1. mesharulislammonir1122@gmail.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন
  2. info@www.sangjogprotidin.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভারত থেকে আমদানি বাড়লেও কমছে না দেশি চালের দাম সাতলায় লাল শাপলা ধংশের মুলে, বিলে মাছের চাষাবাদ মোংলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে ক্ষোভ, ১৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগ ফকিরহাটে পুকুরের পানিতে ডুবে নারীর মৃত্যু নগরীতে অনিবন্ধনকৃত ইজিবাইক আটক অভিযান শুরু নড়াইলে অজ্ঞাত ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার দুইটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি পেল বিএনপি, অস্ত্রের আবেদন প্রক্রিয়াধীন শাহজালালে আগুন: ৩ দিন ননসিডিউল ফ্লাইটে ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফ শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ৫ সদস্যের কমিটি উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা; অন্যত্র আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা

সাতলায় লাল শাপলা ধংশের মুলে, বিলে মাছের চাষাবাদ

  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে
এ এইচ অনিক বিশেষ প্রতিনিধিঃ সাতলার লাল শাপলা ধংশের মুল কারন,শাপলার বিলে মাছের চাষাবাদ। এসব গাছ খেকো মাছের মধ্যে রয়েছে গ্রাস কাপ মাছ রুই কাতলা মাছ এরা শাপলার গাছ ও শাপলার ফুল ফেলে। তাই দিন দিন বিলের শাপলা ফুল কমে যাচ্ছে। এদিকে বিলে শাপলা না-থাকায় সিজেন শেষের আগেই হাত ধুয়ে তীরে বসেছে মুড়িবাড়ি পর্যটন কেন্দ্রে এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক নৌকার মাঝি। আর একারনে দিন দিন কমেযাচ্ছে দর্শনার্থীদের সংখ্যা। কাজে আসছেনা লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ব্যয়ে নির্মিত  দর্শনার্থীদের নৌকায় উঠা নামার জন্য তৈরী নুতান ঘাটলা ও কয়েক লক্ষ্য টাকা ব্যায়ে নির্মিত যাত্রী ছাউনি সহ পর্যটন ভবনটি। পর্যটক নাথাকায় বেকার হচ্ছে এলাকার বহু নৌকার মাঝি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় ব্যাবসায়ী সহ সাধারন। এদিকে সড়কের পাশে ভালো প্রটেকশন নাদিয়ে মাছ ফেলাতে মাছে খাচ্ছে তাদের স্বপ্নের বাড়ির আঙিনা বা পুকুর পাড়ের মাটি সহ এলাকার বহু রাস্তা ঘাটের পাশের মাটি। তাই এলাকা বাসির দাবি সাতলার ঐতিহ্য বাহী লাল শাপলা ও শাপলার গাছ রক্ষার্থে আরও উপজেলা প্রশাসন সহ পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোকে আরও কঠোর হতে হবে।  না-হলে এভাবেই একদিন শেষ হয়ে যাবে সাতলার ঐতিহ্যবাহী লাল শাপলার স্বর্গরাজ্য বা লাল শাপলা ভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্রটি। এমন ক্ষোভের কথা জানালেন এলাকার বাসিন্দা মোঃ সালমান বিশ্বাস, তিনি বলেন এই এলাকাটি এক সময় বিল অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিলো। আর সাতলার বিলে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে এই লাল শাপলার ফুল। আর লাল শাপলার কারনেই গত কয়েক বছর ধরে দেশ বিদেশের দর্শনার্থীদের প্রচুর ভিড় থাকছে এখানে। যে-কারনে সাতলার মুড়ি বাড়ি বিল, পটিবাড়ি কুরোলিয়া বিল সহ, সাতলার লাল শাপলার স্বর্গরাজ্যকে পর্যটন কেন্দ্রে তৈরির ঘোষনা করেন, বরিশাল  জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়ার রহমান। পরবর্তীতে বাংলাদেশ পর্যটন কেন্দ্র ও বরিশাল জেলা প্রশাসন সহ উজিরপুর উপজেলা প্রশাসন, বিশেষ করে বর্তমান উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা সাহেবের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফসল আজকের এই যাত্রী ছাউনিটি ও নুতান ঘাটলা নির্মাণ। যে-কারনে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাও পাচ্ছে আগত দর্শনার্থীরা। কিন্তু মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই  সাতলার সবচেয়ে বড়ো বিল ( মুড়িবাড়ি)সব লাল শাপলার গাছ গুলো মাছে খেয়ে ফেলছে। সরজমিনে দেখাযায়, মাছের চাষাবাদ না-থাকায় সাতলার অন্য অন্য সব বিল গুলোতে শাপলায় ভরপুর থাকলেও সাদা মাছের চাষাবাদের কারনে মুড়ি বাড়ি, উত্তর সাতলা, মেহেরের ঘের, নয়াকান্দীর পুর্ব পাড় সহ সাতলার কয়েকটি বিলের শাপলার মাছে খেয়ে ফেলেছে ও মৎস্য চাষীরা শাপলার গাছ কেটে ফেলার কারনে এসব বিলে আর কোন শাপলার চিহ্নই নেই। শুধুই পানি থইথই করছে! অন্য দিকে মাছের চাষাবাদ না-করায় সাতলার কয়েকটি বিলে প্রচুর শাপলা। যেমন আলামদীর একাংশ বড়োবিল, শাতলা বাগধা কালার বাড়ি বিল, পটিবাড়ি সিএনবি সড়কের বিল, নয়াকান্দী বিল, সাতলা খেজুরিয়া, কুরোলিয়ার বিল সহ এ বিলে প্রচুর শাপলার দেখা মিলছে। প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত শাপলা ফুলের দেখা মিলছে এখানে। স্থানীয়রা জানান এসব বিলে আরো দুই মাস শাপলার গাছ থাকবে। এর কারন এখানে মাছের চাষাবাদ করা হয়নি তাই। সরজমিন ঘুরে দেখা যায় সাতলার বিভিন্ন সড়কের পাশে কোন প্রকার ভালো প্রটেকশন ছাড়াই ইউনিয়নের প্রতিটি বিলে মাছের চাষাবাদ করছে, কিছু অসাধু মৎস্য চাষী। অতি মুনাফা লুভী কিছু মাছ চাষীরা তারা বিভিন্ন দলের পরিচয়ে ও অর্থের জোরে অবৈধ ভাবে মাছের চাষাবাদ করে আসছে। এনিয়ে মাঝে মধ্যেই তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে থাকে। স্থানীয় জন সাধারণের দাবি আগামীতে সতলার লাল শাপলা রক্ষায় প্রশাসনের আরও কঠোর হতে হবে।
একই সাথে স্থানীয়দের বাড়িঘর রক্ষার্থে সবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ তৈরি করে এসব বিলে প্রটেকশন ছাড়া মাছের চাষাবাদ করিতে দেওয়া হবেনা বলেও জানিয়েছেন। এবিষয়ে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা বলেন মাছের চাষাবাদ আমাদের খোরাক জোগায় এবং বহুলোকের কর্মসংস্থান তৈরী হয়।  আর লাল শাপলা জোগায় আমাদের মনের প্রশান্তি। তাই শাপলা কেন্দ্রী সাতলার পর্যটন কেন্দ্রটি বাচাতে হলে আগমীতে সবার সাথে আলচনা করে যেভাবে ভালো হয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট