ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কৃষক উইং কমিটির সদস্য মো. মাহিদুল ইসলাম (মাহি পলাশ) এর বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা কমিটি বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মাহি পলাশের বাড়ি খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায়।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, মাহিদুল ইসলাম (মাহি পলাশ) তিনি আওয়ামী পরিবারের সদস্য ও নিজেও একজন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী মতাদর্শের। তার বড় ভাই বারাকপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। মেঝো ভাই বারাকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। ছোট ভাই বারাকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য। সে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত, তার রয়েছে কিশোর গ্যাং পরিচালনা এবং গোপালগঞ্জে এনসিপি’র উপর হামলাকে কেন্দ্র করে ভূয়া মামলার লিস্ট করে মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। এমনকি বন্যার ত্রাণের নামে টাকা তুলে আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এনসিপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এনসিপি’র নামে টেন্ডার বাণিজ্যসহ আরও নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠে এসেছে তার বিরুদ্ধে। যার ফলে নিজের গ্রামের বাড়িতে যেতে পেরচ্ছে না। সে তার শশুর বাড়িতে বসবাস করছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, তার বাড়ি খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায়। কিন্তুু সে খুলনায় এনসিপি’র কোন প্রোগ্রামে উপস্থিত হয়না। কিন্তুু দেখা যায় সে দিনের পর দিন কেন্দ্রীয় অফিসে থেকে কেন্দ্রীয় কিছু নেতাদের মনজয় করে কেন্দ্রীয় কৃষক উইং এর কমিটির সদস্য হয়েছে। যা দলীয় নীতিমালার পরিপন্থী এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। যার ফলে খুলনায় দলীয় পরিবেশে চরম বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। যা খুলনায় দলীয় কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ বিষয়ে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
তবে অভিযুক্ত মো. মাহিদুল ইসলাম (মাহি পলাশ) বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আপনারা তদন্ত করে দেখেন আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।