বাগেরহাট প্রতিনিধি : শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চিতলমারী প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে নতুন বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশুদের হাতে এ বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। এ উদ্যোগে সহযোগিতা করেছে দুর্বার উন্নয়ন সংস্থা।
নতুন কাপড় হাতে পেয়ে উপকৃতদের মুখে ফুটে ওঠে আনন্দের হাসি। তারা জানান, উৎসবের আগে এমন উপহার তাদের জন্য বিশেষ আনন্দের। অনেকেই আয়োজকদের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, এই উদ্যোগে তারা শুধু কাপড় পাননি, বরং পেয়েছেন ভালোবাসা ও মানবিকতার বার্তা।
এ সময় যাদের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হয় তাদের মধ্যে ছিলেন—যুথী কির্তোনিয়া (স্বামী প্রভাস কির্তোনিয়া), পুস্প কির্তোনিয়া (স্বামী দিনবন্ধু কির্তোনিয়া), হরিদাসি বাড়ই (স্বামী অধীর বাড়ই) বড়বাক গ্রামের বাসিন্দা; অনিতা মন্ডল (স্বামী প্রসেনজিৎ মন্ডল) স্যামপাড়া গ্রামের এবং শান্তিলতা গাইন (স্বামী মৃত সুখচান গাইন) দুর্গাপুর গ্রামের। এছাড়াও বিভিন্ন গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
বস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন চিতলমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি একরামুল হক মুন্সি, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন (প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দুর্বার উন্নয়ন সংস্থা), সহ-সভাপতি এসএম শহীদুল হক টিপু, সাধারণ সম্পাদক অরুন কুমার সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স মন্ডল অলিফসহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা।
প্রেসক্লাব সভাপতি একরামুল হক মুন্সি বলেন, সংবাদ প্রচারের পাশাপাশি সমাজের কল্যাণেও প্রেসক্লাব কাজ করে আসছে। শারদীয় দুর্গাপূজার আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এ আয়োজন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
দুর্বার উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, মানবতার সেবাই আমাদের লক্ষ্য। প্রেসক্লাবের এই মানবিক কাজে অংশ নিতে পেরে তিনি আনন্দিত এবং বিশ্বাস করেন, এমন উদ্যোগ সমাজে সহমর্মিতা আরও বাড়িয়ে তুলবে।
এ সময় সুবিধাভোগীরা বলেন, সমাজে খুব কম মানুষই অসহায়দের কথা ভাবে। উৎসবের আগে নতুন কাপড় পেয়ে আমরা অত্যন্ত খুশি। চিতলমারী প্রেসক্লাব ও দুর্বার উন্নয়ন সংস্থার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
মানবিক এ আয়োজন স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এলাকাবাসী আশা প্রকাশ করেছেন, সমাজের অন্যান্য সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানও এ ধরনের কল্যাণমূলক উদ্যোগে এগিয়ে আসবে।