
যশোর : ভালোবাসার টানাপোড়েন যেন নাটকীয় দৃশ্যের জন্ম দিল যশোরে। এক নারীকে ঘিরে দুই স্বামীর আবেগঘন টানাহেঁচড়ার পর অবশেষে আদালত তাঁদের দুজনকেই জামিন দিয়েছেন। বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মণ্ডল শুনানি শেষে এই রায় দেন।
ঘটনার সূচনা ফরিদপুরের কানাইপুরের বাসিন্দা বিকাশ অধিকারী ও তাঁর স্ত্রী সীমাকে কেন্দ্র করে। দীর্ঘ ছত্রিশ বছরের সংসার, এক ছেলে ও এক মেয়ে—সব মিলিয়ে পারিবারিক গল্পের মতোই চলছিল তাঁদের জীবন। কিন্তু হৃদয়ের অদৃশ্য টানে সীমা নতুন করে প্রেমে পড়েন ফরিদপুর সদরের পলাশ কুন্ডুর। সীমা- পলাশের সেই সম্পর্ক একসময় তাঁদের ভারত পর্যন্ত নিয়ে যায়, যেখানে তারা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন।
ভালোবাসার এই অদ্ভুত জটিলতা প্রকাশ্যে আসে মঙ্গলবার। যশোরের এক হোটেল থেকে সীমা ও তাঁর দুই স্বামীকে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। আর সেখানেই সীমাকে ঘিরে বিকাশ ও পলাশের মধ্যে ঘটে যায় হাতাহাতি। প্রেম আর অভিমান মিশ্রিত সেই মুহূর্ত যেন সিনেমার দৃশ্যকেও হার মানায়।
শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হয় আইনের ছোঁয়ায়। পুলিশ ১৫১ ধারায় বিকাশ ও পলাশকে আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। বিচারক প্রথমে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালত উভয়ের জামিন মঞ্জুর করেন।
ভালোবাসা, অভিমান আর সম্পর্কের টানাপোড়েনে এই ঘটনাটি এখন যশোরের মানুষের মুখে মুখে। কে কাকে পাবে—সেই প্রশ্নের উত্তর এখনো ঝুলে আছে সীমার হৃদয়ের দরজায়।
Like this:
Like Loading...
Related