসলিম পরিচয় আড়াল করে হিন্দুর পরিচয়পত্র দিয়ে দুবলার রাস উৎসবে গিয়ে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের জন্য ফাঁদ পাতে বলে বনরক্ষীরা জানান। এদের বাড়ী বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায়।
এ ঘটনায় শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আটক ৩ আসামীকে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
অপরদিকে,দুবলার রাস উৎসবে গিয়ে সুন্দরবনে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকারের সময় পৃথক দুটি ঘটনায় বনরক্ষীরা প্রায় ৪০ কেজি হরিণধরার মালা ফাঁদ ও একটি ট্রলারসহ ৩২ জনকে আটক করে বৃহস্পতিবার সকালে বাগেরহাট আদালতে পাঠিয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) রানা দেব বলেন, রাস উৎসবের আড়ালে আটক ৩২ জন হরিণ শিকারের জন্য সুন্দরবনের কেলেরখাল এলাকায় ফাঁদ পেতে ছিলো । এদের বাড়ী খুলনার বটিয়াঘাটা এলাকায়। তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হয়েছে।