1. mesharulislammonir1122@gmail.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন
  2. info@www.sangjogprotidin.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
যশোরে আমবাগান থেকে ৬টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার যশোরে মাদকবিরোধী অভিযানে গাঁজাসহ যুবক গ্রেফতার যশোরে পদোন্নতি বঞ্চিত বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের কর্মবিরতি সুন্দরবনের সর্ববৃহৎ ‌‌‌পর্যটন এলাকা মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ‌ কারণে ‌ নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপকূলের মানুষ ডুমুরিয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়তি, কমেছে মোটা চাল ও ডিমের দাম যশোরে আউটসোর্সিং নিয়োগ বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান বাঘারপাড়ায় নাশকতা মামলার আসামি গ্রেপ্তার ভারতে আটক ১৫ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত মওলানা ভাসানী সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন : তারেক রহমান

সুন্দরবনের সর্ববৃহৎ ‌‌‌পর্যটন এলাকা মান্দারবাড়িয়া

  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পশ্চিমের জনপদ সুন্দরবনঘেঁষা উপজেলা সাতক্ষীরার শ্যামনগর। নয়নাভিরাম সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষে জেগে ওঠা এক সমুদ্রসৈকত মান্দারবাড়িয়া। যার একপাশে বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবন, অপর পাশে বঙ্গোপসাগরের অতল জলরাশির খেলা। প্রকৃতির নিবিড় ছোঁয়ায় বেড়ে ওঠা আট কিলোমিটার দীর্ঘ এ বেলাভূমি এখনো যেন অনেকটাই থেকে গেছে অনাবিষ্কৃত। দুর্গম যোগাযোগব্যবস্থা, অবকাঠামোগত উন্নয়নের ঘাটতি, সরকারি প্রচার-প্রসারের উদ্যোগহীনতা ইত্যাদি নানাবিধ কারণে দীর্ঘদিনেও সেভাবে জনসম্মুখে আসেনি দৃষ্টিনন্দন দীর্ঘ এ সমুদ্রসৈকতটি।
মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত একদিকে যেমন হয়ে উঠতে পারে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে অবহেলিত উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যবদলের হাতিয়ার, অন্যদিকে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। দেশের পর্যটনশিল্পকে সমৃদ্ধ করার সব ধরনের উপকরণ বিদ্যমান অপরূপ সৌন্দর্যের এ লীলাভূমি। একইসঙ্গে বনভূমি এবং জলাভূমির সহাবস্থান যেন মান্দারবাড়িয়াকে দিয়েছে সৌন্দর্যের অনন্য এক উচ্চতা। যা সহজেই যে কোনো পর্যটককে বিমোহিত করতে সক্ষম।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের নীলডুমুর ঘাট থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। যাত্রাপথে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক দৃশ্য, আঁকাবাঁকা নদী, চির সবুজ গোলপাতা, কেওড়া, গেঁওয়া, গরান, সুন্দরীসহ বিভিন্ন প্রকারের গাছ, হরিণ, বানর, শূকর, কুমির, রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ নানা প্রজাতির জীবজন্তু আর বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কিচির মিচির সুরেলা ডাক পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়ে। সুন্দরবনের গা ছমছমে ভয়ংকর পরিবেশ যে কোনো ভ্রমণপিপাসু মানুষকে দিতে পারে ভ্রমণের সর্বোচ্চ আনন্দ। দেখা যাবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। সাগরের দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি এবং জঙ্গলের গাছ-গাছালির সবুজ বেষ্টনী মিলেমিশে তৈরি করেছে যেন এক রূপকথার রাজ্য। যে কোনো প্রকৃতিপ্রেমী ভ্রমণপিপাসু ব্যক্তিই চাইবে হারিয়ে যেতে এমন এক রাজ্যে।
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের মূল উপাদান এ দেশের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ। আর এ শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজন এসব উপাদানকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো। দেশের পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে মান্দারবাড়িয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী উপকূলীয় পর্যটন, পর্যটন বাজারের বৃহত্তম অংশ সারা বিশ্বের জিডিপির ৫ শতাংশ এবং মোট কর্মসংস্থানের ৬/৭ শতাংশ। ১৫০টি দেশে এটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী প্রথম পাঁচটি খাতের মধ্যে একটি, যা মান্দারবাড়িয়ার অপার সম্ভাবনাকে ইঙ্গিত দেয়। যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মান্দারবাড়িয়াকে একটি পূর্ণাঙ্গ উপকূলীয় পর্যটনকেন্দ্রে রূপ দিয়ে টেকসই পর্যটন সৃষ্টি করতে পারলে সেটি যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করতে সক্ষম হবে, একইভাবে দেশের অর্থনৈতিক খাতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে।
দেশের অন্যান্য উপকূলীয় পর্যটনকেন্দ্রগুলো থেকে যে পরিমাণ আয় হয়, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে মান্দারবাড়িয়া থেকেও একই পরিমাণ আয় সম্ভব। এ ছাড়া উপকূল ঘিরে মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ এবং পায়রা বন্দরের সঙ্গে সারসরি সংযোগ সড়ক সৃষ্টির মতো পরিকল্পনা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা অনেক বেশি সহজ করে তুলবে, যা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির এক নতুন দ্বার উন্মোচন করতে সক্ষম।
মান্দারবাড়িয়াকে টেকসই পর্যটনকেন্দ্র সৃষ্টির মাধ্যমে সারা বছর পানিবন্দি থাকা দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান ঊর্ধ্বগামী করা সম্ভব। প্রচুর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে এ অঞ্চলের বেকারত্ব দূরীকরণ করাও সম্ভব হবে। সৈকতভিত্তিক বিনোদন এবং পর্যটন, সমুদ্রের কাছে পর্যটন কার্যক্রম, ইয়টিং, মেরিনাসহ নটিক্যাল বোটিংয়ের মাধ্যমে একদিকে যেমন মান্দারবাড়িয়ার প্রসার বাড়ানো সম্ভব, তেমনিভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুতগামী হবে। সৃষ্টি হবে ‘কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজমের’। যা হবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক নতুন সূচনা। সরকারি বিনিয়োগের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও বিনিয়োগের সুযোগ প্রদান এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
সাতক্ষীরা পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগীয় বনকর্মকর্তা এ জেড এম হাসানুর রহমান এই প্রতিবেদকে ‌বলেন, মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত পশ্চিম সুন্দরবন রেঞ্জের মধ্যে অবস্থিত সাগরের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের অভয়ারণ্য অঞ্চল। এখানকার বিদ্যমান সমস্যার সমাধান ও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে পরিকল্পিতভাবে উপযুক্ত পর্যটনবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত হয়ে উঠবে কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস। ফলে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব। এজন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
দেশের জন্য মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত একটি আশীর্বাদ স্বরূপ। অর্থনৈতিকভাবে একটি সমুদ্র সৈকত দেশের পর্যটনশিল্পকে সমৃদ্ধ করে। দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে সমুদ্র সৈকতগুলো।
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ হলেও বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে অবস্থিত দেশের দক্ষিণে রয়েছে বেশ কয়েককটি সমুদ্র সৈকত। তেমনি একটি সমুদ্র সৈকত সাতক্ষীরা জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ-ভারত বিভাজনকারী নদী হাড়িয়াভাঙ্গার সন্নিকটে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত।এ সমুদ্র সৈকত কে ঘিরে এখানে গড়ে উঠছে নানা স্থাপনা। একটা সময় এই সমুদ্র সৈকত সবার কাছে অজানা থাকলেও বর্তমানে  ধীরে ধীরে পরিচিতি লাভ করছে। ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের   এ সমুদ্রসৈকতের অপরূপ সৌন্দর্য খুব সহজে বিমোহিত করে এখানে আসা পর্যটকদের।
সমুদ্রের গর্জনে কানপেতে প্রকৃতির সাথে যারা মিশে যেতে চান তাদেরকে সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে  মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত। সাতক্ষীরা থেকে মান্দারবাড়িয়া যাওয়ার পথে চোখে পড়বে প্রকৃতির নানা রূপ।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের পাশ ঘেঁষে এর অবস্থান। ভাগ্য ভালো থাকলে চলার পথে সুন্দরবনের বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল ও হরিণের দেখা পেতে পারেন।
সুন্দরবনের সবুজের রাজ্যে উঁকি দিবে ঝাকে ঝাকে বানর, শুকরের দলসহ নানা পশুপাখি ও বৃক্ষরাজি। এখানে একটু খোজ করলেই পাবেন সুন্দরবনের খাঁটি মধু যা পরিবারের জন্য কিনে নিয়ে যেতে পারেন। সুন্দরবন পাশে হওয়ায় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত এক অন্যতম পর্যটন স্থান হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে। মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত এর সাথে খুব সহজেই যোগ করতে পারেন সুন্দরবন।সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় বঙ্গোপসাগরের তীর ধরে জেগে ওঠা এক নয়নাভিরাম সমুদ্র সৈকত মান্দারবাড়িয়া। যার একপাশে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনভূমি ‘সুন্দরবন’, অপর পাশে বঙ্গোপসাগরের অতল, অবিশ্রান্ত জলরাশির খেলা। প্রকৃতির নিবিড় ছোঁয়ায় বেড়ে ওঠা ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বেলাভূমি এখনো যেন অনেকটাই থেকে গেছে অনাবিষ্কৃত। দুর্গম যোগাযোগব্যবস্থা, অবকাঠামোগত উন্নয়নের ঘাটতি, সরকারি প্রচার-প্রসারের উদ্যোগহীনতা ইত্যাদি নানাবিধ কারণে দীর্ঘদিনেও সেভাবে জনসম্মুখে আসেনি দৃষ্টিনন্দন দীর্ঘ এই সমুদ্রসৈকতটি। মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত একদিকে যেমন হয়ে উঠতে পারে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে অবহেলিত উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যবদলের হাতিয়ার, অন্যদিকে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। দেশের পর্যটনশিল্পকে সমৃদ্ধ করার সব ধরনের উপকরণ বিদ্যমান অবহেলায়, অব্যবস্থাপনায় পড়ে থাকা অপরূপ সৌন্দর্যের এই লীলাভূমিটিতে। একই সঙ্গে বনভূমি এবং জলাভূমির সহাবস্থান যেন এই সমুদ্রতটটিকে দিয়েছে সৌন্দর্যের অনন্য এক উচ্চতা; যা সহজেই যে কোনো পর্যটককে বিমোহিত করতে সক্ষম। শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের নীলডুমুর ঘাট থেকে এর দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার। যাত্রা পথের প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং একপ্রান্তে সুন্দরবনের গা ছমছমে ভয়ংকর পরিবেশ যে কোনো ভ্রমণপিপাসু মানুষকে দিতে পারে ভ্রমণের সর্বোচ্চ আনন্দ। দেখা যাবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। সাগরের দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি এবং জঙ্গলের গাছগাছালির সবুজ বেষ্টনী মিলেমিশে তৈরি করেছে যেন এক রূপকথার রাজ্য। যে কোনো প্রকৃতিপ্রেমী ভ্রমণপিপাসু ব্যক্তিই চাইবে এমন এক রাজ্যে হারিয়ে যেতে।
বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের মূল উপাদান এ দেশের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ। আর এই শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজন এসব উপাদানগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো। দেশের পর্যটনশিল্পকে আরো সমৃদ্ধশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে মান্দারবাড়িয়া। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী উপকূলীয় পর্যটন, পর্যটন বাজারের বৃহত্তম অংশ সারা বিশ্বের জিডিপির ৫ শতাংশ এবং মোট কর্মসংস্থানের  ৬-৭ শতাংশ। ১৫০টি দেশে এটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী প্রথম পাঁচটি খাতের মধ্যে একটি; যা মান্দারবাড়িয়ার অপার সম্ভাবনাকে ইঙ্গিত দেয়। যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মান্দারবাড়িয়াকে একটি পূর্ণাঙ্গ উপকূলীয় পর্যটনকেন্দ্রে রূপ দিয়ে টেকসই পর্যটন সৃষ্টি করতে পারলে সেটি যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করতে সক্ষম হবে, একইভাবে দেশের অর্থনৈতিক খাতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে। দেশের অন্যান্য উপকূলীয় পর্যটনকেন্দ্রগুলো থেকে যে পরিমাণ আয় হয়, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে মান্দারবাড়িয়া থেকেও একই পরিমাণ আয় সম্ভব। এছাড়া উপকূল ঘিরে মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ এবং পায়রা বন্দরের সঙ্গে সারসরি সংযোগ সড়ক সৃষ্টির মতো পরিকল্পনা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা অনেক বেশি সহজ করে তুলবে; যা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির এক নতুন দ্বার উন্মোচন করতে সক্ষম। বর্তমান বিশ্বের বহুল আলোচিত ‘ব্লু-ইকোনমি’ বা সুনীল অর্থনীতির অন্যতম ক্ষেত্র হতে পারে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত। মান্দারবাড়িয়াকে টেকসই পর্যটনকেন্দ্র সৃষ্টির মাধ্যমে সারা বছর পানিবন্দি থাকা দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান ঊর্ধ্বগামী করা সম্ভব। প্রচুর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে এ অঞ্চলের বেকারত্ব দূরীকরণ করাও সম্ভব হবে। সৈকতভিত্তিক বিনোদন এবং পর্যটন, সমুদ্রের কাছে পর্যটন কার্যক্রম, ইয়টিং, মেরিনাসহ নটিকাল বোটিংয়ের মাধ্যমে একদিকে যেমন মান্দারবাড়িয়ার প্রসার বাড়ানো সম্ভব তেমনিভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুতগামী হবে। সৃষ্টি হবে ‘কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজমের’; যা হবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক নতুন সূচনা।
যোগাযোগব্যবস্থার অপ্রতুলতা মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকতের দৃষ্টির অগোচরে পড়ে থাকার অন্যতম প্রধান কারণ। রাজধানী থেকে সাতক্ষীরা সরাসরি সংযোগ থাকলেও সাতক্ষীরা সদর থেকে মান্দারবাড়িয়া যাওয়ার নেই কোনো সরাসরি সড়ক ব্যবস্থা। ভাঙা ভাঙা পথ পাড়ি দিতে পোহাতে হয় অনেক ভোগান্তি। নৌপথে নেই অত্যাধুনিক কোনো নৌযান। যার কারণে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে যায়। এছাড়া স্থায়ী বাঁধ না থাকার কারণে প্রায় সারা বছরই উপকূলীয় এলাকা থাকে পানিবন্দি; যার ফলে যাত্রাপথ হয়ে ওঠে আরো দুর্গম। রয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থারও ঘাটতি। এসব কারণে সবধরনের সৌন্দর্য্য থাকা সত্ত্বেও পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হচ্ছে মান্দারবাড়িয়া। এছাড়া প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অপ্রতুলতা, হোটেল, মোটেল ইত্যাদি আশ্রয়স্থলের অভাব মান্দারবাড়িয়ার অপার সম্ভাবনাকে ধীরে ধীরে কমিয়ে আনছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, উপকূলে প্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণ, নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার, অত্যাধুনিক নৌযান চালু, প্রয়োজনীয় হোটেল, রিসোর্ট স্থাপন ইত্যাদি উদ্যোগ মান্দারবাড়িয়াকে একটি টেকসই উপকূলীয় পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত করতে পারে। এছাড়া সরকারি বিনিয়োগের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও বিনিয়োগের সুযোগ প্রদান এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। মান্দারবাড়িয়াতে নেই সৌন্দর্যের কোনো অভাব। অভাব আছে শুধু পরিকল্পিত উদ্যোগ, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও আন্তরিক প্রচেষ্টার। এখানকার বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করতে পারলে এবং উপযুক্ত পর্যটনবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে মান্দারবাড়িয়া হয়ে উঠবে কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উত্স।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট