1. mesharulislammonir1122@gmail.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন
  2. info@www.sangjogprotidin.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১৪ অপরাহ্ন

সাতক্ষীরায় বারবার বীজতলা নষ্ট হওয়ার কারণে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ভারী ‌‌বর্ষণে সাতক্ষীরায় অন্তত ৩ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান, ১৫০ হেক্টর বীজতলা এবং ৫০০ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজিক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরায় আমন চাষের সংখ্যা বেড়েছে চাষিরা আমন চাষে ঝুঁকেছে কিন্তু দফায় দফায় ভারী বর্ষণের কারণে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় ধান রোপণে বিলম্ব হয়েছে সে কারণে ফসলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে অভিজ্ঞ চাষীরা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। চাষের জমি ও বীজতলা ডুবে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কুষকরা। ফলে ভরা মৌসুমে রোপা আমনের চারার সংকট দেখা দিতে পারে। এদিকে নতুন করে পানি বাড়ায় দূর্ভোগ বেড়েছে শহরের নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারি জনসাধারণের। টানা বর্ষণে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জলাবদ্ধ এলাকার মানুষের। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলার ৮৮ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ছিল। এরই মধ্যে ৩০-৪০ শতাংশ জমিতে রোপণ সম্পন্ন হলেও ভারী বৃষ্টিপাতে অন্তত ৩ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান, ১৫০ হেক্টর জমির বীজতলা এবং ৫০০ হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালীন সবজিক্ষেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। সাতক্ষীরা জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৪ থেকে ৫ দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর এলাকার কৃষক ইউনুচ আলী জানান, প্রতিবছর প্রায় ১০ বিঘা জমিতে তিনি রোপা আমন ধানের চাষ করেন। ইতিমধ্যে অর্ধেক জমিতে ধানের চারা রোপন করা হয়ে গেছে। বাকি জমি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে থাকায় চারা রোপন করতে পারছেন না। এছাড়া পানিতে তলিয়ে থাকার কারণে বীজতলা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। একইসাথে রোপন করা পাঁচ বিঘা জমির ধানের চারাও প্রায় পানিতে তলিয়ে যাওয়ার মত। বৃষ্টি অব্যহত থাকলে আগামী ২/১দিনের মধ্যে সবটাই পানিতে ডুবে যাবে। ফলে নতুন করে আবার রোপন করতে হলে আমনের চারার সংকট দেখা দিতে পারে। তিনি বিলের পনি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সদর উপজেলার যুগরাজপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, ২০ বিঘা জমিতে ধান চাষের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এর মধ্যে আট বিঘায় চারা রোপণ শেষ হলেও সব জমি এখন তিন-চার ফুট পানির নিচে। চাষের জমি পানিতে ডুবে থাকায় সেখানে ধানের চারা রোপন করা যাচ্ছে না। বিলের মধ্যে খাল উন্মুক্ত না থাকায় পানি নামছে না। রোপা আমন আর সবজিক্ষেত ডুবে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেলাম। এদিকে টানা বৃষ্টিতে শুধু কৃষকরাই নয়, চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষও। বৃষ্টি পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরের নিম্নাঞ্চলে নতুন করে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। শহরের কামালনগর এলাকার ভ্যানচালক ফজর আলী জানান, বর্ষা শুরু কিছুদিনের মধ্যে পুরো কামালনগর এলাকার নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কয়েকদিন আগে পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলেও ফের বৃষ্টি বাড়ায় আবার সবকিছু পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে পানি জমে রাস্তাঘাট ডুবে গেলে আমরা ভ্যান নিয়ে বের হতে পারি না। সারাদিন ভ্যান না চালাতে পারলে সংসার চলে না। টানা বৃষ্টি হলে যেন জীবনটাই থমকে যায়। নগরঘাটা গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, চার বিঘা জমিতে চাষ করা ঢেঁড়স, বরবটি, পটোল, ওল, মুখীকচুসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার সবজি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বর্ষা কমলে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। মাছখানে অনেক টাকা ক্ষতির সম্মুখিন হতে হলো আমাকে। স্থানীয় কৃষক ও নাগরিকদের অভিযোগ, জলাবদ্ধতার মূল কারণ হলো বিলের খালগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া ও সঠিক নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাব। তারা মনে করছেন, সরকারি সহায়তা ছাড়া এ ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টিতে জেলার প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান, ১৫০ হেক্টর বীজতলা ও ৫০০ হেক্টর সবজি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক হিসাব নির্ধারণে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
তা’লা উপজেলায় পাঁচ হাজার মানুষ পানিপন্দি
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন গ্রাম। এতে পানিবন্দী হয়ে হয়েছে প্রায় ৫ হাজার মানুষ।
যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার হিজেলডাঙ্গা ও ভবানীপুর এলাকার উজানের পানির প্রবাহের কারণে তালার শিরাশুনি গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম এ দৃশ্য দেখা গেছে। প্লাবিত হওয়া এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট, বেড়েছে পানিবাহিত রোগ। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শত শত মানুষ।
শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, কেশবপুর এলাকার উজানের দিক থেকে পানি প্রবাহিত হয়ে তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের শিরাশুনি গ্রামে প্রবেশ করছে। গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি জলমগ্ন। রাস্তাঘাট, কৃষি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবই তলিয়ে গেছে পানির নিচে। এতে এসব এলাকার বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
শিরাশুনি গ্রামের জালাল উদ্দিন বলেন, অতিবৃষ্টির সঙ্গে উজান পানি মিলিয়ে হঠাৎ করেই আমাদের গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে। রান্নাবান্না, কৃষিকাজ, শিশুদের পড়াশোনা—সব কিছুতেই ভোগান্তি। কৃষিকাজ বন্ধ, কাজ নেই, ঘর থেকেও বের হতে পারি না। গত তিন বছর ধরে এই পানি আমাদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।
ময়না খাতুন নামের এক গৃহবধু বলেন, আমাদের বাড়িতে কোমর সমান পানি। কেউ মারা গেলে কবরস্থানে নেওয়াও সম্ভব হবে না। বিশুদ্ধ পানির অভাবে অনেকেই চর্মরোগ ও অন্যান্য পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
তালা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান জানান, গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে জলাবদ্ধতা নিরসনের পরিকল্পনা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। কেশবপুরের নরনিয়া খাল দিয়ে পানি নামতে না পারায় এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইতোমধ্যে এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পানির গতি বাড়াতে বিভিন্ন খালের মুখে থাকা নেটপাটা ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হয়েছে। তবে কেশবপুরের উজান থেকে পানি সরানো না গেলে আশপাশের আরও ১০টি গ্রাম স্থায়ী জলাবদ্ধতায় পড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, নওয়াপাড়া খাল দিয়ে কিছুটা পানি সরানো গেলেও নরনিয়া খাল ও ভদ্রা নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনে বড় বাধা সৃষ্টি হয়েছে। কেশবপুর ও মনিরামপুরের পানি ভদ্রা নদী দিয়ে না নামায় আমাদের এলাকায় জলাবদ্ধতা হচ্ছে। ভদ্রা নদী খনন করলেই স্থায়ী সমাধান সম্ভব।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রানী সরকার বলেন, উপজেলার অন্যতম প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। ইতোমধ্যে কয়েকটি খালের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হয়েছে। আমি নিজেও একাধিকবার এলাকা পরিদর্শন করেছি। শুক্রবার বিকেলেও শিরাশুনি এলাকায় গিয়ে বাস্তব পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেছি। পানি অপসারণে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সাতক্ষীরার বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলজুড়ে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভয়াবহ জলাবদ্ধতা জনজীবন ও কৃষিখাতকে চরম সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন বিল ও নিচু এলাকাগুলো পানির নিচে চলে যাওয়ায় হাজার হাজার কৃষক এবং পানিবন্দি মানুষ গভীর দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
এই জলাবদ্ধতায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান, ১৫০ হেক্টর বীজতলা এবং ৫০০ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি ক্ষেত সম্পূর্ণরূপে তলিয়ে গেছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ডাইয়ের বিল, রামচন্দ্রপুর বিল, শাল্যের বিল সহ অন্তত ২০টি বিল এবং বালুইগাছা, গোবিন্দপুর, বড়দল সহ ১০টিরও বেশি গ্রাম এখন জলমগ্ন। কৃষকদের চোখেমুখে এখন শুধুই হতাশার ছাপ।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, “১০ বিঘা জমির অর্ধেকটায় চারা রোপণ করেছিলাম, বাকিটা এখন পানির নিচে। বীজতলাও নষ্ট হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে চারা লাগানোর সুযোগও পাব না।” আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, “আমার ২০ বিঘা জমির মধ্যে আট বিঘায় চারা দিয়েছিলাম। সব জমিই তিন-চার ফুট পানির নিচে। খালগুলো বন্ধ থাকায় পানি নামছে না, আমাদের সব শেষ হয়ে গেল।”
সবজি চাষীরাও এই বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাননি। কৃষক শফিকুর রহমান বলেন, “চার বিঘায় ঢেঁড়স, বরবটি, পটোল, ওলসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার সবজি চাষ করেছিলাম। এখন সবকিছুই পানির নিচে। আবার নতুন করে শুরু করতে হবে, কিন্তু কোথা থেকে পুঁজি আসবে?”
কেবল কৃষিখাত নয়, জনজীবনও স্থবির হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য বলেন, “বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীর মধ্যবর্তী অন্তত ২০টি বিল ও ১০টি গ্রামের মানুষ এখন পানিবন্দি। গ্রামীণ রাস্তায় হাঁটু পানি, স্কুলে ক্লাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে, আর স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। দুর্ভোগের কোনো সীমা নেই।”
সাতক্ষীরা পৌর শহরের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ। ভ্যানচালক আসলাম শেখ বলেন, “রাস্তায় পানি উঠলে ভ্যান চালানো যায় না। ঘরে বসে থাকলে পরিবার চলে না। টানা বৃষ্টিতে জীবনটাই থেমে যায়।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকা এবং খাল দখলের কারণে এমন দুর্ভোগ বারবার হচ্ছে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “টানা বর্ষণে প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক হিসাব করতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।”
এদিকে, সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানিয়েছেন, আগামী ৪-৫ দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি সরকারি পদক্ষেপ ও ত্রাণ সহায়তা না এলে কৃষকদের চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষ।
সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলায় এবার আমন চাষে মানুষের আগ্রহ বেশি থাকলেও অতি বর্ষণের কারণে আমলের বীজতলা নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিরমিকে পড়তে পারে চাষিদের এমন আশঙ্কা করেছেন অনেক আমান চাষিরা। উপজেলায় এবার আমন ফসলের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক বেশি হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন উপজেলা কৃষি অফিস। পর্যাপ্ত বৃষ্টি অনুকুল আবহাওয়ার জন্য উপজেলায় কৃষকরা কোন জায়গা ফেলে না রেখে আমন ধান রোপন করছেন বলে কৃষকরা জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন মন্ডল জানান, চলতি মৌসুমে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৬ হাজার ৮৩৫ হেক্টর। কিন্ত এবার আমন ফসল আবাদ হতে পারে ১৮ হাজার হেক্টর এমনটাই আশা প্রকাশ করছেন উপজেলা কৃষি অফিস। গত ২৬ আগস্ট পর্যন্ত আমন ফসল রোপন কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে সমাপ্ত হয় ১৫ হাজার ৯২০ হেক্টর। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আমন ফসল রোপন কার্যক্রম সমাপ্ত হতে পারে বলে কৃষি অফিস জানান। আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে জাত অনুযায়ী হাইব্রিড রয়েছে ৬৫০ হেক্টর, স্থানীয় ২০ হেক্টর ও উফসি ১৬ হাজার ১৬৫ হেক্টর।
হাইব্রিড জাতের মধ্যে চাষ হয়েছে বায়ার ৭০০৬ ও ধানী গোল্ড। উফশির মধ্যে বিআর-১০, বিআর-১১, ব্রিধান-৪৯, ব্রিধান-৫১, ব্রিধান-৫২, ব্রিধান-৭৫, ব্রিধান-৮৭, ব্রি-৯৫, ব্রি-১০৩। স্থানীয় জাতের মধ্যে চাষ হয়েছে চিনিকানী। এদিকে বেসরকারী সংস্থা বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদ্দার বলেন তাদের সংগঠনের পরামর্শপ্রাপ্ত কৃষকরা কয়েকজন স্থানীয় কয়েকটি জাতের আমন ফসলের আবাদ প্লট আকারে করেছেন। উপজেলার মধ্যে বেশি আমন ফসল আবাদ হয়েছে মুন্সিগঞ্জ, রমজাননগর, ঈশ্বরীপুর, কৈখালী, আটুলিয়া, কাশিমাড়ি, শ্যামনগর ইউনিয়নে।
মুন্সিগঞ্জ গ্রামের আমন ফসল চাষি অশোক মন্ডল, চিত্ত মৃধা, আবু মুছা বলেন, এবার অনুকুল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে চাষিরা আমন ফসল চাষে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আবাদচন্ডিপুর গ্রামের ছোট পরিসরের চিংড়ী ঘের মালিক মিজানুর রহমান বলেন লবণ পানির চিংড়ী ঘেরে বেশি লাভবান না হওয়ায় চাষিরা কৃষি ফসল উৎপাদনে মনোযোগি হচ্ছেন। উপজেলার সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা গাজী আব্দুস সালাম বলেন এবার আমন আবাদ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি হবে। নিয়মিত বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমন ফসল উৎপাদনে চাষিরা আগ্রহ দেখিয়েছেন।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট