বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি : দৈনিক জন্মভূমি ও দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি এবং বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহবায়ক, জামায়াতে ইসলামী বটিয়াঘাটা ইউনিয়নের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে নিয়ে ০৭-১০-২৫ তারিখে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক নিরপেক্ষ পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত দুই বান টিন যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম ও সোহরাব হোসেন মুন্সীর প্রচেষ্টায় বরাদ্দ হয়। এই টিনের সঙ্গে ৬,০০০ টাকার একটি চেকও ছিল। নিয়ম অনুযায়ী সরকারি চেকের মেয়াদ ছয় মাস, সে অনুযায়ী ২৯/০৬/২৫ তারিখে চেকটি ইস্যু করা হয়, কিন্তু আমাদের কাছে চেকটি হস্তান্তর করা হয় ১৮/০৯/২৫ তারিখে এবং তা অফিস থেকে তরিকুল ইসলামের নামে ইস্যু করা হয়। পরবর্তীতে প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহবায়ক সোহরাব হোসেন মুন্সী উক্ত চেকের ছবি ১৭/০৯/২৫ তারিখ বিকাল ৪:২৪ মিনিটে আহবায়কের মেসেঞ্জারে পাঠান এবং আহবায়কের নির্দেশ অনুযায়ী টাকাটি উত্তোলন করে তার (আহবায়কের) অ্যাকাউন্টেই রাখেন। কেন চেকটি তরিকুল ইসলামের নামে ইস্যু করা হলো, এ বিষয়টি নিয়েই বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবের আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদকের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আহবায়ক সোহেল রানা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এছাড়াও প্রেসক্লাবের পিকনিকের হিসাব নিয়ে জে এম আই গ্যাস কোম্পানি থেকে আহবায়ক নিজেই ২০,০০০ টাকা গ্রহণ করেন, যা পরবর্তীতে অস্বীকার করেন। সাধারণ সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হলে, উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে গ্যাস কোম্পানির অ্যাডমিন মোস্তফাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করা হয়, এবং তিনি স্পষ্টভাবে জানান যে, “আমি পিকনিক বাবদ ২০,০০০ টাকা সোহেল সাহেবের কাছেই দিয়েছি।”এছাড়া আওয়ামী লীগ বটিয়াঘাটা ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন সুমনকে বহিষ্কার করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সেই থেকেই আহবায়ক সোহেল রানা আমার (তরিকুল ইসলামের) প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করে আসছেন। ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত উক্ত সরকারি চেকের বিষয়টিকে ইস্যু করে আমার নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছেন। আমরা এই ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং সংশ্লিষ্ট পত্রিকার কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যতে এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ না করার আহ্বান জানাই। বিবৃতিদাতারা হলেন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক এনায়েত আলি বিশ্বাস,যুগ্ম আহবায়ক সোহরাব হোসেন মুন্সী, তরিকুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য রতন কুমার সাহা আসাদুজ্জামান উজ্জল,ইমরান হোসেন, আলমগীর হোসেন শেখ রাসেল, মনির হোসেন, অরূপ জোদ্দার,শাহাবুদ্দিন দোলন, সহ আরো অনেকে।