1. mesharulislammonir1122@gmail.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন
  2. info@www.sangjogprotidin.com : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জলবায়ু অভিবাসনে ঝুঁকিতে উপকূল সমাধানে এগিয়ে আসছে যুবরা ৪২ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ, আসামি সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রীসহ ৮ জন খাগড়াছড়ির সহিংসতায় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন রয়েছে : পার্বত্য উপদেষ্টা কামাল মজুমদারের ছেলে শাহেদ ৫ দিনের রিমান্ডে রাশিয়া আতঙ্কে পোল্যান্ডের আকাশসীমা বন্ধ, বাল্টিক সাগরে বাড়লো ন্যাটোর উপস্থিতি হাসিনার বিরুদ্ধে সর্বশেষ সাক্ষীর জবানবন্দি, দেখানো হলো ১৭ ভিডিও সাতক্ষীরায় ৫৯৩টি পূজামন্ডপে চলছে মহাষষ্ঠী মৃত ভোটারদের বাদ ও নারীদের অতিরিক্ত সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে: সিইসি বিসিবির নির্বাচনে বাধা নেই বিসিবি নির্বাচনে পরিচালক পদে মনোনয়ন জমা দিলেন বুলবুল-ফাহিম

৪১ বছর অপেক্ষার পর ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারত-পাকিস্তান

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : শারজাহ থেকে কলম্বো, করাচি থেকে মিরপুর– গত চার দশকে কম চেষ্টা হয়নি এমন একটি ফাইনালের জন্য। অবশেষে আজ রোববার দুবাইয়ে ক্রিকেট বাজারের সেই কাঙ্ক্ষিত মেগা ফাইনাল। দুই প্রতিবেশী ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল। কে জিতবে স্নায়ুর এই লড়াই? টকশোতে গণক বনে যাওয়া সঞ্জয় মাঞ্জরেকার কিংবা শোয়েব আখতার নন; এআই কী বলে জেনে নেওয়া যাক।
গুগল জেমিনির উত্তর, ‘এই ম্যাচের ভবিষ্যদ্বাণী করা অবিশ্বাস্য রকমের কঠিন। কারণ, চাপ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রায়ই অপ্রত্যাশিত ফলাফলের দিকে যায়। তবে সম্ভাব্য বিজয়ী ভারত।’ চ্যাটজিপিটি জয়ের শতাংশ ধরে অনুমান করেছে, ‘ফর্ম, ভারসাম্য ও সামগ্রিক গভীরতা বিবেচনা করলে আমার ভবিষ্যদ্বাণী হলো ভারত জিতবে ফাইনাল। ব্যাটিং গভীরতা, বোলিং বৈচিত্র্য এবং গতির দিক থেকেও এগিয়ে তারা।
ভারতের জয়ের সম্ভাবনা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। পাকিস্তানের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। তবে একটি বা দুটি টার্নিং ওভার বদলে দিতে পারে অনেক কিছু।’ এআই আবার বিস্তারিত কিছু বর্ণনা দিয়েছে আজকের ফাইনাল ঘিরে। ‘দুবাইয়ের পিচ রান তাড়া করার জন্য ভালো। এখানে পাওয়ার প্লেতে যদি আশির ওপর রান ওঠে, তাহলে ১৭০ রানের মতো তাড়া করতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভারত ১৮ থেকে ১৯ ওভারের মধ্যে সেই রান তাড়া করে ৬ থেকে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে যাবে।’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এই বিশ্লেষণ করেছে সাম্প্রতিক ডেটা নিয়ে। তবে এই ম্যাচের আবেগ স্পর্শ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
গ্রুপ পর্ব থেকেই পাকিস্তান অধিনায়কের হ্যান্ডশেক না করা নিয়ে যে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই শুরু হয়েছে এই আসরে, তা কী করে বুঝবে এআই। জোড়া হারের পর পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মধ্যে যে ক্ষুধা থেকে গেছে, সেটাই বা কীভাবে ধরতে পারবে চ্যাটজিপিটি। সুতরাং পারফরম্যান্সে আজকের ফাইনালে ভারত অনেকটা এগিয়ে থাকলেও অতীত কিন্তু সায় দিচ্ছে পাকিস্তানকে। এটা ঠিক, ৪১ বছরের টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এই প্রথম ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। আয়োজকরা বহু চেষ্টা করেছিলেন এমন একটি ম্যাচের। কিন্তু আজহারউদ্দিন-আমির সোহেল কিংবা শচীন টেন্ডুলকার-ওয়াসিম আকরামদের নিয়ে ফাইনালের টস করার স্বপ্ন কখনও বাস্তবে রূপ নেয়নি।
১৬ বারের আসরে আটবার শিরোপা জিতছে ভারত; পাকিস্তান জিতেছে মাত্র দুবার। ওডিআই ফরম্যাটের স্বর্ণযুগেও এশিয়া কাপে এ দুই প্রতিবেশীকে একসঙ্গে ফাইনালে টানা যায়নি। টি২০ আসরেও নয়; বরং এই ফরম্যাটে আইপিএল জমানার ভারত পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে। দুই দলের মুখোমুখিতে সুপার ওভারসহ ভারত ১২ বার আর পাকিস্তান জিতেছে তিনবার। গত এক বছরে ভারতের এই ফরম্যাটের জয়ের সাফল্য ঈর্ষণীয়; ৮৮.৮৯ শতাংশ। পাকিস্তানের সেখানে ৫১.৫২ শতাংশ। তবে এসব পরিসংখ্যান ভারত-পাকিস্তান ফাইনালে কতটাই বা বোঝাতে পারে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে অতীতের অস্ট্রাল-এশিয়া কাপ, বাংলাদেশের ইনডিপেনডেন্টস কাপ থেকে শারজাহতে কোকা-কোলা কাপ– এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট ১০টি ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। যার মধ্যে সাতটিতেই জিতেছে পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বে যেমনই হোক না কেন, ফাইনালের মঞ্চে এলেই বারবার ভারতের সামনে ভয়ংকর হয়ে ওঠে দলটি।
সেই অতীতের গর্বেই কিনা এবারও ফাইনালে ওঠার পরই পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগার মৃদু হুঁশিয়ারি, ‘আমরা জানি, ফাইনালে আমাদের কী করতে হবে। আমরা যে কোনো দলকে হারানোর মতো ভালো দল। ফাইনালেও ওদের হারাব।’ শাহিন শাহ আফ্রিদির সংক্ষিপ্ত বার্তা, ‘আমরা তৈরি ফাইনালের জন্য।’ ওদিকে ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার তো প্রতিপক্ষের নাম মুখেই আনছেন না। শ্রীলঙ্কার কাছে সুপার ওভারে ম্যাচ জেতার পর তাঁর অনুভূতি, ‘মনে হয় ফাইনাল হচ্ছিল। সবাইকে এই ম্যাচটি সেমিফাইনাল ধরে খেলতে বলেছিলাম। শেষ পর্যন্ত জয়ী দলে থাকতে পেরে ভালো লাগছে। বেশ কয়েকজনের ক্রাম্প হয়েছে। ভালো রিকভারির পর ফাইনালে আজকের মতো একই মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামব।’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং করে ক্রাম্প হয়েছে অভিষেকের। তাঁকে ফাইনালে পুরো ফিট অবস্থায় পেতে চায় ভারত। কারণ, এবারের আসরে অভিষেকের ভারত সব ম্যাচই জিতেছে। কোনো কারণে তাঁর আজ অফফর্ম গেলে ভারত ঠিক কতটা চ্যালেঞ্জ নিতে পারে, সেটি প্রমাণের দায় রয়েছে অধিনায়কের।
এমনিতেই এবার তাঁর মুখ যতটা চলছে, ব্যাট ততটা নয়। ওপেনিং জুটিতে শুভমান গিলও ‘বরফ’ হয়ে আছেন। মিডলঅর্ডারে তিলক ভার্মা ছাড়া কেউ সেভাবে পারফর্ম করেননি। লোয়ার অর্ডারে হার্দিক পান্ডিয়া ছাড়া বাকিদের সেভাবে বড় পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। আরব আমিরাত, ওমান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কাকে হারানো ম্যাচগুলো দাপুটে থাকলেও ভারতের পেস বোলিংয়ের ভরসা বুমরাহ সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। দুই স্পিনার কুলদীপ আর বরুণ অবশ্য ধারাবাহিকতা দেখিয়ে যাচ্ছেন। পাকিস্তানেরও তেমন ওপেনার সাইম আইয়ুবের কাছ থেকে চারটি শূন্য ছাড়া কিছুই পায়নি। ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানের ছক্কা মারার হাত অবশ্য দেখেছেন অনেকে। তবে তাদেরও মিডল অর্ডারে দুর্বলতা অধিনায়ক সালমানকে নিয়ে। বরং লোয়ার অর্ডার ফাহিম আশরাফ আর শাহিন শাহ আফ্রিদির ছক্কাগুলো দলকে আস্থা দিয়েছে। আসরে ভারতের সঙ্গে দুটি হার ছাড়া বাকি চারটি ম্যাচই জিতছে পাকিস্তান। অবশ্য ‘হার’ শব্দটিতে নাকি পাকিস্তান ড্রেসিংরুমে আপত্তি আছে। সাবেক অধিনায়ক রিজওয়ান একবার বলেছিলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচেই আমরা হয় জিতি, না হয় শিখি।’ আজ কোনটি দেখবে পাকিস্তানের ড্রেসিংরুম?

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট