
ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন।
গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও ঢাবি অধ্যাপক কার্জনসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। মামলাটি করেন শাহবাগ থানার এসআই মো. আমিরুল ইসলাম। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত এই আদেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন- মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, মঞ্জুরুল আলম, কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খাঁন, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহম্মদ আলী এবং আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।
সেদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তৌফিক হাসান আসামিদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় ঢাকার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটরিয়ামে ‘মঞ্চ ৭১’ এর ব্যানারে একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত থেকে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করে বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেন এবং অন্যদের প্ররোচিত করেন। পরে বৈঠকে অংশ নেওয়া ৭০ থেকে ৮০ জনের মধ্যে থেকে ১৬ জনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ‘মঞ্চ ৭১’ নামে সংগঠনটি ৫ আগস্ট আত্মপ্রকাশ করে। সংগঠনের ঘোষিত লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলা। তবে পুলিশের অভিযোগ, এই সংগঠনের আড়ালে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের কার্যক্রম চলছিল।