1. mesharulislammonir1122@gmail.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন
  2. info@www.sangjogprotidin.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১১ অপরাহ্ন

শ্যামনগরে নির্বাহী অফিসার রনি খাতুনের বদলি স্থগিতের ‌দাবিতে মানববন্ধন

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা শ্যামনগর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি খাতুনের সম্প্রতি বদলির আদেশ দিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার। এই বদলি ‌আদেশ প্রত্যাহারের ‌‌জন্য ১৪ই সেপ্টেম্বর ‌সকাল দশটায় ‌ শ্যামনগরের দল মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন। উক্ত ‌মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বক্তব্য রাখেন। বক্তাদের একমাত্র দাবী কর্মদক্ষ জনবান্ধব ‌গরিবের বন্ধু শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি খাতুনের বদলি আদেশ স্থগিত ‌করে তাকে এই শ্যামনগর উপজেলায় রাখার জন্য বিভাগীয় কমিশনার খুলনা সহ উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। শ্যামনগর ‌মুন্সিগঞ্জ কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল তপন কুমার মন্ডল এই মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্যে বলেন মিসেস রনি খাতুন শ্যামনগর উপজেলার গরিব-দুখী মেহনতী মানুষ সহ সর্বস্তরের মানুষের ঢাল হয়েছিলেন এই ঢাল সরে গেলে শ্যামনগরের মানুষের জন্য অন্ধকার নেমে আসবে ,সে কারণে অবিলম্বে তার বদলি প্রত্যাহার করতে হবে বলে তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা সাদেকুর রহমান সাদেক তার বক্তব্য বলেন রনি খাতুন ছিলেন একজন দল মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি এই গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে আমরা কোনভাবেই বিদায় মেনে নিতে চাই না সে কারণে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি খাতুনের বদলী আদেশ স্থগিত করতে হবে। শ্যামনগর প্রেস ‌ক্লাবের সভাপতি প্রফেসর মনির হোসেন তার বক্তব্যে বলেন দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কন্যারে অবস্থিত সবচেয়ে সর্ববৃহৎ উপজেলা শ্যামনগরের হাল ‌ধরেছিলেন রনি খাতুন আজ একটি বছর বিভিন্ন সমস্যা সম্মুখীন হয়েছেন সমাধান করেছেন নিজের খাওয়া ঘুমকে ‌বাচ্চাদের আবদার কে উপেক্ষা করে রাত দিন ছুটেছেন শ্যামনগরের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য শ্যামনগরের মানুষের নানামুখী সমস্যা সমাধানের জন্য। তিনি ছিলেন সর্বদলীয় মানুষের মুখপাত্র কোন দল তাকেএককভাবে ব্যবহার করতে পারেনি আর তিনি কোন দলের হয়ে এককভাবে ব্যবহার হয়নি তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনবান্ধব কর্মদক্ষ একজন মানুষ শ্যামনগর উপজেলায় রাজা পতাপতিত্বর নাম যতদিন থাকবে ততদিন থাকবে রনি খাতুন এর নাম সে কারণে আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি রনি খাতুনের বদলি আদেশ স্থগিত করার জন্য। তিনি আরো বলেন যদি আজকের এই কর্মসূচির পরে রনি খাতুনের বদলি আদেশ স্থগিত না হয় তাহলে আমরা পরবর্তীতে ভিন্ন পদক্ষেপ ভিন্ন কর্মসূচি ‌নিতে বাধ্য হব এই আমাদের প্রত্যাশা। রনি খাতুনের এক বছরের কর্মযোগে নয় এর কিছু তথ্য নিম্নে জনসম্মুখে প্রকাশ করা ‌হলো।
প্রতিভা কোনো সীমাবদ্ধ সিদ্ধিতে সন্তুষ্ট থাকে না, অসন্তোষই তার জয়যাত্রা পথের সারথি’ বলেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সরকারি অনেক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে জনগণের রয়েছে অনেক অভিযোগ। এর মধ্যে ব্যতিক্রম জনবান্ধব, পরিশ্রমী বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার রনি খাতুন।
তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। কমে গেছে অনিয়ম ও দুর্নীতি আগে যেমন শ্যামনগর উপজেলায় প্রতিটি অফিসে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছিল সেটি এখন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি খাতুন  জিরোতে নামিয়ে এনেছে এটা তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কর্মদক্ষতার কারণ।
শ্যামনগর উপজেলায় ‌যোগদানের পর থেকে তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। শ্যামনগর উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরালসভাবে কাজ করছেন ষতিনি। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা শ্যামনগর, প্রতিদিন এই কর্মদক্ষ জনবান্ধব কর্মকর্তা এ প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত পর্যন্ত জনগণের কাজের স্বার্থে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। এখানে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন তাহলে কি ইউএনও রনি খাতুন জনপ্রতিনিধি হবেন ,কিন্তু আসলে তা না তার লক্ষ্য উদ্দেশ্য এই অবহেলিত উপজেলার মানুষের জন্য মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কোন কিছু করে স্মৃতি রেখে যাওয়া ‌। জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের  কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, ‌গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
উপজেলার যেকোনো অবৈধ ও অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার। তিনি কোনো অভিযোগ পেলে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন। তা ছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোনের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
তাছাড়া সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবা, সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারিভাবে ঘর নির্মাণ এবং বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বা সরকারি দান-অনুদান সরেজমিন পরিদর্শন করে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শ্যামনগর উপজেলায় লবণাক্ত থাকায় জলবায়ুর প্রভাবে খাবার পানির ব্যাপক সংকট এই সংকট নিরসনের জন্য এই অর্থবছরে এক হাজার পাঁচশত অসহায় দরিদ্র ব্যক্তি কে প্লাস্টিক ট্যাংক ‌বিতরণ করবেন তার তালিকা এই কর্মদক্ষ জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি খাতুন নিজেই গ্রামে গ্রামে গিয়ে উপকারভোগীদের নাম চূড়ান্ত করেছেন।
তিনি সর্বদা ছুটে বেড়ান উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায়। ক্লান্তিবোধ হয়তো তাড়া করেনা তাকে। ইভটিজার,পারিবারিক জটিলতায় কিংবা বাল্য বিবাহে ছাড় নেই তার। উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্যবর্ধন, আগত সেবা প্রত্যাশীদের যথাযথ সেবা নিশ্চিতকরণ, উপজেলা পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম দক্ষতার সঙ্গে তদারকি, উপজেলায় চারপাশে চলার পথ ও দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন কাজও করেছেন তিনি। শিক্ষাবান্ধব ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সময় পরিদর্শন করেন। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের গুণগত এবং লেখাপড়ার জন্য মানসম্মত বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলার নানা কার্যক্রম করেছেন ইতোমধ্যে। কখনো কলেজ, মাদ্রাসা, বিদ্যালয়ে ইউএনওর ঝটিকা অভিযানের ফলে নিয়ম মাফিক চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রম। প্রতি দুই মাস পরপর প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ‌গিয়ে পরিদর্শন করছেন এবং ইউনিয়ন পরিষদের সবকিছু অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তদারকি ‌‌করছেন ‌।বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন করেছেন জমকালো ভাবে। যা ইতিপূর্বে শ্যামনগর ‌উপজেলাবাসী খুব কমই দেখেছেন। তরুণ স্বেচ্ছাসেবী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের ‘আইডল’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন ইতোমধ্যেই।
সম্প্রতি ছাত্রদের নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা ও পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও বাজারের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে পৌরবাসীকে দীর্ঘদিনের ট্রাফিক জ্যাম থেকে মুক্তি দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন তিনি। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে ‍অবৈধভাবে নদী থেকে বালি উত্তোলন বন্ধ করেছেন ।যা জনসাধারণের কাছে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছেন‌।এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছাত্রদের বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অনুপ্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন এই ইউএনও। সব মহলের চাপকে উপেক্ষা করে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ‘ অবৈধ দখলীকৃত মাঠের জমি উদ্ধার করে ও বিভিন্ন এলাকায়  মাদকাসক্তদের আড্ডা বন্ধ হয়ে গেছে তারই দূরদর্শিতায়। ইতিমধ্য অনেক মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে ভ্রাম্যমান ‍আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দিয়েছেন, এবং তাদেরকে বুঝিয়ে বলেছেন ফিরে এসে যেন আর এই অপরাধের সাথে জড়িত না হয়। তারা যদি ভাল হয় তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রনি খাতুন,।
মাদকমুক্ত শ্যামনগর ‍উপজেলা গড়তে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনও করেন তিনি। শ্যামনগর ‌পৌরসভায় রাজনৈতিক  যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চলমান অনিয়ম বন্ধ করে দেন তিনি,লাইসেন্স প্রদানে দীর্ঘদিন ধরে চলমান সিন্ডিকেটের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করে শুধুমাত্র সরকারি ফি’তে লাইসেন্স প্রদান নিশ্চিত করেন। দীর্ঘ দুই বছর শ্যামনগর পৌরসভায় জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ ছিল তাতে ভোগান্তি পেয়েছে হাজার হাজার মানুষ ইউএনও রনি খাতুনের একান্ত প্রচেষ্টায় ইতিমধ্য শ্যামনগর পৌরসভায় জন্ম নিবন্ধন প্রদানের সার্ভার আবার চালু করা হয়েছে এখান থেকে ছয় মাস আগে। ‌সেখান থেকে জনগণ প্রতিদিন জন্ম মৃত্যু নিবন্ধনের সুবিধা ভোগ করছেন,,
তিনি মাত্র ১ বছর ‌শ্যামনগর ‌উপজেলা নির্বাহী অফিসারের  দায়িত্ব নিয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি শ্যামনগর ‌উপজেলা প্রশাসনকে নিজের মতো করে ঢেলে সাজান।শক্তহাতে টেনে ধরেন অবৈধভাবে হাট দখল, ভূমিদস্যু, খাস জমি,  দখলদারদের লাগাম। তাঁর সততা ও কর্মদক্ষতায় উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা ফিরে পেয়েছেন। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন ও জনকল্যাণমুলক কাজ করে দক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে উপজেলার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। সাত মাস আগে ‌শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন দলের কারণে ১৪৪ ধারা জারি করে শুধু ১৪৪ ধারা জারি করে রনি খাতুন অফিসে বসে থাকেনি যাতে রক্ত খয়‌সংঘর্ষ না হয় সেজন্য তিনি মাঠে নেমে দুই পক্ষকে দৌড়ঝাঁপ করে শান্ত করেছেন। নিজের শরীরেও বর্ষার মতো ইটের গুড়া ‌ঝমঝম করে পড়েছে তাও তিনি বসে থাকেনি। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সুনাম কিনেছে সারা দেশের মানুষের কাছে,, মাত্র এক বছরে ‌‌উপজেলার প্রভাবশালী মহলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাদকদদ্রুব্য, ভোক্তা অধিকার, মটরযান, ও অবৈধভাবে কৃষি জমিতে পকুর খনন সরকারি খাল দখল খাস ‌জমি ‌দখল গরিব মানুষের জমি দখল বন্ধ করে ,ভেকু মেসিন জব্দ করা অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা অবৈধ ডেম্পার বন্ধ করা সহ ১৫৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন ‌জন কে অর্থ দ্বন্দ্বের আদেশ প্রদান করেন এবং কয়েক জন কে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়, এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার বুড়ি গোয়ালিনী ‌ইউনিয়নে যথাসময়ে কাজ শেষ না করায় ৫০লাখ টাকা‌জরিমানা ‌বিভিন্ন বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সরকারকে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে অবৈধ হাট গুলো বন্ধ করে দিয়ে তিনি নজির স্থাপন করেছেন জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ ছাড়া অবৈধ দখলমুক্ত করা হয় উপজেলার বহু সরকারি রাস্তা, খাল, জলাশয়, নদী ও হাট-বাজার।সর্ব ক্ষেত্রেই রয়েছে এই নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদচারণা। দাপ্তরিক কাজের বাইরে সকাল-বিকাল ছুটে বেড়ান মাঠ-ঘাট। কথা বলেন উপজেলার সাধারণ মানুষের সাথে। শোনেন তাদের ‍দুঃখ-কষ্টের কথা। খোঁজখবর নেন সমাজের অবহেলিত গরিব-দুঃখী মানুষের । পরিদর্শন করেন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উপজেলার উন্নয়ন প্রকল্প। কোথাও কোনো সমস্যা দেখলে নেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। তা ছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোন বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি, প্রচন্ড ব্যস্ততার মাঝেও প্রতি সপ্তাহের একদিন ‌করে সাধারণ মানুষের জন্য নিজ কার্যালযে উন্মুক্ত আলোচনা করেন ‌এই উপজেলা নির্বাহী অফিসার। যার নাম দিয়েছেন গণশুনানি।প্রতি সপ্তাহে বারের দিন ‌আসলেই উপজেলা চত্বর যেন অসহায় নির্যাতিত মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় সকাল ৯ টা হতে বিকাল ০৫ টা পর্যন্ত গণশুনানী করে উপজেলার সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যার কথা  শোনে সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাম্মৎ রনি খাতুন। শ্যামনগর ‌উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায়। ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি খাতুন। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাম্মৎ রনি খাতুনের কর্মদক্ষ দেখে আসলেই বোঝা যায় সমাজে নারীরা পিছিয়ে নেই,, তিনি উপজেলায় মানুষের মৃত্যু সহ বিভিন্ন অপ্রতিকার‌‌‍ঘটনার খবর পেলে মুহূর্তের ভিতর অফিস বাদ দিয়ে ছুটে যান মৃত ব্যক্তির বাড়ি অথবা ঘটনাস্থলে,, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাম্মার রনি খাতুন সরকারি মিটিং সেমিনার ছাড়াও বেসরকারি মিটিং সেমিনারে আমন্ত্রণ পেলে ছুটে যান সেখানে গ্রামের নারী পুরুষ মা-বোনদের সাথে মিশে সেখানে মিটিং সেমিনার ছেড়ে আসেন এবং গ্রামের মানুষের দুঃখ দুর্দশা খোঁজখবর নেন সমাধান করার আশ্বাসও দিয়ে আসে,। শ্যামনাগর উপজেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের একটি দুর্যোগপূর্ণ উপজেলা তাই এই উপজেলায় দুর্যোগের উপর কাজ করার জন্য এনজিওদের চাপ বেশি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি খাতুন প্রত্যেকটি এনজিওদের আমন্ত্রণে হাজির হয়ে তাদের কাজের অগ্রগতি গুণগতমান জেনেশুনে সঠিকভাবে কাজ পরিচালনা করার জন্য উপদেশ নির্দেশ দিয়ে আসেন,, এভাবেই তিনি শ্যামনগর উপজেলায় অল্প দিনে সব মানুষের কাছে হৃদয়ে অবস্থান করে নিয়েছেন,, মোছাম্মৎ রনি খাতুন এর সাথে কথা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আমি চাই আপনাদের সকলের সহযোগিতা ভালোবাসা আন্তরিকতা নিয়ে ‌সবাই মিলে একটি সুন্দর শ্যামনগর উপজেলা ও পৌরসভা বাস্তবায়নে যা যা দরকার সব সবাই মিলেমিশে কাজ করে উপজেলা ও পৌরসভার উন্নয়নের ধারাকে আরো ত্বরান্বিত করি।
আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট