ডেস্ক রিপোর্ট : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় অস্ত্র,গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্যসহ অর্ক ইসলাম (২৫) নামের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।বৃহস্পতিবার (১১) সেপ্টেম্বর)রাতে উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের ভুলুন্দিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃদ অর্ক ইসলাম ওই গ্রামের রফিকুল ইসলাম আরজুর ছেলে।
শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে ভুলুন্দিয়া গ্রামে সেনাবাহিনী ও পুলিশ অভিযান চালায়। সেসময় ওই গ্রামের অর্ক ইসলাম উৎস এর বাড়ি-ঘর তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় একটি ওয়ান শুট্যার গান, ৫ রাউন্ড গুলি ও ৫টি ককটেল। এ ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে শৈলকুপা থানায় মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।এদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বলছেন,উপজেলার বহুল আলোচিত ভুলুন্দিয়া গ্রাম। সারুটিয়া ইউনিয়নের ত্রাসখ্যাত কীর্তি নগর-ভুলুন্দিয়া সন্ত্রাস অধ্যুষিত এলাকাটিতে আবারো সেনাবাহিনীর হানা, অভিযানের তৃতীয় দফায় গ্রেফতার হওয়া অর্ক ইসলাম উৎস একজন উঠতি বয়সী সন্ত্রাসী। এর আগে ওই এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছিল একাধিক সন্ত্রাসী, উদ্ধার হয়েছিল বিভিন্ন প্রকারের অস্ত্র-সরঞ্জাম। আশির দশকের গণবাহিনী নেতা জিয়ারত আলী মোল্লার পোষ্য সাঙ্গপাঙ্গ, আত্মীয়-পরিজনের মধ্যে এখনো রয়েছে সন্ত্রাসী কার্যক্রম। কীর্তিনগর, ভুলুন্দিয়া সহ বিভিন্ন গ্রামে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের দাপট চলমান রয়েছে।অস্ত্র মামলায় জামিন পেয়ে বের হয়েছে জিয়ারত আলী মোল্লার ছেলে এবং শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার হওয়া অর্ক ইসলাম জিয়ারত মোল্লার স্যালক রফিকুল ইসলাম আরজুর ছেলে। এসব অস্ত্র এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ছাড়াও প্রতিপক্ষদের ভয় দেখাতে ব্যবহার করা হয় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। বিগত সরকারের আমলে বৃহৎ এই সন্ত্রাসী পরিবারটি বহু অপকর্মে জড়িত ছিল। তাদের নামে শৈলকুপা থানায় প্রচুর মামলা রয়েছে।এ সন্ত্রাসীদের ছত্রছায়ায় এলাকার অনেক তরুণ-শিক্ষার্থীরা মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। মাদক, ছিনতাই চোরাকারবারী সহ বিভিন্ন রকম অপকর্মে জড়িয়ে রয়েছে গোটা জিয়ারত মোল্লার বাহিনী। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক কারণে তার গড়ে তোলা বাহিনী বর্তমানে দুটি পৃথকভাবে গ্যাংগ্রুপ তৈরি করেছে।
সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান— হয়ে ওঠে সারুটিয়া ইউনিয়ন, একে একে প্রান যায় ৭ জনের। তখন চাঁদাবাজি, ঘর-বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও মামলা বাণিজ্য করা হয়। আর চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহারের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র মহড়া দিতে থাকে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ। গত বছরের ৫ আগস্টের পর এসে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ মিশেছে এখন বিএনপি’র দুই গ্রুপের সাথে। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো ভুলুন্দিয়া গ্রাম থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটলো।