তালা প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব। জালালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরদার সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবু হাসান হাদী। উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. মফিদুল হক লিটু। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম মস্তোফা, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সেখ সফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মীর্জা আতিয়ার রহমান, সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সম. ইয়াছিন উল্লাহ, উপজেলা মহিলা দলের আহবায়ক মেহেরুন নেছা মিনি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মাসুদ রানা, সদস্য সচিব আল-আমীন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জি. এম. ফারুক হোসেন প্রমুখ। সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে সরদার সোহারাব হোসেনকে সভাপতি, হাবিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক এবং আসাদুজ্জামান জনিকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এ সময় হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, “আমি এই মাটির সন্তান, আপনাদের সন্তান। এলাকায় উন্নয়নের জন্য আপনাদের কর্মী হয়ে থাকতে চাই, অতীতে তার প্রমাণ আমি রেখেছি”।
তিনি বলেন, “জালালপুর ইউনিয়ন বিএনপির দুর্ভেদ্য ঘাঁটি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার বাড়িও এই ইউনিয়নে। বিগত স্বৈরশাসকের আমলে আপনারা ভোট দিয়ে মফিদুল হক লিটুকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলেন। এই মাটির কৃতি সন্তান বিপ্লবকে খুনি হাসিনার বাহিনী গুলি করে হত্যা করেছে।”
তিনি আরো বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য দলের ভেতর ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি অতীতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি, আগামীতেও উন্নয়ন করতে হলে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে। প্রতিটি কর্মীকে সুন্দর ব্যবহার ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে।”
নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, “দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না, কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়ানো যাবে না।” এসময় তিনি কর্মীদের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট সংগ্রহের নির্দেশ দেন।