ডেস্ক রিপোর্ট : খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত ঘোষিত ‘অবরোধ’ কর্মসূচি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে জুম্ম ছাত্র-জনতার মিডিয়া সেল থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘শহীদদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পুণ্যকর্ম সম্পাদন, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি মানবিক সহায়তা দেওয়া এবং প্রশাসনের আশ্বাসকে আংশিক বিবেচনায় রেখে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সংঘটিত সাম্প্রতিক নৃশংস গণহত্যার প্রেক্ষিতে গত ১ অক্টোবর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এনএসআই জেলা প্রধান, ডিজিএফআই জেলা প্রধান ও এএসপি (তদন্ত) প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’-এর পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আমরা স্পষ্টভাবে আমাদের ৮ দফা দাবি, ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার এবং সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। আলোচনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয় এবং শহীদ পরিবার প্রতি নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
জুম্ম ছাত্র-জনতার ৮ দফার মধ্যে রয়েছে যেকোনো ধরনের হামলা-গ্রেফতার বন্ধ রাখা, ধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করা ও গ্রেফতার হওয়া দুই আসামির বিচার নিশ্চিত করা, ভুক্তভোগীকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করা, ২৭ ও ২৮ অক্টোবর খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সংঘটিত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার পর দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা, সহিংসতায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা এবং আটক ব্যক্তিদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে জুম্ম ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে উত্তাল হয় খাগড়াছড়ি। তবে মেডিকেল পরীক্ষায় কিশোরীর শরীরে ধর্ষণের আলামত পায়নি তিন সদস্যের চিকিৎসক দল। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সহিংসতায় নিহত হয় তিনজন, আহত হয় অর্ধশতাধিক।