
ডেস্ক রিপোর্ট : চিকিৎসা শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ শতাংশ আসন কমিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। অবকাঠামো ও জনবল ঘাটতি থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোতেই মূলত আসন কমানো হয়েছে।
এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজে ২৮০টি এবং বেসরকারি কলেজে ২৯২টি আসন কমানো হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৫৭২টি আসন হ্রাস পেয়েছে।
গত শিক্ষাবর্ষে ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে আসন ছিল ৫ হাজার ৩৮০টি, এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১০০-তে। অন্যদিকে ৬৬টি বেসরকারি কলেজে আসন ছিল ৬ হাজার ২৯৩টি, যা কমে হয়েছে ৬ হাজার ১টি।
এছাড়া মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভুইয়া মেডিকেল কলেজ ও শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজে এ বছর নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে এসব কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চলবে পূর্বের মতোই।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, এবারের আসন পুনর্নির্ধারণে প্রথমবার কাঠামোবদ্ধ মূল্যায়ন পদ্ধতি (ম্যাট্রিক্স) ব্যবহার করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর ও বিএমডিসি যৌথভাবে কলেজগুলো পরিদর্শন করে এবং স্ব-মূল্যায়ন প্রতিবেদন যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
তদন্তে দেখা গেছে, বিক্রমপুর ভুইয়া মেডিকেলে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের বদলে আছে মাত্র ৭০ শয্যা। শ্রেণিকক্ষ, ল্যাব, লেকচার গ্যালারি ও শিক্ষক ঘাটতিও রয়েছে। অনুরূপ ঘাটতির কারণে মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজেও ভর্তি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যেসব বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন কমানো হয়েছে- ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ, এমএইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজ, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, ডেলটা মেডিকেল কলেজ, মার্কস মেডিকেল কলেজ, সিটি মেডিকেল কলেজ (গাজীপুর), ডায়াবেটিক মেডিকেল কলেজ (ফরিদপুর) এবং আ. হামিদ মেডিকেল কলেজ (কিশোরগঞ্জ)।
অন্যদিকে ঢাকার জুরাইনে ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক মেডিকেল কলেজ নতুনভাবে অনুমোদন পেয়েছে, যেখানে ৫০ জন দেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ খায়রুল ইসলাম মনে করেন, চিকিৎসা শিক্ষায় মান রক্ষায় মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ ইতিবাচক হলেও আরও কঠোর হওয়া উচিত ছিল। মানহীন শিক্ষা থেকে মানহীন চিকিৎসকই তৈরি হবে।