
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : স্বপ্নের রেললাইন স্থাপন হতে যাচ্ছে ভোমরা স্থল বন্দরে। ভোমরাসহ সাতক্ষীরাবাসীর বহুদিনের প্রতিক্ষীত স্বপ্ন আজ বাস্তবায়নের পথে। সাতক্ষীরাবাসীর উদ্যম ও কর্মস্পৃহার সক্ষমতার প্রতীক হবে ভোমরা স্থল বন্দরে রেল লাইন স্থাপন। গৌরব ও অহংকারের সমুজ্জ্বল প্রতীক হবে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা।
ভোমরা স্থল শুল্ক স্টেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলছেন, ভোমরা স্থল বন্দরে রেললাইন স্থাপন হলে যাত্রীসেবা ও মালামাল পরিবহন হবে গতিশীল। বাণিজ্যিক ব্যবস্থায় খুলবে নতুন দুয়ার। যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থায় সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব, আরামদায়ক নিরাপদ বিবেচনায় যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনে ভোমরা স্থল বন্দরে রেলপথের অভাবনীয় ভূমিকা পালন করবে। ভোমরা আমদানি ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, রেলপথ উন্নয়নের মাধ্যমে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটলে কম খরচ ও সময়ে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহন সহজতর হবে, আমদানিজাত ও উৎপাদনের উপকরণ সরবরাহে গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে, উৎপাদিত পণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাতকরণসহ দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।
ভোমরা কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস এ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা বলেন, ভোমরা বন্দরে রেলপথ স্থাপন হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। সকল শ্রেণীর মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। শিল্পায়নের বিকেন্দ্রীকরণ ঘটবে এবং দরিদ্র হ্রাসসহ আপামর জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রাখবে। ভোমরা স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক বলেন, দেশের অর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভোমরা স্থল বন্দরে রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরিবহন ব্যবস্থার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে। দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে ভোমরা বন্দরের রেলপথের অর্ন্তভূক্ত হলে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, যোগাযোগ ও পরিবহন পরিসেবা ও যাত্রী পরিসেবার সার্বিক মনোনয়ন ঘটবে। রেল যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার গুরুত্ব উপলব্ধি করে গত ৮ সেপ্টেম্বর ডেভোলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) প্রনয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজশাহী জোনের প্রধান প্রকৌশলী ২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকার ডিপিপি দাখিল করেছেন। প্রশাসন সূত্র বলছেন, জনগণের চাহিদা ও সময়ের দাবিতে বৃহৎ এ প্রকল্প অগ্রাধিকার পাবে। তবে কবে নাগাদ এ রেলপথ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে, সেটা নিশ্চিত করে জানা যায়নি।