শেখ ফারুক হোসেন, সাতক্ষীরা : মাদক কাণ্ডে ফুঁসলিয়ে বন্ধুকে বাড়ি থেকে ডেকে নদীর পাড়ে নিয়ে টাকা, মোবাইল ছিনতাই কালে বাধা দেওয়ায় গলায় ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা চেষ্টা মামলার মূল হোতা মাদকাসক্ত কিশোর গ্যাংয়ের শরিফুল ইসলাম ওরফে অমিতকে আটক করা হয়। ছুরিকাঘাতে জখম নাঈম ইসলাম তুহিনের পিতা বাজার গ্রাম রহিমপুর গ্রামের আবুল কালামের মঙ্গলবার রাত ৯ টায় মামলা দায়ের করে। ঘটনার ৫ ঘন্টা না যেতেই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে থানার সেকেন্ড অফিসার এস, আই শাহাদাত সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঐ রাতে অভিযান চালিয়ে নলতা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তার এই গ্রেফতারের পর থেকেই উপজেলা জুড়ে প্রশংসার সাগরে ভাসছে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান। গ্রেফতারকৃত শরিফুল ইসলাম ওরফে অমিত (১৭) উপজেলার নলতা ইউনিয়নের ইন্দ্রনগর গ্রামের রেজাউল পাড়ের ছেলে। গত সোমবার রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে শরিফুল ইসলাম ওরফে অমিত বাড়ি থেকে বন্ধু নাঈম ইসলাম তুহিনকে ডেকে নিয়ে কালিগঞ্জ সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে কাকশিয়ালি নদীর পাড়ে অন্ধকারে নির্জনে নিয়ে মোবাইল ও টাকা ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা চেষ্টা করে পালিয়ে যায়। ওই সময় তার ডাক চিৎকারে বিএনপি অফিসের সামনের লোকজন দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। এর আগেও গত ১১ মার্চ সন্ধ্যায় ইন্দ্রনগর হুসেইনা জামে মসজিদ থেকে ইফতার শেষে সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক বাড়ি ফেরার পথে মাদকাসক্ত কিশোর গ্যাং নেতা শরিফুল ইসলাম ওরফে অমিত তাকে একা পেয়ে পিছন থেকে জাপটে ধরে মাটিতে ফেলে উপযুপরি ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা চেষ্টা করে। উক্ত ঘটনার মামলায় সে পুলিশের হাতে আটক হয়ে দীর্ঘদিন জেল হাজত থেকে বাগেরহাট শিশু সংশোধনাগারে ছিল। সেখান থেকে গত সপ্তাহখানেক আগে জামিনে বাড়িতে এসে আবারো সে একই ঘটনা ঘটিয়ে বর্তমান জেলা হাজতে। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, হত্যার চেষ্টা মামলার আসামি শরিফুলকে বুধবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।